পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

ব্যবসার আইডিয়া
পাইকারি ব্যবসা 

বর্তমান বিশ্বের অনেক রকমের ব্যবসা রয়েছে। এতসব ধরনের ব্যবসার  মধ্যে পাইকারি ব্যবসা অন্যতম। এখন চলুন সবাই মিলে প্রথমেই জেনে নেই পাইকারি ব্যবসাটা আসলে কি? 

পাইকারি ব্যবসা হচ্ছ  এমন ধরনের ব্যবসা যেখানে  ব্যবসায়ীরা সরাসরি উৎপাদকের কাছ থেকে অল্প টাকার বিনিময় অনেক পণ্য ক্রয়  করে এনে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার যে প্রক্রিয়া  তাই হল পাইকারি ব্যবসা। 


আপনি পাইকারি ব্যবসা কেন করবেন?

বর্তমান বাজারে অনেক ব্যবসা থাকা সত্ত্বেও আপনি পাইকারি ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিবেন এই জন্য যে বর্তমান বাজারে পাইকারি ব্যবসায় লাভের হারটা অনেক বেশি,এটাই  সবচেয়ে বড় কারণ।এই ব্যবসায় প্রতিযোতার হার অনেক কম আর অন্য দিকে  খুচরা বিক্রেতার হার অনেক বেশি এবং প্রসারিত হওয়ার হারও বেশি,যার ফলে  খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে প্রতিযোগিতাটা অনেক বেশি হয়েছে। আপনি যদিও  প্রশ্ন করতে পারেন যে তাহলে কি পাইকারি বাজারে প্রতিযোগিতা নেই। 

হ্যাঁ পাইকারি বাজারও প্রতিযোগিতা রয়েছে। কিন্তু সেটা খুচরা বাজারের তুলনায় অনেক নগণ্য। বলতে পারেন যে খুচরা বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা কম কিন্তু পাইকারি বাজারের ব্যবস্থা লস হওয়ার সম্ভবনাও  থাকে। 

 তাহলে হয় মনে আপনি এটা ভুলে যাচ্ছেন যে পাইকারি বাজারে খুচরা বাজারে তুলনায় লাভ হওয়ার সম্ভনা অনেক বেশি এবং এর সাথে প্রতিযোগিতাও  কম। 

আবার আপনি যেহেতু লসের কথা বলেই ফেলছেন তাহলে আপনার একটা বিষয়  জানা দরকার সেটা হচ্ছে 

"নো রিক্স নো গেইন"  নামে একটা প্রবাদ বাক্য রয়েছে। এই প্রবাদ বাক্যের মানে যদি আপনি বুঝতে পারেন তাহলে আপনার এই পাইকারি বাজার যে ভীতি রয়েছে সেই ভিতির সম্ভবনাও কমে যাবে। 

আপনাদের যদি পাইকারি ব্যবসার অভিজ্ঞতা নিতে হয়। তাহলে দেখতে পাবেন যে যারা খুচরা বাজারে একটু বেশী প্রফিট লাভ করছে। তারা খুচরা বাজার থেকে পাইকারি বাজারের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এই বিষয়টা আপনি শহর গ্রাম সব ধরনের  বাজারে লক্ষ্য করে থাকবেন।

পাইকারি ব্যবসায় সফল হওয়ার উপায়

পাইকারি ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য আপনার প্রথমের সর্বোত্তম  পদক্ষেপটি হবে যে আপনি  কোন  অঞ্চলে ব্যবসা করছেন। সেই অঞ্চল সম্পর্কে ধারণা নেওয়া এবং  ওই অঞ্চলের  ব্যবসার পরিবেশ সম্পর্কে বুঝা। 

এর সঙ্গে সে অঞ্চলের যে খুচরা ব্যবসায়ী রয়েছে সে খুঁচরা  ব্যবসায়ীর চাহিদা সম্পর্কে জানতে হবে। এরপর আপনি পাইকারি ব্যবসা করার জন্য ওই অঞ্চলের একটা উপযুক্ত পণ্য অবশ্যই পেয়ে যাবেন।

উপযুক্ত যে পণ্যটি পেয়েছেন সেই পণ্যর বিষয়  আপনার কিছু কিছু অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত । যেমন আপনি যে পণ্যগুলো আনছেন সে পণ্যগুলো কোথা থেকে আনছেন এবং কাদের জন্য আনছেন। পণ্যগুলো অবশ্যই একটু ইউনি আনার চিন্তাভাবনা করবেন। অর্থাৎ আপনার কাছে যে মানের  পণ্যগুলি  আছে ও মানের পন্য  যেন আশেপাশে আপনার প্রতিযোগি ব্যবসায়ীদের কাছে  সাধারণত না থাকে। যদিও থেকে থাকে সেটা যেন অল্প পরিমাণে থাকে।


