৫ হাজার টাকার ব্যবসার কথা শুনে অনেকে মনে মনে হাসছেন, কিন্তু বিশ্বাস করেন, ৫ হাজার টাকা দিয়ে ও ব্যবসা করা সম্ভব। এই লেখায় আমি কয়েকটি ৫ হাজার টাকার ব্যবসার সম্পূন্ন আইডিয়া দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
![]() |
| ৫ হাজার টাকার লাভজনক ব্যবসা |
৫ হাজার টাকায় ব্যবসা
এক নজরে সম্পূর্ণ লেখা দেখুন। ৫ হাজার টাকার ব্যবসা আইডিয়া
➢ কাগজের ব্যাগ তৈরি ও বিক্রয়।
➢ বাদাম ও ড্রাই ফুড ফেরী করে বিক্রয়।
➢ ঝাল মড়িু বিক্রয়।
➢ কাঁচামাল ও শাক-সবজি বিক্রয়।
➢ ফেসবকু এবং বিভিন্ন Buy Sell Group-এ পণ্যের ছবি দেয়া এবং বিক্রয় করা। পণ্যের আদেশ পেলে পাইকারি মার্কেট থেকে ক্রয় করে হোম ডেলিভারি করা।
➢ ৪ হাজার টাকায় মাছ ক্রয় করে, ৫ হাজার টাকায় মাছ বিক্রয় করা।
➢ আচার, জালমড়িু , সিজনাল খাবার (শশা, গাজর) বিক্রয়।
➢ ছোট শিশুদের খেলনা বিক্রয়।
➢ ছোট শিশুদের জামা কাপড় বিক্রয়।
➢ হাতে তৈরি শুকনো খাবার, পিঠা, পায়েস, মিষ্টি এই সকল পণ্যগুলি বিভিন্ন অফিস এবং আদালতের সামনে বিক্রয় করলে অতিরিক্ত আয় উপার্জন করা যায়।
ইন্টেরিয়র কনসালট্যান্সি: গৃহসজ্জা
যারা ঘর সাজাতে পছন্দ করেন এবং মানুষের ঘর, বারান্দা, অফিসকে সৌন্দর্যে রঙ্গাতে পারেন, তারা হোমডেকোরেটিং বিজনেস শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসায়, আপনার মলূধন খুবই প্রয়োজন হবে না। শুধুমাত্র আপনার বিবেক, অবস্থান সম্পর্কিত জ্ঞান, এবং ঘর সাজানোর সৃজনশীলতা থাকতে হবে।
আয় করার উপায়গুলি হলো:
➢ ঘর সাজানোর সেবা প্রদানের জন্য চার্জ নিতে পারেন।
➢ ঘর সাজানোর জন্য বিভিন্ন সৌভাগ্যময় পণ্য, গাছ, ওয়ালপেপার, বেডশীট কভার, কার্পেট, প্রশান্তি প্রদানকারী পদার্থ ইত্যাদি সরবরাহ করে আয় করতে পারেন।
➢ ডিজাইন কনসাল্টেন্সি প্রদান করে আয় করতে পারেন, যেখানে আপনি ক্লায়েন্টদের সাথে মিলিয়ে কাজ করে তাদের ঘরের ডিজাইন এবং সাজানোর পরামর্শ প্রদান করবেন।
আপনি এই আইডিয়াগুলি ব্যবহার করে ৫ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করতে পারেন। সাফল্য আর উন্নতির জন্য মার্কেটিং কার্যক্রম, গ্রাহক সন্ধান ও সন্তুষ্টিপূর্ণ পরিচালনা বিবেচনা করা উচিত।
ফলের রসের দোকান: ব্যবসা আইডিয়া
গ্রীষ্মকালে আমরা অনেক জায়গায় ফলের রসের জসু এবং শরবতের দোকান দেখতে পাই। সম্প্রতি এই ধরনের ব্যবসা খুবই জনপ্রিয় হয়েছে এবং অল্প পুজিঁ লাগে এই ব্যবসা শুরু করার জন্য। ৫ হাজার টাকায় ব্যবসা আইডিয়াটি অন্যগুলোর চেয়ে লাভজনক হতে পারে।
ফলের রসের দোকান ব্যবসার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে:
➢ একটি টেবিল।
➢ জসু রাখার জন্য একটি গ্লাস বক্স বা ফিল্টার।
➢ ফল কে রাখতে হবে একটি কাঁচামাল বাক্সে।
➢ জসু তৈরির জন্য একটি ব্লেন্ডার এবং অন্যান্য সামগ্রী।
এই সামগ্রীগুলো ব্যবহার করে আপনি ফলের রসের দোকান চালাতে পারেন। ব্যবসায়ের সাফল্য ও বদ্ধিৃ র জন্য মার্কেটিং পরিচালনা, গ্রাহক সন্ধান এবং সন্তুষ্টিপূর্ণ পরিচালনা প্রয়োজন। সঠিক মার্কেটিং পরিকল্পনা ও প্রচারণা করে আপনি এই ব্যবসায় সাফল্য অর্জন করতে পারেন।
ক্ষুদ্র পাইকারি ব্যবসা: বিভিন্ন পন্য এবং বাচ্চাদের খাবার
আপনি পাইকারি ব্যবসায়ী হিসেবে বিভিন্ন পন্য এবং বাচ্চাদের খাবার আইটেম নিয়ে সেলসম্যান হিসেবে আপনার এলাকায় মদিু দোকানগুলোতে সাপ্লাই দিতে পারেন। চক বাজার থেকে বিভিন্ন খাবার আইটেম, মসলা, কাচামাল ইত্যাদি প্রাপ্ত করা যায়।
এই ব্যবসার জন্য প্রয়োজন হবে:
➢ মার্কেটিং সম্পর্কে ভালো ধারণা। বর্তমানের চাহিদা ও ট্রেন্ড জানতে হবে।
➢ ৫ হাজার টাকার পন্য।
➢ সময়, ধৈর্য ও পরিশ্রম।
এই ক্ষুদ্র পাইকারি ব্যবসায়ে আপনি প্রায় ২৫% - ৩০% লাভ উপার্জন করতে পারেন। অর্থাৎ ১,০০০ টাকা পুজিঁ তে
প্রায় ২৫০-৩০০ টাকা ইনকাম সম্ভব। আপনি পরিশ্রমী হলে মাসে ১ - ১.৫ লক্ষ টাকার পন্য বিক্রি করতে পারবেন এবং ভালো পরিমান উপার্জন করতে পারবেন।
ফ্লেক্সিলোড ও টেলিকম ব্যবসা: রিচার্জ ব্যবসা
রিচার্জ ব্যবসা অল্প টাকায় শুধুমাত্র স্মার্টফোন এবং টেবিল চেয়ার দিয়েই অত্যন্ত সহজে শুরু করা যায়।
ফ্লেক্সিলোড অথবা টেলিকম একাউন্ট খুলে মোবাইল সিমের মিনিট, এমবি, বান্ডেল অফার গুলো সামান্য মূল্যে ক্রয় করে বিক্রয় করা যায়। সম্পূর্ণ বিনিময়ে আপনি একটি ৫০০ টাকা মূল্যের অফারকে ৩৭০-৩৯০ টাকায় ক্রয়করে, অন্য সিমে লোড করে লাভ উপার্জন করতে পারবেন।
ফ্লেক্সিলোড ও টেলিকম ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো নিতে হবে:
➢ একটি স্মার্টফোন
➢ টেবিল চেয়ার
➢ একটি বড় ছাতা
➢ ফ্লেক্সিলোড বা টেলিকম একাউন্ট
এই পদক্ষেপগুলো নেওয়ার পরিবর্তে আপনি বিভিন্ন স্থানে অথবা বাজারে একটি টেবিলে বসে থাকেন এবং
মোবাইল সিমের রিচার্জ পরিষেবা সরবরাহ করতে পারেন। এছাড়াও, আপনি টেলিকম সার্ভার গুলোতে একাউন্ট খুলে অন্যদের জন্য রিচার্জ সরবরাহ করতে পারেন এবং এতে অত্যন্ত সহজে ইনকাম করতে পারেন।
ফ্লেক্সিলোড বা টেলিকম ব্যবসা প্রতিমাসে প্রায় ২৫‰ - ৩০% লাভ উপার্জন করতে পারেন। আপনি পরিশ্রমী হলে মাসে প্রায় ১-১.৫ লক্ষ টাকার রিচার্জ সম্পন্ন করতে পারেন এবং ভালো পরিমান উপার্জন করতে পারেন।
আধুনিক যুগে রাইটিং একটি স্বল্প পুজিঁর আধুনিক ব্যবসা ব্লগিং এবং কন্টেন্ট রাইটিং হলো একটি প্রফেশনাল ক্যারিয়ার পথ যা আপনি মিনিমাম পুজিঁ দিয়েই শুরু করতে পারেন। আপনি স্বল্প মূল্যে ডোমেইন এবং হোস্টিং নিয়ে ছোট একটি পরিসরে আপনার ব্লগ শুরু করতে পারেন।
এছাড়াও, আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপনার লেখা কন্টেন্ট বিক্রি করে ভালো আয় উপার্জন করতে পারেন।
আপনার লেখার দক্ষতা এবং ক্লায়েন্টের পরিমান উপরে ভিত্তি করে আপনি মাসিক ৩০,০০০-৫০,০০০ টাকা উপার্জন করতে পারেন।
ব্লগিং ও কন্টেন্ট রাইটিং জন্য আপনার প্রয়োজন হবে:
➢ একটি ভালো স্মার্টফোন
➢ ইন্টারনেট সংযোগ
➢ ডোমেইন খরচ
➢ হোস্টিং খরচ
➢ ওয়েবসাইট তৈরির খরচ
ট্যুর গাইড: যাত্রীদের সাথে অভিজ্ঞতা এবং পর্যটন সেবা
আমরা ট্যুরে যাত্রা করতে চাইলে বিভিন্ন গাইডদের সহযোগিতা পেতে অনেকগুলি বিষয় আলোচনা করি।
যাত্রীদের সহযোগিতা করার জন্যে আমরা যাতায়াত, হোটেল বুকিং ইত্যাদি ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করি। আরও কিছু পর্যটন কেন্দ্রে দেশি এবং বিদেশী ভ্রমণকারীদের সাথে ট্যুর গাইডের প্রয়োজন হয়।
আপনি স্বল্প পুজিঁ বা পুজিঁ না দিয়েও ট্যুরিস্টদের সহযোগিতার জন্যে ট্যুর গাইড হিসাবে কাজ করতে পারেন।
আপনি টিকেট বুকিং, পরিবহন, হোটেল বুকিং এবং অন্যান্য পরিচালনার প্যাকেজ তৈরি করে ভ্রমণকারীদের বিক্রয় করতে পারেন। যদি আপনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা অফিসের বার্ষিক পিকনিকের দায়িত্ব নিতে পারেন,তাহলে আপনি অধিক আয় উপার্জন করতে পারেন।
ট্যুর গাইড হওয়ার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে:
➢ পর্যটন কেন্দ্র এবং দর্শনীয় স্থানগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান।
➢ ট্রাভেল এজেন্সির সাথে সংযোগ।
➢ ভালো ইংরেজি এবং সাধারন জ্ঞানে দক্ষ।
