ঘরে বসে ৫টি ব্যবসার আইডিয়া


ঘরে বসে ব্যবসা করার জন্য আমি ৫টি আইডিয়া শেয়ার করবো। এই ব্যবসা গুলি ঘরে থেকেই শুরু করা যাবে এবং যদি সঠিকভাবে পরিচালিত হয়, তাদের উপর বেশি লাভের সুযোগ থাকে। এছাড়াও, এই ৫টি ব্যবসা আইডিয়া এর প্রাথমিক আগেই আরম্ভ করা যায় এবং তাদের উপর খরচ অনেক কম।

সঠিক পরিচালনা করলে ১০,০০০ টাকাও থেকে কম টাকায় এই ব্যবসা আরম্ভ করা সম্ভব। অনেকেরই ঘরে থেকে শুরু করা ঘরোয়া ব্যবসার পরে এটি একটি বড় ফার্ম বা কোম্পানিতে পরিণত হতে পারে। তবে, এটি আপনার পরিশ্রম এবং কার্যক্ষমতার উপর নির্ভর করে।

এছাড়াও, এমন কিছুপেশাগত ব্যবসা আইডিয়া রয়েছে যার মাধ্যমে আপনারা বিনামুল্যেই ঘরে থেকে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, টিউশন ক্লাস, ব্লগিং, ইউটিউব চ্যানেল, PTC ওয়েবসাইট এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং।

এখানে অনেকেই অনলাইন ব্যবসা পরিচালনার ব্যাপারে চিন্তা করা হয়েছে। তাই, এই ৫টি ঘরোয়া ব্যবসা আইডিয়া জেনে নিচে চলে যাই। ঘরে বসে কি কি ব্যবসা করা যায়? - (৫ টি ব্যবসার আইডিয়া)।

পরিশ্রমে আপনারা একটি full-time চাকরি থেকে বিদায় নিচ্ছেন বা part-time ব্যবসা করতে প্রস্তুত হচ্ছেন,সঠিক পরিচালনা করলে আপনার ঘরে থেকেই এই ঘরোয়া ব্যবসা গুলি করা যাবে এবং আপনার আর্থিক অবস্থা ভালো করে যেতে পারে।

১. ব্লগিং ব্যবসা

ব্লগিং ব্যবসা যখন কথা আসে কাজের, টাকা আয় করার জন্য ঘরে বসেই, আমার প্রিয় পছন্দ হবে "ব্লগিং". কেননা,ব্লগিং করে আমি নিজেই মাসে অনেক ভালো পরিমানে টাকা আয় করছি এবং এই কাজের জন্য আমার বেশি সময় দিতে হয়না। শুধুমাত্র ২-৩ ঘন্টা সময় দিয়েই, মাসে আমি প্রায় ২০,০০০ টাকা আয় করছি।

আজকাল, ব্লগিং করে দেশ বিদেশের অনেকে ভালো পরিমানে টাকা আয় করছেন। এ মাধ্যমে অনেকে তাদের উচ্চ বেতনের কাজগুলি ছেড়ে দিয়েছেন।

তাই, আপনার যদি সাধারণ ইন্টারনেট ও কম্পিউটার জ্ঞান থাকে, তাহলে অবশ্যই ব্লগিং ব্যবসার জন্য শুরু করতে পারেন। এ থেকে অনেক লাভজনক হতে পারে। একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট এই দটিু জিনিসটি থাকলেই চলবে। তারপর আপনার একটি ব্লগ তৈরি করতে হবে। তাছাড়া, কাজের পরিমাণ বা সময় প্রান্তে না থাকলেও আপনি ব্লগিং এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এটি একটি মেধা বিষয়ক কাজ, যেখানে আপনি নিজের কাজের সময়সীমা নির্ধারণ করতে পারেন।

যদিও প্রাথমিক মধ্যে আপনাকে কিছুসময় দিতে হবে ব্লগ তৈরি করার জন্য, তবে সেই পরে আপনি নিজের সময়কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। সক্ষম করে আপনার সময় ব্যবহার করলে, আপনি অনেক ভালো পরিমাণে আয় করতে পারবেন।

ব্লগিং এর জন্য প্রথমে আপনার একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করতে হবে। এটি সম্পর্কে জানা যাকে আপনার জ্ঞান ও কাজের সাথে মিল রাখে।

