ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
বর্তমানে আমরা ডিজিটাল যুগে বসবাস করেও অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে ডিজিটাল মার্কেটিং কি? মার্কেটিং অর্থ হলো বিপণন করা।কোন পণ্য বা সেবা ক্রয় বিক্রয় করাকে বিপণন বা মার্কেটিং বলে।আর ডিজিটাল শব্দের অর্থ হলো আধুনিক। তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর অর্থ কি দাড়ালো? কোন পণ্য বা সেবা ডিজিটাল প্লাটফর্মে মাধ্যমে ক্রয় বিক্রয় করাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বা আধুনিক বিপণন বলে।আমরা প্রতিদিন অধিকাংশ সময় অনলাইনের বিভিন্ন প্লাটফর্মে কাটায়। ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, ভাইবার, টিকটক, লাইকি, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি ব্যবহার করি। আর এসব সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারি।আমরা তো অনলাইনে অযথা সময় নষ্ট করে থাকি।আমরা আমাদের এই সময় কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং মাধ্যমে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারি। তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং কি সেটা জানা হলো।
কেন ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা উচিত?
আশে পাশে তাকালে দেখতে পাবেন যে আপনার আশেপাশে প্রায় সবকিছু হাতের মুঠোয় চলে এসেছে।একেবারে গাড়ি বাড়ি থেকে শুরু আপনার ঘরের বাজার পোশাক নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য এমনকি জীবন সঙ্গিনীও অনলাইনে খুজি।আপনার কি প্রয়োজন সেটা খোজার জন্য গুগলের মতো সার্চ দিন।কাজের চাপে ঘর থেকে বের হতে পাচ্ছেন বা ভালো লাগছে না কিন্তু বাজার প্রয়োজন দারাজ বা আজকের ডিলের মত ই-কমার্স সাইডগুলো তো আছে।গাড়ির প্রয়োজন উবার পাঠাও মত সার্ভিস আছে। খাবাবের প্রয়োজন ফুটপান্ডা সার্ভিস আছে। আড্ডা দেওয়া মত কাউকে পাচ্ছেন না তার সমাধান স্যোশাল মিডিয়াগুলো আছে।সবকিছুর সমাধান দেওয়ার জন্য কতকিছু তৈরি হয়েছে।আমরা এগুলো জানতে পারতাম না যদি কেউ এগুলো প্রচার না করতো।আপনার একটা দোকান দিলেন অথবা আপনি ভালো ক্রাফটস তৈরিতে করতে পারেন। কিন্তু আপনি কাউকে জানালেন না তাহলে কেউ কি কখনো জানতে পারবে। আপনার সবাইকে জানাতে হলে প্রচার করতে হবে।আর প্রচার করার জন্য আপনি অনলাইন সাহায্য নিবেন অর্থাৎ, একটা ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইড অথবা ফেসবুক পেজে সাহায্য নিবেন তখন সেটাকে বলবে ডিজিটাল মার্কেটিং। তাহলে আপনাকে পৃথিবীর সবকিছু হাতের মুঠোয় তালুবন্দী করতে হলে অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা ও করা উচিৎ।
কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবো?
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখার জন্য অনেকগুলো উপায় আছি। মুলত আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং শিখার আগ্রহ থাকা লাগবে। আপনি টাকা খরচ করে শিখতে পারেন আবার ফ্রি-তে শিখতে পারেন সেটা আপনার উপর নির্ভর করবে। মুলত দুভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স পাওয়া যায়। একটি পেইড কোর্স আরেকটি ফ্রী কোর্স। অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান পেইড কোর্স করায় থাকে।অফলাইন অনলাইন দুইভাবে কোর্স করা যায়। আপনি কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে কোর্স করে ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হতে পারেন।আবার বিভিন্ন টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন। ইউটিউবে হাজার হাজার ডিজিটাল মার্কেটিং টিউটোরিয়াল ভিডিও রয়েছে।আপনি যেখানে থেকেই কোর্স করেন না কেন আগে তাদের সম্পর্কে জেনেশুনে তারপর কোর্স করবেন। তা নাহলে আপনার টাকা ও সময় দুটোই অপচয় হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এ কি কি শিখবেন?
