৯ টি পার্টটাইম ব্যবসার আইডিয়া

 

ব্যবসার আইডিয়া
পার্টটাইম ব্যবসা




আপনারা কি জানেন পার্ট-টাইম ব্যবসা কি? কিভাবে করতে হয়? পার্ট-টাইম ব্যবসা করতে কি কি লাগে?

 ছাত্র অবস্থায় বা চাকরির পাশাপাশি অনেকেই পার্ট-টাইম ব্যবসা করতে চায়। আজকের লেখায় ৮টি পার্ট-টাইম ব্যবসা আইডিয়া নিয়ে কথা বলবো।

পড়ালেখা বা অফিস-চাকুরি করার পাশাপাশি আরও একটি ব্যবসা করা যেতে পারে, তা হল পার্ট-টাইম ব্যবসা।পার্ট-টাইম ব্যবসা করা আপনাকে বেশি লাভ দিতে পারে। আজকে আমি আপনাদের সাথে ৮টি পার্ট-টাইম ব্যবসা আইডিয়া নিয়ে কথা বলবো যা আপনারা বিশেষত অবকাশ সময়ে করে লাভজনক হতে পারেন।

কর্মজীবনর্ম শুরু করার এবং লাভজনক হওয়ার জন্য পার্ট-টাইম ব্যবসা একটি আদর্শ প্লাটফর্ম হিসাবে দাঁড়িয়ে থাকে। অল্প সময় এবং কম পুজিঁ দিয়ে পার্ট-টাইম ব্যবসা খুব সহজেই পরিচালিত করা যায় এবং এটি লাভজনক।

অনেকে ঘরে বসে স্বপ্নপূর্ণভাবে এই পার্ট-টাইম ব্যবসা করে নিজেকে সাবলম্বী হিসাবে উন্নত করে যাচ্ছেন। 

নিচে আমি আপনাদের সাথে এই পার্ট-টাইম ব্যবসা নিয়ে ৮টি আইডিয়া আলোচনা করবো।


অনলাইনে ৯৯ টাকায় পণ্য বিক্রি

যদিও আপনি ৯৯ টাকার দোকান দিয়ে কাজটি শুরু করতে পারবেন তবে, পার্ট-টাইম ব্যবসা করতে চাচ্ছেন সেক্ষেত্রে অনলাইনে বিক্রি করা উত্তম। এখানে আপনি চক বাজার থেকে প্রয়োজনীয় পণ্যগুলি পাইকারি দামে কিনতে পারবেন।


প্রাথমিকভাবে আপনার প্রয়োজন হবে:

৩০,০০০ টাকা মূলধন। পণ্য ক্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থানুবাদক। একটি নাম নির্ধারণ করুন। নিজের একটি ফেসবুক পেজ এবং গ্রুপ তৈরি করুন এবং কিছুBuy-Sell গ্রুপে যোগ দিন। ফেসবুক পোস্টগুলি বুস্ট করুন।


আপনি নিম্নলিখিত পণ্যগুলি ক্রয় করতে পারেন:

খেলনা, ফটোফ্রেম, শো-পিস, স্টেশনারি আইটেম, মেকআপ আইটেম ইত্যাদি।

সমস্ত পণ্যগুলির দাম আপনি ১০০ টাকার মধ্যেই রাখবেন। আর মার্কেটিং করতে আপনি ৯৯ টাকা কেন্দ্রিত থাকবেন। পণ্য অর্ডার পরলে, আপনি SteadFast, Redx, Pepperfry বা সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ডেলিভারি সরবরাহ করতে পারেন।


অনলাইন ব্যবসা

ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে একটি অনলাইন পেজ তৈরি করে খুব সহজে অনলাইন ব্যবসা শুরু করা যায়। আপনি যেই পণ্য নিয়ে ব্যবসা করতে চান, সেই পণ্যের সুন্দর ছবি তুলে পেইজে আপলোড করে আপনি আপনার অনলাইন দোকানটি সাজাতে পারেন।

