![]() |
| মশার কয়েল তৈরির ব্যবসা |
মশার কয়েল তৈরির ব্যবসা আইডিয়া।
মশার কয়েল তৈরির ব্যবসা একটি অত্যন্ত লাভজনক উদ্যোগ। আজকের লেখাটি মশার কয়েল তৈরির ব্যবসা সম্পর্কে। রাতে ঘুমানোর সময় যখন মশা কামড় দেয়,
তখন মনে পড়ে মশার কয়েলের কথা। মশার কয়েল সঠিকভাবে টাঙ্গানোর পরেও মশার উপদ্রব কমে না, তাই মশার কয়েলের ব্যবহার বেশি হয়।
বাংলাদেশে মশার কয়েলের চাহিদা অনেক বেশি, যার ফলে মশার কয়েল তৈরির ব্যবসা খুবই লাভজনক। যদি আপনার মূলধন থাকে এবং আপনি এই ব্যবসায় নিখুতঁ হন, তাহলে মশার কয়েল তৈরির ব্যবসা আপনার জন্য সেরা অপশন হতে পারে। খুব দ্রুতই এই ব্যবসায়ের মাধ্যমে আপনি প্রাচুর্য মুনাফা লাভ করতে পারবেন।
মশার কয়েল তৈরির ব্যবসা শুরু করার আগে পরিকল্পনা এবং রিসার্চ গুরুত্বপূর্ণ
আপনাকে প্রথমে কারখানা দেখতে হবে যেখানে মশা কয়েল তৈরি করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। যদি আপনার চারিত্রিক সম্পর্ক থাকে, তবে মশার কয়েলের ব্যবসায় তাদের পরামর্শ নিতে পারেন।
এটি কিভাবে শুরু করতে হবে যেন মিনিমাম মলধূ নে আপনি সম্পন্ন এবং দক্ষ হতে পারেন। আপনাকে কারো বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে ব্যবসা করার চেষ্টা করা উচিত নয়।
মশার কয়েল তৈরির ব্যবসা মশার কয়েল তৈরির ব্যবসা অনৈতিকভাবে বেশি লাভ পাওয়া যায় এমনও সময় মানুষের জন্য আপনার জিনিস কিনতে পারে না। বর্তমানে অনেক লোক এই ব্যবসায় লাখ লাখ টাকা উপার্জনকরছে।
আমি আপনার মশার কয়েল তৈরির ব্যবসার শুরুতে কিছু প্রাথমিক টপিক আলোচনা করব। আমি আশা করি আপনি এই তথ্য থেকে সুবিধা পাবেন। এই লেখাটি পড়ে আপনি নতুন ব্যবসা পরিকল্পনা করার জন্য ৯টি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার উপযুক্ত ধাপগুলি জানতে পারবেন।
মূলধন সংগ্রহ
ব্যবসা শুরু করার আগে মূলধন সংগ্রহ করতে হবে। আপনার কাছে কতটা মূলধন রয়েছে সেটার উপর নির্ভর করে আপনি বাজেট তৈরি করতে পারবেন। যদি আরও মূলধনের প্রয়োজন হয় তবে আপনি কর্মসংর্ম স্থান ব্যাংক লোন পেতে পারেন।
লেখাটি পড়ে আপনি লোন পেতে কিভাবে আবেদন করতে পারেন তা জানতে পারবেন। এখনও বিষয়টি আপনার জন্য সময় নেই, কারণ আপনার পাসে যথাযথ মূলধন রয়েছে। সুতরাং, পরবর্তী ধাপে আমরা বাজেট নিয়ে আলোচনা করব।
বাজেট তৈরি
মশার কয়েলের ব্যবসার জন্য আপনার প্রাথমিক বাজেট হলো ৪০ লক্ষ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা। এছাড়াও আপনি কিছু অপশনের জন্য পূর্ববর্তী দামগুলি দেখতে পারেন:
➢ ৪ পাঞ্চ মেশিন (১২ লক্ষ টাকা)
➢ ৭ পাঞ্চ মেশিন (১৮ লক্ষ টাকা)
➢ ২১ পাঞ্চ মেশিন (৬৫ লক্ষ টাকা)
➢ ১২ পাঞ্চ মেশিন (৩২ লক্ষ টাকা)