ডিজিটাল মার্কেটিং এ বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর পরিধি অনেক বড়।নিচে সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
১/ এসইওঃ এসইও এর হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। এসইও এর মাধ্যমে কোন ওয়েবসাইটের কিওয়ার্ড রিসার্চ, পেইজ ইনডেক্স, ইউজার অপটিমাইজেশন,ওয়েবমাস্টার টুলস,কনটেন্ট ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি ধরনের কাজ করতে হয়।
২/ডিজিটাল মার্কেটিং ম্যানেজারঃ
ডিজিটাল মার্কেটিং ম্যানেজার হিসাবে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য আপনার কোম্পানি ডিজিটাল মার্কেটিং টিম পরিচালনা করা ও ইন্টারনেটে উপযুক্ত নেটওয়ার্ক তৈরির করার দক্ষতা থাকতে হবে।
৩/ স্যোশাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ
একজন স্যোশাল মিডিয়া মার্কেটিং স্পেশালিস্ট হিসাবে ক্যারিয়ার গড়তে হলে আপনার স্যোশাল মিডিয়া সম্পর্কে গভীর ধারণা থাকতে হবে।একজন স্যোশাল মিডিয়া স্পেশালিষ্ট মুলত ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল প্লাস,পিন্টারেস্ট, ইনস্টাগ্রাম ও লিংকডিন পরিচালনা করে থাকেন।
৪/কনটেন্ট রাইটারঃ
একজন কনটেন্ট রাইটারের মুলত কাজ হচ্ছে যেকোনো কোম্পানীর ওয়েবসাইডের জন্য কনটেন্ট লিখা,কনটেন্টগুলো অপটিমাইজ করা, ইমেইল মার্কেটিং করা,বিভিন্ন ক্যাম্পেইন করা,সেলস পেজ কপিরাইটিং করা,ভিডিও মার্কেটিং করা,ইবুক পাবলিশ করা ইত্যাদি।
৫/কপিরাইটারঃ
কপিরাইটার হিসাবে কাজ করতে চাইলে কনটেন্ট মার্কেটিং ম্যানেজারের তৈরির করা টিমে কাজ করতে হবে।একজন কপিরাইটারের কাজ হলো কোন কনটেন্ট আরো সুন্দর করে তুলে স্যোশাল মিডিয়া ম্যানেজারকে কনটেন্ট বাছাই করার কাজে সাহায্য করা।একজন কপিরাইটার হিসাবে ক্যারিয়ার গড়তে হলে আপনাকে ভাষাগত ভাবে দক্ষতা থাকতে হবে।
৬/কনভারসন রেট অপটিমাইজারঃ
একজন কনভারসন রেট অপটিমাইজারের কাজ হচ্ছে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের থেকে নির্দিষ্ট কোম্পানির ওয়েবসাইটের কনভারসন রেট পরীক্ষা করে তার রিপোর্ট তৈরি করা। কোন ওয়েবসাইটের কনভারসন রেট ওঠানামা করছে তার দেখাশুনা করা।এই ঘরে বসেও করা যায়।
আপনি চাইলে উপরের যে কোন একটি কাজের উপর স্কিল ডেভেলপ করে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন।আপনার কাজ সম্পর্কে জানতে হবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে তারপর কাজ শুরু করতে হবে।ডিজিটাল মার্কেটিং এর বর্তমানে অনেক চাহিদা রয়েছে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে বেকারত্ব সমস্যা দুর করতে পারেন। ধন্যবাদ
Tags:
অনলাইন ইনকাম

Thanks for your information
উত্তরমুছুনValo idea
উত্তরমুছুনGood job
উত্তরমুছুন