বেশি বেশি পোস্ট শেয়ার করে আপনি আপনার অনলাইন পেজের পণ্যগুলি হাজার হাজার মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারবেন। ফেসবকেু অনলাইন ব্যবসা করার নিয়ম কাননু লেখাটি চাইলে পড়ে নিতে পারেন।

এছাড়া আপনি দারাজেও পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। তারা পণ্যের অর্ডার এনে দিবে এবং নিজেই ডেলিভারি করে দিবে। এখানে দারাজ শুধুমাত্র পণ্য বিক্রির পরে আপনার থেকে কমিশন নিবে।


প্রাথমিকভাবে শুরু করতে যা যা লাগবে:

২০-৩০ হাজার টাকা মূলধন। অনলাইনে বিক্রি করার জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য। একটি অনলাইন পেজ। ইন্টারনেট সংযোগ। সুন্দর ফটোশপিং দক্ষতা।

এ ধরনের পণ্য ক্রয় করে অনলাইন ব্যবসা শুরু করা যায়। অনলাইন পেজে আকর্ষণীয় পোস্ট এবং পোস্ট শেয়ারের মাধ্যমে আপনার অনলাইন পেজের পণ্যগুলি মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারবেন।

আপনার অনলাইন পেজের পণ্যগুলি আপনি ডেলিভারি সার্ভিসের মাধ্যমে কাস্টমারের কাছে ডেলিভারি করতে পারবেন।



অনলাইনে মগ প্রিন্ট ব্যবসা

অনলাইনে মগ প্রিন্ট এর জন্য একটি স্পেশাল প্রিন্টিং মেশিন দরকার পড়ে। এই মেশিনের মাধ্যমে মগে বিভিন্ন ডিজাইন বা প্রিয় মানষেু র ছবি প্রিন্ট করা হয়। আপনাকে নিজেই এই মেশিনটি কিনতে হবে না। বর instead আপনি সহজেই অনলাইনে অর্ডার সংগ্রহ করতে পারেন এবং অর্ডার গ্রহণ করার জন্য মগ প্রিন্টিং প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

বিভিন্ন দিনে বা ইভেন্টে বিভিন্ন কর্পোরেট কোম্পানিদের মগ প্রিন্টিংর প্রয়োজন হয়। আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করে অর্ডার সংগ্রহ করতে পারেন।

মগ প্রিন্টিং ব্যবসার জন্য প্রাথমিকভাবে আপনার যা যা প্রয়োজন:

২০-৩০ হাজার টাকা মূলধন। কিছুমগ প্রিন্টিং প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি বা সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা এবং মূল্য তালিকা নেওয়া। প্রিন্টিং মেশিন নিজে করতে চান কিনা, এটা ভিন্নভাবে পরিচালিত হবে কিনা। সুন্দর ডেকোরেশন করতে পারা সম্ভবতা, যদি নিজে করতে চান।


যা ক্রয় করতে হবে:

বিভিন্ন সাইজ এবং ডিজাইনের কাচের মগ, যদি নিজে করতে চান। প্রিন্টিং কালার, যদি নিজে করতে চান।

ডেকোরেশনের জন্য যা যা প্রয়োজন, যদি নিজে করতে চান।এই ব্যবসায় ডেলিভারি বা কুরিয়ারের প্রয়োজন হবে।


ফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি মক্তু পেশা যা মানষুকে পড়াশোনা বা চাকরির পাশাপাশি অনলাইনে আয় করার সুযোগ দেয়। এই ব্যবসা করে মানষু নিজের সময় ও কাজের নির্দিষ্ট নিয়ম ও শর্তাবলী অনুযায়ী কাজ করতে পারেন এবং আয় উপার্জন করতে পারেন। তবে এই ক্ষেত্রে একটি উচ্চমানের দক্ষতা ও স্কিল প্রয়োজন হয়। আপনার কাছে ভালো স্কিল না থাকলে সফলতা অর্জন করা কঠিন হতে পারে। অনলাইনে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত অনেক লেখা পাবেন এবং সেগুলো পড়ে নিতে পারেন।

এই ব্যবসার জন্য আপনার প্রয়োজনীয়ভাবে নিম্নলিখিত জিনিসগুলো থাকতে পারে:

একটি ল্যাপটপ, ডেস্কটপ অথবা স্মার্টফোন. ভালো ইন্টারনেট কানেকশন.

ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত বিভিন্ন কাজের স্কিল বা দক্ষতা.

যদি ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষ না হন, তাহলে আপনি বিভিন্ন কোর্সে অংশগ্রহণ করে নিজের দক্ষতা উন্নত করতে পারেন।

অনলাইনে এখন অনেক প্রতিষ্ঠান ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত কোর্স প্রদান করছে। তাদের কোর্স সম্পন্ন করে আপনি স্কিল ডেভেলপ করতে পারেন।

সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে, ফ্রিল্যান্সিং একটি স্বাধীন পেশা যা আপনাকে আপনার কাজের নির্দিষ্ট শর্তাবলী অনুযায়ী কাজ করতে দেয় এবং আয় উপার্জন করতে সাহায্য করে। আপনি নিজের সময় এবং কাজের নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসারে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন এবং আপনি নিজের আয়ের উপার্জন পদ্ধতি নির্বাচন করতে পারেন।

কন্টেন্ট রাইটিং ও ব্লগিং

কন্টেন্ট রাইটিং এবং ব্লগিং হলো অভিজ্ঞতা এবং ভাল দক্ষতার মাধ্যমে একটি আরও ব্যবসা যা লেখার মাধ্যমে আকর্ষণীয় ও মানসম্পন্ন তথ্যগুলি মানুষের সামনে প্রদর্শন করে। এটি নিজের লেখার দক্ষতা ব্যবহার করে নিজের ওয়েবসাইটে ব্লগিং করে মাসিক আয় উপার্জন করার একটি প্রধান উপায়।

কন্টেন্ট রাইটিং ও ব্লগিং করতে আপনার প্রয়োজন হবে:

একটি স্মার্টফোন, ল্যাপটপ অথবা ডেস্কটপ.একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করার জন্য,ভালো ইন্টারনেট সংযোগ,লেখার ভালো মান ও দক্ষতা।

আপনি নিজেই বসে ঘরের মধ্যে ওয়েবসাইটে ব্লগিং করে মাসিক আয় উপার্জন করতে পারেন।

সারসংক্ষেপে বলতে গেলে, কন্টেন্ট রাইটিং ও ব্লগিং হলো কম্পিউটারের সাহায্যে লেখা ও প্রকাশ করা যা আপনাকে নিজের ওয়েবসাইটে ব্লগিং করে পাঠকদের আকর্ষণীয় ও মানসম্পন্ন লেখাগুলি প্রদর্শন করে এবং মাসিক আয় উপার্জন করতে সাহায্য করে।


ইউটিউব বা ফেসবুকে ভিডিও তৈরি

ইউটিউব বা ফেসবুকে ভিডিও তৈরি করে ঘরে বসে সহজেই আয় করা সম্ভব। এই দিনেদিনে মানুষরা সোশ্যাল মিডিয়াতে আরও অধিক একটিভ হচ্ছেন। এই ব্যবসা একটি পার্ট-টাইম উদ্যোগ হিসাবে আপনার জন্য ভালো আয়ের উপায় হতে পারে।

আপনি ইউটিউব বা ফেসবকেু ভিডিও তৈরি করতে শুরু করতে নিম্নলিখিত জিনিসগুলি প্রয়োজন হবে:

30-40 হাজার টাকার মূলধন।  এটি ভালো মোবাইল, লাইট এবং মাইক্রোফোন কেনার জন্য প্রয়োজন।