চলুন জেনে নেই  ব্যবসাটির  টাকার পরিমাণ অর্থাৎ সাধারণত পাইকারি ব্যবসা  শুরু করতে কত টাকা লাগতে পারে 

এভাবে অনেক লাভজনক ব্যবসা করতে কাচা মালের পরিমাণ বেশি লাগে যার ফলে এ ব্যবসায় টাকার পরিমাণটা অনেকটাই  বেশি। বিকশেষ করে খুচরা ব্যাবসায়ীদের তুলনায়।  কেননা আপনাকে অনেক বেশি পণ্য কিনতে হবে তার সাথে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ, অন্য বিষয়ে অনেক রকম খরচটা বেশি হবে, পণ্যের ট্রান্সপোর্ট খরচ টাও বেশি হবে।

 এজন্য আপনার ব্যবসাটি করতে হলে ১০ লাখ টাকার মত এমাউন্ট নিয়ে যদি করেন তাহলে ভালো হয়। আর প্রথম দিক দিয়ে যদি আপনার কাছে এতগুলো এমাউন্ট না থাকে তাহলে আপনি ১ লাখ থেকে শুরু করে যত পর্যন্ত পারেন ইনভেস্ট করতে পারেন। 


চলুন জেনে নেই  পাইকারি ব্যবসার প্রযোজনীয় বিষয় সমূহ

বেশি করে ইনভেস্টমেন্ট করার মানসিকতা 

দুনিয়াতে যে ব্যবসাই করতে যান না কেন সে ব্যবসা  শুরু  করতে হলে প্রথমে কিছু ইনভেস্ট করতেই হবে। ব্যবসা ইনভেস্টমেন্ট এর উপর নির্ভর করার একটাই পাইকারি ব্যবসা যেত একটু বড় ধরনের ব্যবসা আপনাকে ইনভেস্টমেন্টটাও  একটু বেশি করতেই হবে।

সংরক্ষণ করার মতো জায়গা

ব্যবসায় যেহেতু আপনি অনেকগুলো পণ্য কিনবেন সেজন্য আপনার পণ্য রাখার জন্য অনেক জায়গা প্রয়োজন।শুধু অনেক জায়গা হলেই হবে ন এমন হতে হবে যেন পণ্যগুলো রাখা উপযুক্ত হয়। কেননা পণ্য বেশি হওয়ার ফলে এটা আপনার কাছে থাকবে বেশিদিন আর বেশি দিন থাকলে এর ভ্যালিডিটি যেন নষ্ট না হয়ে যায় সেদিকে সেদিকে লক্ষ্য রাখাতে হবে। 

উদাহরণস্বরূপ 

আপনি ধানের ব্যবসা যদি করেন। সেখানে ধান  আপনাকে এমনভাবে সংরক্ষণ করতে হবে যেন সেগুলো পোকা না ধরে।

ট্রেড লাইসেন্স 

যে কোন ধরনের বড় ব্যবসা করতে হলে আপনাকে  অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স, টিন নাম্বার, ইন নাম্বার দরকার হবে। আর আপনার পাইকারি ব্যবসাটা একটু  বড় ধরনের ব্যবসা হওয়ার  জন্য আপনার প্রথম দিক দিয়ে হয়তো টিন নাম্বার, ইন নাম্বার, ট্রেড লাইসেন্স লাগবে না কিন্তু পরবর্তীতে গিয়ে অবশ্যই লাগবে এজন্য  আগে থেকে করে রাখাই ভালো। 

ধৈর্য ওবুদ্ধিমত্তা 

যে ব্যবসায়ী করতে যান না কেন আপনার অবশ্যই ধৈর্য শক্তি থাকতে হবে। কারণ সফলতা অর্জন করতে ধৈর্য শক্তির কোন বিকল্প পথ নেই। মনে করেন যে আপনি ১০ লাখ টাকার ধান কিনেছেন ব্যবসা করার জন্য। কিন্তু আপনি চান এক মাসের মধ্যে আপনি লাভ করবেন। কিন্তু আপনারই লাভ আপনি ছয় মাস পর করতে পারবেন। আপনাকে অবশ্যই ছয় মাস ধরে ধৈর্য ধরে থাকতে হবে। 

আর বুদ্ধিমত্তা হলো আপনাকে অবশ্যই চাহিদা অনুযায়ী পন্য কিনতে হবে। আপনি যে অঞ্চল ব্যবসা করছেন আপনার দেখতে হবে সে অঞ্চলে মানুষ কোন ধরনের ধান এর প্রতি বেশি আগ্রহ বোধ করে। 



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন