৫ টি অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া
বর্তমান যুগ হচ্ছে ইন্টারনেটের যুগ। আর ইন্টারনেটের যুগ হওয়ার জন্য বর্তমান সব কিছুই সাধারণত মানুষে ইন্টারনেটের মাধ্যমে করতে চাই। এর জন্য বর্তমান অনেক ব্যবসা রয়েছে যেগুলো অনলাইনের মাধ্যমে হচ্ছে। আর বর্তমান যত ব্যবসা রয়েছে সব ব্যবসার মধ্যেই ইন্টারনেটের একটা প্রভাব। অনলাইন ব্যবসা ফলে মানুষজন স্বাবলম্বী দ্রুত হচ্ছে। আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব অনলাইন বাসার ৫ টি আইডিয়া। চলুন শুরু করা যাক।
![]() |
| অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া |
১.ই কমার্স
ইন্টারনেট ব্যবহার করে না এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল ।এত বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মানুষের কারণে বর্তমানে ই কমার্স ব্যবসাটি বহুল জনপ্রিয় ।আবার এটি শুরু করা অনেক সহজ। কেননা এই ব্যবসা শুরুর দিকেই আপনি আপনার কাছের মানুষদের ক্রেতা বানাতে পারেন।
অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা হওয়ায় তাই প্রথমে আপনি একটি অনলাইন প্লাটফর্ম তৈরি করবেন যার জন্য আপনি একটি ফেসবুক পেজ অথবা বড় করে করতে চাইলে একটু ওয়েবপেজ তৈরি করতে হবে। কোন কোন পণ্যগুলো বিক্রি করতে চান সেগুলো একটি যথার্থ লিস্ট তৈরি করুন এবং সে অনুযায়ী পণ্যগুলো বিক্রি করুন।
বিশেষ উৎসব উপলক্ষে যেমন (ঈদ, পূজা, বড়দিন, পহেলা বৈশাখ) বিভিন্ন আকর্ষণ ডিজাইনের পাঞ্জাবি, শাড়ি, চশমা তৈরি করে আপনার পেজ অথবা ওয়েব পেজে উপস্থাপন করতে হবে। ফলে আপনার ক্রেতার সংখ্যা বহুগুনে বেড়ে যাবে।
ব্যবসাটি আপনি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে শুরু করতে পারেন।
২.ফটোগ্রাফি
ফটোগ্রাফি একটি চমৎকার পেশা , যেটির কাজ হলো অদ্ভুত মোমেন্টগুলি ক্যাচ করে রাখে। ফটোগ্রাফি দ্বারা আপনি আপনার দেখা, অনভুূতি এবং ভাবনাগুলি অন্যদের সাথে ভাগ করতে পারেন। এটি একটি সৃজনশীল ব্যবসা হিসাবেও কাজ করতে পারে, যা আপনাকে নতুনভাবে মেলে ধরারা সুযোগ দেয়।
যদি আপনি ফটোগ্রাফি একটি ব্যবসা হিসাবে শুরু করতে চান, প্রথমেই আপনাকে যে বিষয়গুলোর অধিকারী থাকতে হবে। সেগুলো হলো একটি ডিএসেলার ক্যমেরা, আপনার ছবি তুলার একাগ্রতা।
আশেপাশের পরিবেশে অদ্ভুত স্থান খুঁজে বের করার দক্ষতা যেখানে আপনি ফটোগ্রাফি করতে পারবেন। নীলাচল, পাহাড়,সমদ্রু সৈকত, বনপ্রান্ত, শহরের জন্যে এই ধরনের স্থানগুলি অত্যন্ত উপযুক্ত।
এছাড়াও, আপনি অদ্ভুত মোমেন্টগুলি ধরে ফটোগ্রাফি করতে পারেন।
আপনি তাদেরকে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। আপনি এই ফটোগুলি বিভিন্ন সাইটে আপলোড করতে পারেন,যেমন: Shutterstock, iStock, Alamy, Depositphotos, Getty Images ইত্যাদি। মনে রাখবেন, যে সাইটগুলি আপনি ব্যবহার করবেন, সেগুলি বিক্রয় এবং সম্পর্কিত বিশিষ্ট নিয়মাবলী সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে জানতে হবে।
৩.অনলাইন শিক্ষক
অনলাইন শিক্ষক - কোভিড-১৯ মহামারীর পর অফলাইনে শিক্ষা প্রদান করা সীমাবদ্ধ হয়ে ছিলো তারপর থেকে অনলাইনে শিক্ষাব্যবস্থা একটা আলাদা মাত্রা লাভকরে। এখন প্রত্যেক ছাত্র বিশ্বাস করছে যে অনলাইনে পড়াশোনা করে তাদের শিক্ষার পথে আরও এগিয়ে যাওয়া যাবে।