একটি ইউটিউব চ্যানেল বা ফেসবকু পেইজ,একটি নাম নির্ধারণ করুন, সুন্দর ভিডিও তৈরি করার দক্ষতা, ভালো এডিটিং করার দক্ষতা।


আপনার ক্রয় করতে হবে:


একটি ভালো মানের ক্যামেরা।

একটি ল্যাপটপ / ডেস্কটপ / স্মার্টফোন,পেইড ভিডিও এডিটিং অ্যাপস,ভালো মানের মাইক্রোফোন।

যদি আপনি সুন্দর ভিডিও তৈরি এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার করতে পারেন তবে এই ব্যবসায় মাসিক ভালো আয়ের সুযোগ রয়েছে।


সেলাই বা টেইলারিং ব্যবসা

আপনি ৮-১০ হাজার টাকা খরচ করে সেলাই মেশিন এবং সেলাই সরঞ্জাম কিনে শুরু করতে পারেন। যদি আপনার ঘরে সেলাই মেশিন রাখার জন্য যথেষ্ট স্থান থাকে, তাহলে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

এছাড়াও, বিভিন্ন উপলক্ষে বা ধর্মীয় উৎসবে (যেমন: ঈদ, পূজা) আপনার বিক্রি আরও বেড়ে যাবে।

সেলাই ব্যবসার শুরুতে নিম্নলিখিত জিনিসগুলি প্রয়োজন:

২০-৩০ হাজার টাকার মূলধন,সেলাই করার দক্ষতা, সেলাই সরঞ্জাম।


ইউটিউবউব বা ফেসবুকে ভিডিও তৈরি করে ঘরে বসে সহজেই আয় করা সম্ভব। এই দিনেদিনে মানুষরা সোশ্যাল মিডিয়াতে আরও অধিক একটিভ হচ্ছেন। এই ব্যবসা একটি পার্ট-টাইম উদ্যোগ হিসাবে আপনার জন্য ভালো আয়ের উপায় হতে পারে।

আপনি ইউটিউব বা ফেসবকেু ভিডিও তৈরি করতে শুরু করতে নিম্নলিখিত জিনিসগুলি প্রয়োজন হবে:

30-40 হাজার টাকার মূলধন। এটি ভালো মোবাইল, লাইট এবং মাইক্রোফোন কেনার জন্য প্রয়োজন।

একটি ইউটিউব চ্যানেল বা ফেসবকু পেইজ।

একটি নাম নির্ধারণ করুন, সুন্দর ভিডিও তৈরি করার দক্ষতা, ভালো এডিটিং করার দক্ষতা।


আপনার ক্রয় করতে হবে:


একটি ভালো মানের ক্যামেরা,একটি ল্যাপটপ / ডেস্কটপ / স্মার্টফোন,পেইড ভিডিও এডিটিং অ্যাপস।ভালো মানের মাইক্রোফোন।

যদি আপনি সুন্দর ভিডিও তৈরি এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার করতে পারেন তবে এই ব্যবসায় মাসিক ভালো আয়ের সুযোগ রয়েছে।

সেলাই বা টেইলারিং ব্যবসা

আপনি ৮-১০ হাজার টাকা খরচ করে সেলাই মেশিন এবং সেলাই সরঞ্জাম কিনে শুরু করতে পারেন। যদি আপনার ঘরে সেলাই মেশিন রাখার জন্য যথেষ্ট স্থান থাকে, তাহলে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

এছাড়াও, বিভিন্ন উপলক্ষে বা ধর্মীয় উৎসবে (যেমন: ঈদ, পূজা) আপনার বিক্রি আরও বেড়ে যাবে।

সেলাই ব্যবসার শুরুতে নিম্নলিখিত জিনিসগুলি প্রয়োজন:

২০-৩০ হাজার টাকার মূলধন। 

সেলাই করার দক্ষতা।

সেলাই সরঞ্জাম।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন