ব্যবসার আইডিয়া বাংলাদেশ

হোম সার্ভিস 

এই ব্যবসা বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য একটি লাভজনক ব্যবসা। এই ব্যবসা করতে হলে প্রথমেই আপনি যে বিষয়গুলো নিয়ে সার্ভিস দিবেন অথবা আপনি বাসা বাড়িতে গিয়ে কি কি সার্ভিস দিবেন তার একটা তালিকা তৈরি করতে পারেন। এবং তালিকা অনুযায়ী আপনি একটা ভিজিটিং কার্ড,  বিভিন্ন পোস্টার,  ব্যানার তৈরি করতে হবে।  পোস্টার গুলো বিভিন্ন আবাসিক এলাকার বাসায় বিল্ডিং এর সামনে। ব্যানার গুলো বিভিন্ন বাজার এবং বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে টাঙ্গাতে  হবে। ভিজিটিং কার্ডগুলো আপনার সিলেক্ট কৃত  এরিয়ার বিভিন্ন ফ্ল্যাটে ফ্ল্যাটে গিয়ে বিলি করতে হবে। 

 আপনি যে ধরনের হোম সেবা দিতে পারেন সেগুলো হচ্ছে ইলেকট্রিক্যাল হোমসেবা, টিউটোরিয়াল, গ্যাস সার্ভিস, হাউস বা টয়লেট ক্লিনার সাপ্লাই দিতে পরেন। 

আপনি ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে এই ব্যবসা করতে পারেন। আপনার ব্যবসার দিকে তাকিয়ে আপনি অনলাইন প্লাটফর্ম ও ব্যবহার  করতে  পারেন। 


হাঁসের খামার

আপনার বাড়ির উঠানের,বাড়ির পাশে যদি কোন খালি জায়গা থাকে অথবা বাড়ি  যদি  নদীর পাশে হয় তাহলে খুব সহজে আপনি ব্যবসা করতে পারেন।  খাল অথবা নদীর ব্যবহার পর্যাপ্ত করতে পারলে আপনি এখানে  হাঁসের খামারি সঙ্গে সঙ্গে মাছের চাষও করতে পারবেন। তবে কিভাবে এ ব্যবসা করতে হয, যারা করেছে অথবা করতেছে  তাদের কাছ থেকে একটু ধারণা নিতে হবে।  

পনি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন।এ ব্যবসা করলে আপনি শুধু স্বাবলম্বই  হবেন না আপনার পরিবারের যেই আমিষের চাহিদা রয়েছে যেই  মাংসের চাহিদা রয়েছে সে ঘাটতিও পূরণ করতে পারবেন।  যদি ক্রেতা নিয়ে ভীতগ্রস্ত হয়ে  থাকেন তাহলে বলবো যে বর্তমান বাজারে যে পরিমাণ  মাংস এবং ডিমের চাহিদা রয়েছে তাতে সব স্তরের মানুষই আপনার ক্রেতা হতে বাধ্য। 



পুরাতন ফার্নিচার 

পুরাতন আসবাবপত্র কেনাবেচার ব্যবসা খুব জনপ্রিয় এবং লাভজনকও বটে। অনেক সময় আমরা দেখি যে অফিস আদালতের এবং বাড়ি ঘরের পুরাতন ফার্নিচার বিক্রি করে নতুন ফার্নিচার দ্বারা  ডেকোরেশন করে। আপনি তখন এই পুরাতন ফার্নিচার গুলো কিনে এগুলোর ভাঙ্গাংশ বাদ দিয়ে অথবা পূর্ণ ব্যবহার উপযোগী করে বিক্রি করতে পারেন। এই ব্যবসা করতে হলে প্রথমে ভিজিটিং কার্ড তৈরি করতে হবে ব্যানার তৈরি করতে হবে । ডিজিটিং কার্ড গুলো বিভিন্ন বিভিন্ন বাসা অফিস আদালতের সামনে টাঙিয়ে রাখতে হবে এবং ব্যানার গুলো বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে টাঙিয়ে রাখতে হবে। আপনার ব্যবসাটাকে বড় করার জন্য প্রয়োজন আপনার ভিজিটিং   কার্ডটি বিভিন্ন বিল্ডিং এর মালিক এবং কেয়ারটেকার এর কাছে বিলি করে রেখে দিতে পারেন। 

