ডায়রিয়ার লক্ষন,কারন, বাঁচতে করণীয়, প্রতিকারের উপায়

ডায়রিয়া হলে করণীয়

শীতের প্রক্ষপ শেষর দিকে হওয়ায় ক্ষনে ক্ষনে আবহাওয়ায় পরিবর্তেনর ফলে কখনো ঠান্ডা আবার কখনো গরম অনুভব হচ্ছে।ঘন ঘন আবহাওয়া পরিবর্তেনের ফলে ঠান্ডা, জ্বর কাশিসহ ডায়েরিয়ার প্রভাব বেড়েছে অনেক। এর জন্য আমদের একটু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। 












ডায়রিয়ার লক্ষনসমূহ : 
  • ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হওয়া

  

  • খাবার এর প্রতি অনিহা,

 

  • মল ত্যাগের জন্য প্রচন্ড চাপ আনুভূত হওয়া,বমি বমি ভাব,পেটে ব্যাথা,পানি শূন্যতার উপসর্গ গুলো, প্রচন্ড ক্লান্তি অনুভব, প্রস্বাব, হ্রদ স্ন্দ বৃদ্ধি।

ডায়রিয়ার কারণ সমূহ:  খোলা জায়গায় মলত্যাগ এর জন্য, বিভিন্ন ছত্রাক, প্রোটোজোয়া,এন্টামিবা, বিভিন্ন ভাইরাস (রোটাভাইরাস, হেপাটাইটিস -এ)  ঘটিত কারনে,খাদ্য ঠিক মতো হজম না হওয়ায়, কৃমি ঘটিত কারনে।আবার অনেক সময় অজানা কারণেও ডায়রিয়া হতে পারে,
 
ডায়রিয়া হলে করনীয়: 
  1. এ সময় রোগী শরীর থেকে প্রচুর পানি নির্গমন হয়।ফলে পানি শূন্যতা  দেখা যায়।তাই প্রচুর পরিমানে তরল খাবার খেতে হবে। 
  2. পটাশিয়াম যুক্ত খাবার (যেমন :কলা,আলু ও ফলের রস) খাওয়া।
  3. টয়লেট যাওয়ার পর পর এক কাপ পরিমানে তরল খাবার খাওয়া উচিত। 
  4. পরিমান মত বিশ্রাম নিতে হবে। 
  5. ফুটানো পানি পান করতে হবে। 
  6. নিয়ম করে খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। 
  7. ডায়রিয়া থেকে ভালো হলেই ঔষুধ খাওয়া বন্ধ করা যাবে না।কোর্স সম্পন্ন কার উচিৎ। 
  8. অনেক সময় পায়খানার সাথে রক্ত যায়, শরীর অনেক বেশি  দুর্বল হয়ে পড়ে।তখন বিলম্ব না করে দ্রুততার সাথে  ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 
 ডায়রিয়া প্রতিরোধের উপায় :
  • রাস্তার পাশের অস্বাস্থকর ও খোলা খাবার না খাওয়া। 
  • খাবার ও পানি এমন ভাবে সংরক্ষণ করা যেন তা জীবাণুমুক্ত থাকে।
  • খাবার তৈরির সময়,খাবার গ্রহণের সময় ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করা।
  • বাইরে যাওয়ার সময় খাবার পানি সাথে নিয়ে বের হওয়া।
  • পচা বাসি খাবার গ্রহণ না করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। 
 ডায়রিয়া হলে যা খাবেন না,,,বিশেষ করে ভাজা জাতীয়  খাবার খাবেন না,,দই কম খাবেন,আনারস কম খাবেন,, শরীরচর্চা কম করবেন।

10 মন্তব্যসমূহ

  1. গুড ইনফরমেশন

    উত্তরমুছুন
নবীনতর পূর্বতন