১. ফাস্টফুড ডেলিভারি (Fast Food Delivery)
ভোজনরসিক বাঙালির রসনা তৃপ্ত করতে পারলে ব্যবসার অভাব হয় না। অল্প টাকায় ব্যবসা শুরু করতে হলে নিজের বাড়ি থেকেই ব্যবসা করুন। প্রয়োজন একটা রান্নাঘর, ভাল রান্নার কারিগর আর সুস্বাদু রেসিপি।
বর্তমানের জোম্যাটো সুইগির যুগে খাবার পৌঁছে দেওয়া নিয়েও আর ভাবতে হবে না আপনাকে। আপনার কাজ শুধু খাবার অর্ডার নেওয়া আর সেই মতো খাবার প্রস্তুত করা। তবে মনে রাখতে হবে ঢাকা চট্টগ্রাম কক্সবাজার সহ সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে হাজারো খাবারের দোকান, তাই তাদের সাথে পাল্লা দিতে খাবারের গুণমান ও স্বাদের দিকে রাখতে হবে কড়া নজর আর নজর দিতে হবে অভিনব নতুন রেসিপিতে। দেশ বিদেশের নানা রেসিপি থেকে পেতে পারেন আইডিয়া।
২. ক্যাফে/ কফিশপ ( Cafe or coffe shop )
ক্যাপে বা কফিশপের চাহিদা ক্রমশই বাড়ছে কলকাতা, শহততলি আর মফস্বলে। সঠিক কৌশল আর পরিকল্পনা নিয়ে চলতে পারলে এটি বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার একটি। অল্প টাকায় ব্যবসা শুরু সম্ভব।
ক্যাফের ইন্টিরিয়রের দিকে নজর দিন, ক্রেতাকে আকর্ষণ করার অন্যতম মূল চাবিকাঠি নজরকাড়া ইন্টিরিয়র আর আরামদায়ক বসার ব্যবস্থা। দরকার নেই দামি চেয়ার টেবিল, কিছু বেতের মোড়া বা বড় জলচৌকি দিয়েও কাজ চলে যাবে যদি তা ঠিকভাবে সাজাতে পারেন।
পাশাপাশিই চমক রাখুন খাবারের মেনুতে, দাম রাখুন মধ্যবিত্তের আয়ত্ত্বের মধ্যে। এক্ষেত্রেও খাবারের মেনুর জন্য দেখতে পারেন বিদেশি রেসিপি। প্রচলিত চাইনিজ্, থাই খাবারের বাইরে রাখুন নতুন ধরণের খাবার।
পাশাপাশিই রাখতে পারেন কফি মগ বা অন্যান্য খুচরো গিফ্ট আইটেম বিক্রির ব্যবস্থা। ক্রেতাদের বসে পড়ার জন্য রাখতে পারেন কিছু বইও। এছাড়াও সপ্তাহান্তে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাও করতে পারেন।
অল্প টাকায় ব্যবসা শুরু করতে চাইলে ঠিক মতো পরিকল্পনা করে নেমে পড়ুন, সাফল্য আসবে।
৩. ক্যাটারিং (Catering)
আরেকটি অন্যতম বেশি লাভের ব্যবসা হল ক্যাটারিংয়ের ব্যবসা। বিয়েবাড়ি থেকে অফিসের বার্ষিক সম্মেলন ক্যাটারিয়ের চাহিদা সর্বত্র। বড় শহর হোক বা মফস্বল, উত্সবে অনুষ্ঠানে যেকোনও জায়গাতেই ডাক পড়ে ক্যাটারারদের।
অল্প টাকায় ব্যবসা শুরু করতে হলে এই ব্যবসার কথা ভেবে দেখতে পারেন। ব্যবসা শুরু করতে প্রথমেই প্রয়োজন একটা নির্ভরযোগ্য টিম। সন্তোষজনক পরিষেবাই এই ব্যবসার মূল, তাই আপনার টিম হতে হবে পরিশ্রমী, হাসিখুশি ও নির্ভরযোগ্য। এছাড়া কিনতে হবে প্রয়োজনীয় বাসনপত্র, গ্যাস উনুন ইত্যাদি।
বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। তাই এক বা একাধিক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে বাড়তে পারে ব্যবসা।
৪. ট্রাভেল এন্ড টুরিজম (Travel & Tourism)