শুরু করতে হলে আপনাকে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। 


পুরাতন বইয়ের দোকান

বাংলাদেশে পুরাতন বইয়ের প্রচুর চাহিদা রয়েছে ।আমরা যেহেতু অর্থনৈতিকভাবে অতটা সাবলীল দেশ নই তাই আমাদের দেশের অনেক ছাত্রছাত্রী রয়েছে যারা অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে নতুন বইয়ের পরিবর্তে পুরাতন বই কিনে পড়াশোনা করে। তাই আপনি চাইলে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের পাশে অল্প টাকা বিনিয়োগ করে পুরাতন বইয়ের ব্যবসা করতে পারেন।


জুসের ব্যবসা

গরমে ছটফট করে না এরকম লোক খুঁজে পাওয়া আমাদের বাংলাদেশের  প্রেক্ষিতে একটি দূরবী বিষয়। এইজন্যই জুস ব্যবসায় লাভ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। আপনি রাস্তার ধারে, বিভিন্ন গলির মোড়ে, স্কুল কলেজের পাশে, অনেক জনবল পূর্ণ স্থানে ব্যবসাটি করতে পারেন। এর জন্য আপনার দরকার হবে ব্লেন্ডার মেশিন, একটি ছাউনিযুক্ত ভ্যান গাড়ি এবং জুস করার বিভিন্ন সরঞ্জাম ।আপনি আপনার জুসের দোকানে বিভিন্ন ধরনের জুস তৈরি করতে পারেন। ফলের মধ্যে করতে পারেন আম, আপেল, কলা, কমলালেবুর, বেলের জুস। 

ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনার প্রথমে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। আপনার ব্যবসা আপনি আরো জনপ্রিয় করতে চাইলে আপনি কিছু লিফলেট তৈরি করতে পারেন এবংঅ্যানাউন্সমেন্টের ব্যবস্থা করতে পারেন। 


ইভেন ম্যানেজমেন্ট

এই ব্যবসা বর্তমান যেমন জনপ্রিয় উঠেছে তেমন অনেক লাভজনক ও বটে। কেননা সারা বছর বিবাহ অনুষ্ঠান, জন্মদিন পার্টি, অফিস মিটিং, বিবাহ বার্ষিক অনুষ্ঠান, গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান এর ধুম লেগেই থাকে। আবার আমরা দেখি যে অনেক সময় অনেক সরকারি সরকারি অফিসের বিভিন্ন ডেটে বিভিন্নভাবে ডেকোরেট করতে হয়।

 এ ব্যবসা করতে হলে আপনাকে প্রথম দেখে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা বিনিয়গ করতে হবে। 


কবুতরের খামার 

বাংলাদেশের জলবায়ু কবুতর পালনের জন্য খুবই উপযোগী। কবুতরের মাংস খুবই সুস্বাদু  আর সেজন্যই কবুতরের চাহিদা সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে বিরাজ করে। তাছাড়া কবুতরের মাংস বিভিন্ন অসুস্থ রোগীদের কে খাওয়ানো হয় তথ্য হিসাবে। চাইলেই আপনি এই ব্যবসা করতে পারেন। এই ব্যবসার সবল দিক হচ্ছে এই ব্যবসার জন্য আপনার আলাদাভাবে কোন জমির প্রয়োজন হবে না আপনি আপনার বাড়ির কার্নিশে অথবা ছাদে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন ।গ্রাম এবং শহরে উভয় অঞ্চলে এই ব্যবসা করার সুযোগ সবচেয়ে বেশি। 

ব্যবসাটির জন্য আপনাকে প্রথমে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। 


খাবার বিতরণ ব্যবসা 

খাবারের চাহিদা নেই এমন মানুষ পুরো দুনিয়া একটিও খুঁজে পাওয়া যাবে না 

বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ কর্ম ব্যস্ত থাকার জন্য নিজের খাবার নিজে ঘরেই তৈরি করবে এই সময়টুকু পায়না।কর্মস্থ থাকার কারণে ছুটির দিনগুলোতে বিভিন্ন জায়গা ঘুরতে যাওয়ার প্লান করার ফলে ছুটির দিনও তাদের রান্না করতে ভালো লাগেনা। তখনই সেসব কর্ম ব্যস্ত মানুষ খুঁজতে থাকে খাবার বিতরণকারী মানুষজনকে যারা রান্না করে খাবার কে তাদের ঘর পর্যন্ত এনে পৌঁছে দিয়ে যাবে। এই ব্যবসাটি আপনি সহজেই করতে পারেন এর জন্য আপনার প্রয়োজনহল আপনার শহরে যে বিভিন্ন ফুড ডেলিভারি সেন্টার রয়েছে যেমন ফুটপাণ্ডা  এদের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা। 