এরপরে আপনি আর্টিকেল লেখা শুরু করতে পারেন আপনার আগ্রহমলকূ বিষয়গুলো নিয়ে। ভালো আর্টিকেল লেখতে থাকুন এবং মাসিক ভিজিটর ও ট্রাফিক বাড়লে, আপনি ভিজিটরদের পাশাপাশি টাকা আয় করতে পারবেন।

আপনি লেখা শুরু করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করতে পারেন এবং সেই সময়ে নির্দিষ্ট সংখ্যক আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করতে পারেন।

আপনি নিজের জন্য লক্ষ্য স্থাপন করতে পারেন যে প্রতি সপ্তাহে আপনি কতগুলো আর্টিকেল লেখতে চান এবং সেই লক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে আপনি আপনার সময় পরিচালনা করতে পারেন। আপনার সময়সীমা ও কাজের পরিস্থিতি অনুযায়ী আর্টিকেল লেখা করুন।কিছুদিন কাজ করার পরেই আপনি কিছুঅল্প টাকা আয় করতে শুরু করতে পারেন আর্টিকেল প্রকাশের মাধ্যমে।

২. YouTube চ্যানেল ব্যবসা

YouTube চ্যানেল ব্যবসা এখন আপনি বসে থাকেন এবং নিজের মোবাইল ব্যবহার করে ভালো ভালো ভিডিও তৈরি করে মাসিক হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারেন। হ্যাঁ, অনেকে এটা করছেন এবং এই অনলাইন ব্যবসায় অনেকে সফল।

আমি বলছি নিজের "YouTube চ্যানেল" তৈরি করে ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করার বিষয়ে। আপনাকে একটি YouTube চ্যানেল তৈরি করতে হবে এবং এটা পুরোটাই বিনামুল্যে । তারপর, নিজের চ্যানেলে আপনার তৈরি ভিডিও আপলোড করতে হবে।

আপনি যেকোনো বিষয় বা টপিকে ভিডিও তৈরি করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, "২১ টি ঘরে ব্যবহারযোগ্য ব্যবসা আইডিয়া" বা অন্য কোনও বিষয়ে যা লোকেরা দেখতে পছন্দ করবেন। কিছুদিন ভালো ভালো ভিডিও আপলোড করার পরে, যখন আপনার চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবারদের সংখ্যা বাড়বে, তখন আপনি বিভিন্ন মাধ্যমে নিজের YouTube চ্যানেল থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ, Google AdSense, পেইড প্রমোশন, এফিলিয়েট মার্কেটিং।

মনে রাখবেন, যত বেশি আপনার ভিডিওগুলি দেখা হবে ততবেশি আপনার আয়ের সুযোগ থাকবে।কারণ, যত বেশি লোকেরা আপনার ভিডিও দেখবে, ততটাই বেশি বিজ্ঞাপন আপনার ভিডিওগুলির মধ্যে Google AdSense দ্বারা প্রদর্শিত হবে। ফলে, আয়ের সুযোগ বাড়বে। আজকাল, বাংলাদেশ সহ অনেক দেশে হাজার হাজার YouTube-এর রাজ্যভাষা ব্যবহার করে ভিডিওতে সফল হয়েছেন।

এবং অনেকেই নিজেদের ঘরে থেকেই এই অনলাইন ব্যবসা চালাচ্ছেন। কেননা, ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করার সবচেয়ে সহজ এবং বিশ্বস্ত মাধ্যম হিসাবে YouTube-কে গণ্য করা হয়।

৩. PTC ওয়েবসাইট

PTC ওয়েবসাইটগুলির মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে কাজ করে টাকা আয় করতে পারবেন। এটা অনলাইন ব্যবসা হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।

ইন্টারনেটে এমনকিছুঅনলাইন ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলি লোকদের দ্বারা বিভিন্ন ধরণের কাজ করিয়ে তাদের সেই কাজের জন্য কিছুটাকা দেয়।

উদাহরণস্বরূপ, অনলাইন বিজ্ঞাপন দেখার কাজ, অনলাইন গেম খেলা, সার্ভেতে কাজ করা। আপনি যত বেশি পরিমাণে কাজ করবেন, ততটাই বেশি পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন।

তাই, এই ধরণের অনলাইন PTC ওয়েবসাইটগুলিও একটি ব্যবসা হিসাবে বিবেচিত হতে পারে যদি আপনি এটি প্রফেশনালি করেন।

এছাড়াও, আপনি পার্ট-টাইম ব্যবসা হিসাবেও এই PTC ওয়েবসাইটগুলিতে কাজ করতে পারবেন। PTC ওয়েবসাইটের ব্যাপারে আরও জানতে চাইলে আপনি এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন - "পিটিসি ওয়েবসাইট থেকে সহজে টাকা আয় করুন".