আপনি যদি নিজে একজন দক্ষ ও জ্ঞানী শিক্ষক হয়ে থাকেন, তাহলে এই সুযোগটি আপনার কাছে অনেক বিশেষ হবে। আপনি নিজেই একটা Youtube চ্যানেল খুলে অথবা Facebook পেজ খুলে ছাত্রদের জন্য বিভিন্ন কোর্স আপলোড করে অনলাইনে পড়াশোনা করার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেন।
এটার জন্য আপনাকে অত্যন্ত পরিশ্রম করতে হবে না। আপনি নির্দিষ্ট সময় ব্যবহার করে ছাত্রদের পড়ানোর চেষ্টা করতে পারেন। আপনি সময় বের করে একটি পাঠের জন্য স্বল্প সংখ্যক ছাত্রদের পড়ান এবং তাদের জন্য প্রশ্নোত্তর করতে পারেন।
আপনি প্রথমেই শিক্ষামূলক সাইটে,শিক্ষামূলক ফেসবুক গ্রুপে ছাত্রদের খোঁজ করুন যেখানে আপনি আপনার শিক্ষামূলক কার্যকলাপ তুলে ধরতে পারেন। এইভাবে আপনি আপনার শিক্ষামূলক দক্ষতা শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রচার করতে পারেন।
দেখবেন, কিছু দিনের মধ্যেই আপনার কাছে অনেক ছাত্ররা আসবেন। যখন
আপনি ছাত্রদের সাথে বন্ধুত্ব ও গল্পের ছলে পড়াবেন , তখন আপনার জনপ্রিয়তা আরো বৃদ্ধি পাবে । এইভাবে আপনি মানুষের মাঝে জনপ্রিয় হতে শুরু করবেন।
৪.মোবাইল ব্যাংকিং
এটি এমন একটি ব্যবসা যেটি আপনাকে নিশ্চিত লাভের মুখ দেখাবে। বর্তমানে মোবাইল ব্যবহার করেন এমন ব্যক্তি খুবই কম। মোবাইলকে আমরা যোগাযোগের সবচেয়ে সস্তা মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করি। আমাদের এই যোগাযোগের মাধ্যম কে চালু রাখতে হলে মোবাইল রিচার্জ করতেই হবে। আবার বর্তমানে গ্রাম অঞ্চল থেকে শহর অঞ্চল শহর অঞ্চল থেকেগ্রাম অঞ্চল অঞ্চলে দ্রুত গতিতে টাকা পাঠানোর মাধ্যমে হিসেবে আমরা বিকাশ উপায় নগদ ব্যবহার করি। আর এগুলোই হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং। আমার বর্তমানে যেকোন ডকুমেন্ট আর হাতে লেখা হয় না সেগুলো টাইপ করে প্রিন্টিং করা হয়। যেহেতু এগুলোর ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে তাই ব্যবসা করলে আপনি লাভবান হবেনই। এই ব্যবসা করার জন্য আপনার সারাঞ্জম হিসেবে বেশি কিছু লাগবে না শুধু একটা মোবাইল, প্রিন্টিং মেশিন হলেই চলবে।
আপনি যদি শুধু মোবাইল ব্যাংকিং মোবাইল রিচার্জ এর ব্যবসা করেন তাহলে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।
৫.কন্টেন্ট রাইটিং ও ব্লগিং
কন্টেন্ট রাইটিং এবং ব্লগিং হলো অভিজ্ঞতা এবং ভাল দক্ষতার মাধ্যমে একটি আরও ব্যবসা যা লেখার মাধ্যমে আকর্ষণীয় ও মানসম্পন্ন তথ্যগুলি মানুষের সামনে প্রদর্শন করে। এটি নিজের লেখার দক্ষতা ব্যবহার করে নিজের ওয়েবসাইটে ব্লগিং করে মাসিক আয় উপার্জন করার একটি প্রধান উপায়।
কন্টেন্ট রাইটিং ও ব্লগিং করতে আপনার প্রয়োজন হবে:
একটি স্মার্টফোন, ল্যাপটপ অথবা ডেস্কটপ লাগবে।এসব যে কোন একটি ডিভাইসে একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করার জন্য,ভালো ইন্টারনেট সংযোগ,লেখার ভালো মান ও দক্ষতা।
আপনি নিজেই বসে ঘরের মধ্যে ওয়েবসাইটে ব্লগিং করে মাসিক আয় উপার্জন করতে পারেন।
সারসংক্ষেপে বলতে গেলে, কন্টেন্ট রাইটিং ও ব্লগিং হলো কম্পিউটারের সাহায্যে লেখা ও প্রকাশ করা যা আপনাকে নিজের ওয়েবসাইটে ব্লগিং করে পাঠকদের আকর্ষণীয় ও মানসম্পন্ন লেখাগুলি প্রদর্শন করতে পারেন এবং মাসিক মোটা অঙ্কের টাকা আয় উপার্জন করতে পারবেন।