আপনি প্রথমে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে এই ব্যবসাটা শুরু করতে পারেন। 


 কমার্স 

ইন্টারনেট ব্যবহার করে না এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল ।এত বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মানুষের কারণে বর্তমানে ই কমার্স ব্যবসাটি বহুল  জনপ্রিয় ।আবার এটি শুরু করা অনেক সহজ। কেননা এই ব্যবসা শুরুর দিকেই আপনি আপনার কাছের মানুষদের ক্রেতা বানাতে পারেন।  

অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা হওয়ায় তাই প্রথমে আপনি একটি অনলাইন প্লাটফর্ম তৈরি করবেন যার জন্য আপনি একটি ফেসবুক পেজ অথবা বড় করে করতে চাইলে একটু ওয়েবপেজ তৈরি করতে হবে। কোন কোন পণ্যগুলো বিক্রি করতে চান সেগুলো একটি যথার্থ লিস্ট তৈরি করুন এবং সে অনুযায়ী পণ্যগুলো বিক্রি করুন।


 বিশেষ উৎসব উপলক্ষে যেমন (ঈদ, পূজা, বড়দিন, পহেলা বৈশাখ)  বিভিন্ন আকর্ষণ ডিজাইনের পাঞ্জাবি, শাড়ি, চশমা  তৈরি করে আপনার পেজ অথবা ওয়েব পেজে উপস্থাপন করতে হবে। ফলে আপনার ক্রেতার সংখ্যা বহুগুনে বেড়ে যাবে। 

ব্যবসাটি আপনি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে শুরু করতে পারেন। 


খাবারের হোটেল  অথবা রেস্টুরেন্ট

বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার মধ্যে এটি একটি। 

ব্যবসাটি করতে হলে আপনাকে মোটামুটি ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। 

আপনি সাধারণত বাস স্ট্যান্ড, লঞ্চ ঘাট, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে, বিভিন্ন টুরিস্ট সংলগ্ন স্থানে করতে পারেন। 



রিচার্জ, প্রিন্টিং এবং মোবাইল ব্যাংকিং 

এটি এমন একটি ব্যবসা যেটি আপনাকে নিশ্চিত লাভের মুখ দেখাবে। বর্তমানে মোবাইল ব্যবহার করেন এমন ব্যক্তি খুবই কম। মোবাইলকে আমরা যোগাযোগের সবচেয়ে সস্তা মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করি। আমাদের এই যোগাযোগের মাধ্যম কে চালু রাখতে হলে মোবাইল রিচার্জ করতেই হবে। আবার বর্তমানে গ্রাম অঞ্চল থেকে শহর অঞ্চল শহর অঞ্চল থেকেগ্রাম অঞ্চল  অঞ্চলে দ্রুত গতিতে  টাকা  পাঠানোর মাধ্যমে হিসেবে আমরা বিকাশ উপায় নগদ ব্যবহার করি। আর এগুলোই হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং। আমার বর্তমানে যেকোন ডকুমেন্ট আর হাতে লেখা হয় না সেগুলো টাইপ করে প্রিন্টিং করা হয়। যেহেতু এগুলোর ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে তাই ব্যবসা করলে আপনি লাভবান হবেনই। এই ব্যবসা করার জন্য আপনার সারাঞ্জম হিসেবে বেশি কিছু লাগবে না শুধু একটা মোবাইল, প্রিন্টিং মেশিন হলেই চলবে।

আপনি যদি শুধু মোবাইল ব্যাংকিং মোবাইল রিচার্জ এর ব্যবসা করেন তাহলে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন। 

এর সঙ্গে যদি প্রিন্টিং এর ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে প্রিন্টিং মেশিনের বাবদ আরো ২৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। 








3 মন্তব্যসমূহ

নবীনতর পূর্বতন