কাশি হলে করনীয়।

 



আমাদের বর্তমান বিশ্বে  জ্বর, সর্দি, কাশি ফ্লু একটি সাধারন বিষয়।  জ্বর সর্দি, কাশি, ফ্লু দ্বারা  যদি আমরা আক্রান্ত হই তাহলে ভয়ের কিছু নেই।বরং কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলেই এটা থেকে বেচে থাকা সম্ভব বা হলেও এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।



বাংলাদেশে শীত এর প্রকপ শেষ হয়ে  গরম আবহাওয়া বইতে শুরু করছে।এই আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে ঠান্ডা, জ্বর, কাশি, সর্দি এর প্রভাব বেড়েছে অনেক। 




সর্দি, জ্বর, কাশি,  ঠান্ডা  এর সাথে আমার সবাই কম  বেশি পরিচিত। কারণ  এ ধরনের  রোগে আক্রান্ত  হয়নাই এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এই রোগগুলো  সাধারণত শীতকালে অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়।




এই রোগগুলো মূলত ভাইরাস ঘটিত এক প্রকারের সংক্রমণ রোগ। এই রোগগুলো সাধারণত মানুষের শ্বাসপথ অবরুদ্ধ  করে আক্রমণ করে।রোগের লক্ষন সাধারণত আক্রান্ত হওয়ার দুইদিনের মধ্যে প্রকাশ পায়।  এক থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত এই রোগ মানুষের শরীরে স্থায়ী  হয়। রোগগুলো  সংক্রাম রোগ হওয়ার জন্য  সারা বছরের যেকোন সময়েই রোগ  দ্বারা  মানব আক্রান্ত হতে পারে কিন্তু  ঋতু পরিবর্তনের  সময় প্রকট আকারে ধারন করে। বিশেষ করে  ছোটো বাচ্চা জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, সর্দি দ্বারা বেশি অক্রান্ত হয়।




লক্ষন সমূহ:

  • গলা ব্যাথা হওয়া
  • নাক দিয়ে পানি আসা
  • কাশি, ক্লান্তি ও শরীর ব্যাথা হওয়ায় 
  • ঘনো ঘনো হাচি আসা
  • খাবার এর প্রতি অনিহা সৃষ্টি হওয়া
  • ম্যাথাব্যাথা করা
  • ম্যাথা নিয়ে নিজের প্রতি আজব ধরনের অনুভব কাজ করা 
  • চলতে- ফিরতে  নিজের প্রতি কন্ট্রোল কম হওয়া
  • স্বাদ ও ঘ্রাণের অনুভব কম হওয়া
  • কান ও মুখে এক ধরনের আজব চাপ অনুভব হওয়া
  • নাক বন্ধ হয়ে আসা




এখন আমার জানব যে কি জন্য  সর্দি,  কাশি,জ্বর হতে পারে।

  • নিয়ম অনুযায়ী না চলা
  • সবকিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না রাখা
  • খাবার তৈরি ও খাবার খাওয়ার সময় হাত সব সময় পরিষ্কার রাখা।
  • ঠান্ডা যাতে না লাগে এমন কাজ করা
  • সংক্রমণ এর সময় ঠান্ডা পানি পান থেকে বিরত থাকা
  • খাবার তৈরির জিনিসগুলো  ভালো ভাবে পরিষ্কার করা





সর্দি - জ্বর বা সর্দি - কাশি   হলে ঘরোয়াভাবে করনীয় বিষয়সমূহ:

  1. এক গ্লাস গরম দুধে  ১ চা চামচ  হলুদ এর গুরা ভালোভাবে  মিশিয়ে পান করলে সর্দি কাশির বিষয় থেকে ভালো ফল পাওয়া যায়।
  2. চায়ের মধ্যে আদা কুচি করে কেটে দিয়ে সেই চা পান করলে এতে সর্দি -কাশির সমস্যা দূর হয়।
  3. এক গ্লাস  গরম পানিতে একচা চামচ লেবুর রস ও দুচা চামচ মধু  মিশিয়ে পান করলে এই সমস্যা দূর হয়।
  4. কিছু পানি এর ভিতর গুটিকয়েক তুলশীর এবং তার  মধ্যে কিছু আদা কুচি দিয়ে কেটে দিয়ে ফোটাতে থাকুন  তারপর পনি অর্ধেক হলে সেটা নামিয়ে পান করুন।
  5. রসুনকে সাধারণত গরিবের এন্টিবায়োটিক বলা হয়।এই রসুন বেটে হলকা গরম করে খেয়ে নিতে পারেন। 
  6. কিছু উষ্ম পানি এর  ভিতর কিছু লবন দিয়ে সেই লবন পানি গরগর করতে পারেন
  7. কিছু দারুণ চিনি ও পানি ভালো ভাবে ফুটিয়ে নিন।তারপর ফুটানো পানির সাথে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।
  8. যদি শুনেকাশি থাকে তাহলে যুধিষ্ঠি মধু একটি পাত্রে রেখে সেখানে গরম পানিতে মিশাতে হবে।তারপর সেই পানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত পান করুন।
  9. প্রথম ঘি এর সাথে গোল মরিচ মিশিয়ে ভেজে নিন। এরপর  এই ঘিয়ে মরিচভাজা খেয়ে ফেলুন। 
  10. গরম পানির ভাপ নিতে পারেন


এর থেকে বেচে থাকার জন্য যে খাবার গুলো খাবেন :

কলা, গাজর, ডিমের  মধ্যের সাদা অংশ, চিকেন স্যুপ,সবুজ শাকসবজি। 



লাইফ স্টাইল এ যে পরিবর্তন গুলো করবেন সেগুলো হলো।
  • কিছু খন পরপর ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুন।কেননা এর ফলে এ ধরনের জীবাণু শরীরের প্রবেশ করতে পারে না।সাব সময় হাত ধোয়া সম্ভব না হলে হ্যান্ডস্যানিটারাইজ ব্যবহার করতে পারেন।
  • প্রতিদিন অন্তত দুই  থেকে তিন লিটার পানি বা পানিজাতীয় খাবার পান করুন।
  • খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখুন। বিশেষ করে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান।
  • পর্যাপ্ত পরিমানে বিশ্রাম নিতে হবে 



সর্দি  জ্বর কাশির  লক্ষনগুলো আর ফ্লু এর লক্ষনগুলোর সাথে অনেকটাই মিল রয়েছে, কিন্তু ফ্লু যখন হয় তখন লক্ষনগুলো তীব্র আকারে প্রকাশ  পায়। আর শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার বেশি হয়। 







4 মন্তব্যসমূহ

নবীনতর পূর্বতন