4. কাপড়ের ব্যবসা

আপনি কি ঘরে বসেই কাপড়ের ব্যবসা চালাতে পারবেন। বর্তমানে কাপড়ের ব্যবসা খুবই লাভজনক। ভালো মানের সুন্দর কাপড় হলে লোকজনের ইচ্ছা আপনার কাছেই আসবে। আপনি ঘরেই শাড়ি, বড়দের কাপড় বা শার্ট বিক্রি করতে পারবেন, যা কেবল পরিবারের বাচ্চাদের কাপড় বিক্রি করতে ইচ্ছকু হবে।

আপনি নিজেই ঘরে সুন্দর কাপড় তৈরি করে তাদের উচ্চ মান এবং সার্বিক দামে বিক্রি করতে পারবেন। আপনার কাপড়ের কালেকশন যদি লোকদের আকর্ষণ করে তবে আপনার ঘরেই গ্রাহকদের জন্য একটি দোকানের মত হতে পারে।

মনে রাখবেন, কম দামে উচ্চ মানের শাড়ি বা অন্য কাপড় সবাই কেনতে ইচ্ছুক। আপনার দোকান থেকে বা ঘর থেকে কিনতে কোন পার্থক্য নেই।

তবে, নিজের ঘরবাড়িতে কাপড়ের ব্যবসা চালানোর জন্য আপনাকে মার্কেটিং এবং প্রচারের কাজগুলি করতে হবে। এতে গ্রাহকদের আপনার ব্যবসার সম্পর্কে জানাতে পারবেন। একজন গ্রাহক থেকে আরেকজন শুনে,তারপর আরেকজন শুনে এভাবে একে অপরের প্রস্তুতি করে আপনার ঘর থেকেই কাপড় কেনার জন্য গ্রাহকদের লাইন লাগতে থাকবে।

তবে শুরুতে অধিক টাকার মাল কিনবেন না। ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার শাড়ি বা অন্য কাপড় কিনে বিক্রি করুন। সফল হলে পরে আরও বেশি পরিমাণের মাল কিনতে পারবেন।

5. মোবাইল ও কম্পিউটার রিপেয়ারিং

আপনারা কেবল চার মাসের একটি কম্পিউটার এবং মোবাইল রিপেয়ারিং কোর্স করে পরবর্তীতে নিজেই রিপেয়ারিং কাজ করতে পারেন। এটা সম্ভব হচ্ছে নিজের বাসায় বা অফিসেই কাজ করতে পারবেন।

কারণ, এখন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার আছে। এই ইলেকট্রনিক্স উপকরণগুলি খারাপ হয়ে যায় বা সমস্যায় পড়ে।যদি আপনার এলাকায় এই ধরণের সার্ভিস দিয়ার কেউ না থাকে, তাহলে আপনি অবশ্যই এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

লোকেরা যখন আপনার কাজের বিষয়ে জানতে পারেন, তখন তারা ফোন করে আপনার সার্ভিস নিতে পারেন।

আপনি চাইলে গ্রাহকের বাড়িতে যাওয়া এবং তাদের মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার রিপেয়ার করতে পারেন বা তাদের উদ্ধার করতে নিজের বাড়িতে নিতে পারেন।

এভাবে কম্পিউটার এবং মোবাইল রিপেয়ারিং কাজ ঘর থেকেই চার মাসে ভাল পরিমাণে আয় করতে পারবেন।

এই ছোট ব্যবসা অনেক লাভজনক হতে পারে, এটা আপনি পার্টটাইম ব্যবসা হিসাবেও করতে পারেন মোবাইল ও কম্পিউটার রিপেয়ারিং কাজ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন