বর্তমানে মাইগ্রেন এর সমস্যা বিশ্ববাসীর জন্য একটি বহুল আলোচিত বিষয়। এরি ধারাবাহিকতায় এই সমস্যা বাংলাদেশও প্রকট রুপে ধারন করেছে। |
এ একপ্রকার এর ম্যাথাব্যাথা। এই ব্যাথা সাধারণত মাথার একদিক থেকে শুরু হয়। কিন্তু বর্তমানে মাথার দুই পাশেও দেখা যাচ্ছে। এটি হলে শুধু মাত্র মাথাব্যথা ই হয় না,,, এর ফলে অনেক ধরনের স্নায়ুবিক উপসর্গের ও পরিবর্তন হয়।
অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে,, কারো মধ্যে মাইগ্রেন এর লক্ষন প্রকাশ পেলেই তার মাইগ্রেন হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে যদিও,,, ' তার ম্যাথাব্যাথা না থাকে '।
মাইগ্রেন এর ফলে ৪ থেকে ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত ম্যাথাব্যাথা থাকতে পারে।এই ম্যাথাব্যাথা খুবই কষ্ট দায়ক এবং দীর্ঘস্থায়ী।
মাইগ্রেন এর লক্ষন:
- খাবার এর প্রতি অনিহা তৈরি
- বমি বমি ভাব হওয়া
- কোনো কাজের প্রতি মনোনিবেশ করতে না পারা
- চোখের সামনে আলোময় কিছু দেখা
- ম্যাথাব্যাথা করা( পুরো বা অর্ধেক মাথায়)
- শরীরের একপাশ ঝিনঝিন কারা
- অধিক পরিমানে ঘাম হওয়া
- দুর্বলতা অনুভব করা
মাইগ্রেন এর কারণ সমূহ:
- অতিরিক্ত শব্দ কানে এলে এই সমস্যা
- পনির, চকলেট, কফি বেশি পরিমানে গ্রহণ করলে
- অনিদ্রা, দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হলে
- দীর্ঘসময় খালিপেট থাকলে
- অধিক সময় ফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহার করলে
- হরমোনাল করনে
- জেনেটিক এর জন্য
- ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্ত চাপের করনেও এর প্রবন্তা বৃদ্ধি পায়
মাইগ্রেন হলে আমদের করনীয় বিষয় সমুহ:
- টানা ৭/৮ ঘন্টা ঘুমানো
- দীর্ঘ সময় খালিপেট না থাকা
- পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করা
- পনির, চকলেট, কফি এই গুলো গ্রহণ না করা
- কড়া রোদ বা তীব্র ঠান্ডা থেকে নিজেকে বিরত রাখা
- কোলাহল পূর্ণ অঞ্চলে বেশিসময় অবস্থান না করা
- নিজেকে মানসিক চাপমুক্ত রাখা
- ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া( কলা,ওটিমল ইত্যাদি)
- মেডিটেশন বা যোগব্যাম করা
- চশমা ব্যবহার করতে হবে
- জন্মবিরতিকরণ পিল কম খাওয়া এর পরিরর্তে অন্য পদ্ধতি গ্রহণ করা
- দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ফোন, ল্যাপটপ ব্যবহার করা থেকে নিজেকে যথা সম্ভব বিরত রাখা
মাইগ্রেন হলে যে খাবার গুলো গ্রহণ করবেন:
- ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া (তিল, আটা)
- ঢেকি ছাটা চাল,আলু
- সবুজ, হলুদ ও কমলা রঙের শাকসবজি খাওয়া
- হারবাল টি( গ্রন টি)
- আদার রস অথবা টুকরো
- খেজুর, কলা, আপেল,লেবু, বদাম, বীজ,মাসরুমএই গুলা খেতে হবে।
যে খাবার গুলো গ্রহণ করবেন না:
- বাজারের খোলা খাবার
- জাঙ্ক ফুড
- উচ্চ মশলাদার খাবার
- দুধ ও দুধজাতীয় খাবার
ম্যাথাব্যাথা হলেই কি মাইগ্রেন সমস্যা হবে?
না। কারণ মাইগ্রেন হতে হলে ম্যাথাব্যাথা এর সাথে মাইগ্রেন এর অন্যান্য লক্ষনগুলো ও প্রকাশ পেতে হবে।
কিন্তু ম্যাথাব্যাথা মাইগ্রেন হয়েছে কি না বুঝার একটি কমন লক্ষন।
মাইগ্রেন এর সমস্যায় কাদের বেশি হয়:
এক গবেষণায় দেখাগেছে যে মেয়েরা প্রতি ৩ জনে ১ জান আর ছেলেরা প্রতি ১৫ জনে ১ জন করে এই মাইগ্রেন এর সমস্যায় পড়ে।
মাইগ্রেন এর সমস্যা সাধারণত মেয়েদের বেশি হয়।
কারন মেয়েদের হরমোনাল পরিবর্তন ছেলেদের থেকে বেশি হয়।
মাইগ্রেন এর রয়েছে ৪ টি পর্যায় রয়েছে।
মাইগ্রেন যখন শুরু হয় তার কয়েক ঘন্টা আগে প্রড্রোম এই ফেজ শুরু হয়।এই খানে ব্যক্তি দুশ্চিন্তা বেরে জায়
খিদে বেরে যায়,, হতাশাগ্রস্ত হয়ে পরে,, বার বার হাচি দেয়।
২য় পর্যায় এসে একজন ব্যক্তি তার চোখে আলোক রেখা দেতে পান। শরীর অসাড় ও দুর্বল হয়ে পরে।
৩য় পর্যায় এসে ব্যক্তির প্রচন্ড পরিমানে মাথাব্যথা শুরু হয়। আর এই ম্যাথাব্যাথা ৪-৭২ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
৪র্থ পর্যায়ে ব্যক্তি অসুস্থ ও নিজের প্রতি বিব্রতবোধ করতে থাকে।
Tags:
স্বাস্থ্য ও লাইফস্টাইল


Nice idea
উত্তরমুছুনnaice
উত্তরমুছুনNice
উত্তরমুছুন