ভোজনরসিক হওয়ার পাশাপাশি বাঙালি ভ্রমণপিপাসুও বটে, ফলে মানুষকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া কম খরচে লাভের ব্যবসা।অল্প টাকায় ব্যবসার কথা ভাবলে এটিই হতে পারে আপনার জন্য সবথেকে সহজ উপায়। এই ব্যবসা শুরু করতে বিনিয়োগ বিশেষ লাগে না, লাগে শ্রম, অধ্যাবসায়, আর বেড়ানোর প্যাশন। টিকিট কাটা, হোটেল বুকিং, বেড়ানোর পরিকল্পনা তৈরি ইত্যাদি ঝক্কি এড়াতে অনেকই ভরসা করেন বিভিন্ন এজেন্সির ওপর। সন্তোষজনক অভিজ্ঞতা হলে তাঁরাই ফিরে ফিরে আসেন প্রতিবছর।
এই ব্যবসা শুরু করতে প্রথমেই ঠিক করে নিতে হবে বেড়ানোর জায়গা। কীধরণের জায়গায় নিয়ে যেতে চান, কোন ধরণের হোটেলে রাখবেন পরিকল্পনা করে নিতে হবে গোটাটা। বিভিন্ন সামাজিক অর্থনৈতিক অবস্থার মানুষের চাহিদা বিভিন্নরকম, আপনি কাদের পরিষেবা দিতে চান ঠিক করে নিতে হবে সেই বিষয়।
এই ব্যবসায় বিনা বিনিয়োগে আয় করা সম্ভব। নতুন নতুন জায়গা খুঁজে বের করলে ব্যবসা বাড়ার সম্ভাবনা বেশি, পাশাপাশিই জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পটগুলোকেও রাখতে পারেন তালিকায়। সেইসব জায়গাগুলোর হোটেলের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করে নিন কত শতাংশ ছাড় বা এজেন্ট কমিশন দিতে প্রস্তুত তারা।
পাশাপাশিই বেড়াতে নিয়ে গিয়ে খাওয়ানোর ব্যবস্থা কী করবেন সেই নিয়েও ভাবনাচিন্তা করুন। হোটেলের খাবার না নিয়ে নিজেরা খাবার ব্যবস্থা করলে লাভ বেশি হবে। সেইমতো জোগাড়যন্ত্র করে এগোন।
৫. রেল ও বিমান টিকিট বুকিং (Rail & Airline Ticket Booking)
অনলাইনে টিকিট কাটার সুবিধা থাকলেও অনেক সময়েই টিকিট পেতে সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। দূরপাল্লার রেলে রিজার্ভেশন পাওয়া নিয়ে নাজেহাল হতে হয় যাত্রীদের। আর তার জন্য প্রায়শই বুকিং এজেন্টদের মুখাপেক্ষী হন তারা। কম পুঁজিতেই এই ব্যবসা শুরু করা সম্ভব।
এজেন্ট হওয়ার জন্য রেল বা বিমান কর্তৃপক্ষকে কিছু টাকা দিতে হয় তাহলেই পাওয়া যায় সুযোগ। বিভিন্ন ট্যুর অপারেটর কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে নিলে নিয়মিত ব্যবসা পাওয়া সম্ভব। পাশাপাশিই চুক্তি করা যেতে পারে অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে যাতে সেই সংস্থার কর্মীদের অফিসের কাজে বাইরে যাওয়ার জন্য যাবতীয় টিকিট বুকের দায়িত্ব পান আপনি।অনেক সংস্থাতেই কর্মীদের নিয়মিত শহর বা দেশের বাইরে যেতে হয় এবং এই টিকিট বুক করার জন্য কোনও নির্দিষ্ট কর্মী থাকে না, এই পরিষেবার জন্য বাইরের এজেন্টের ওপরই নির্ভর করে তারা। এই ব্যবসায় লাভ করতে হলে নিশ্চিত করতে হবে কম সময়ের মধ্যে যাতে আপনি প্রয়োজনীয় টিকিট বুক করে দিতে পারেন। তা পারলেই আপনার ওপর ভরসা বাড়বে ক্রেতার।
পরিশেষে বলতে চাই ব্যবসা ঝুঁকি আছে তাই চিন্তা করে ব্যবসায় নামবেন ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ এমন আইডিয়া শেয়ার করার জন্য।
উত্তরমুছুনভালো লাগেছে
উত্তরমুছুনচমৎকার
উত্তরমুছুনAwesome
উত্তরমুছুনGood job
উত্তরমুছুনNice idea
উত্তরমুছুনNicr job
উত্তরমুছুনNice
উত্তরমুছুন