এই মেশিনগুলির জন্য পার্টগুলি প্রয়োজন। আপনাকে বিভিন্ন পার্টগুলি সংগ্রহ করতে হবে যাতে মেশিনগুলি ঠিকমতো কাজ করতে পারে।
পার্টসগুলি হলঃ
➢ ৬০ কেজি মিক্সচার মেশিন
➢ একটি পাঞ্চ কাটিং মেশিন যা প্রতি ঘণ্টায় ২ হাজার ক্যাপাসিটি বাজাতে পারে
➢ দইু প্রকারের কয়েল ডাইস যা গ্যারান্টি সহ
➢ তিনটি কয়েল কাটিং পাঞ্চ মেশিন (৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হতেই হবে)
➢ হাইপ্রেসার কুণ্ডলী লেয়ার তৈরির মেশিন সহ
আপনি এই মেশিনগুলি বাংলাদেশের কারখানাগুলিতে কিনতে পারেন অথবা বিদেশ থেকে আমদানি করতে
পারেন। কিন্তু মশার কয়েল তৈরির জন্য কারখানার ভাড়া করার পরেই আপনি মেশিনগুলি বসাতে পারবেন।
এইভাবে মেশিনগুলি কেনার পরে আপনার মশার কয়েল ব্যবসার জন্য কারখানা স্থাপন করতে হবে। এটির জন্য আপনার ইঞ্জিনিয়ার, ইলেক্ট্রনিক্স এবং শ্রমিকদের প্রয়োজন হবে।
যখন মশার কয়েল তৈরির কারখানা, মেশিনগুলি এবং শ্রমিকদের সাজানো হয়ে যাবে, তখন আপনি ব্যবসায় কাজ শুরু করতে পারবেন। যেকোনো ব্যবসা শুরু করতে আপনার সরকারি অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
মশার কয়েল তৈরির ব্যবসার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রয়েছে। আপনার কারখানার জন্য নিম্নলিখিত কাগজপত্রগুলির প্রয়োজন হবে।
এছাড়াও সরকারি অনুমোদনের জন্য কিছু অতিরিক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। নিম্নলিখিত কাগজপত্রগুলি প্রয়োজন হবে:
১. পিএইচপি লাইসেন্স: আপনি ঢাকার উপকুলীয় অঞ্চল থেকে এই লাইসেন্সটি প্রাপ্ত করতে পারেন। লাইসেন্সটি না থাকলে, আপনাকে জেলা পরিষদে যাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
২. ট্রেড লাইসেন্স: আপনি ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি কর্পোরেশন থেকে এই লাইসেন্সটি প্রাপ্ত করতে পারেন।
৩. ট্রেডমার্ক: আপনি যদি আপনার কয়েলগুলি নিজের ব্রান্ড হিসাবে বাজারে তুলতে চান, তাহলে আপনাকে লোগোটি ট্রেডমার্ক করতে হবে। এটি শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত করতে পারেন।
৪. ভ্যাট ও টিন সার্টিফিকেট: একক মালিকানার ক্ষেত্রে, আপনি নিজের নামে টিন সার্টিফিকেট অবশ্যই প্রাপ্ত করতে হবে। আর যদি আপনার কয়েলগুলি একটি প্রতিষ্ঠানের অংশ হিসাবে ব্যবহার হয়, তাহলে আপনার কাছে একটি ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে।
৫. বিএসটিআই লাইসেন্স: এই লাইসেন্সটি প্রাপ্ত করার জন্য আপনাকে উপরের সমস্ত কাগজপত্রগুলি দাখিল করতে হবে। এটি আপনার বিভাগীয় শহরেও প্রাপ্ত করা যায়। এছাড়াও, বিএসটিআই সার্টিফিকেট প্রদানের আগে বিএসটিআই এর প্রতিনিধি আপনার কারখানা পরিদর্শন করে পরবর্তীতে সার্টিফিকেট প্রদান করবেন।
উপরোক্ত ৫টি লাইসেন্সের ছাড়াও আপনি মশার কয়েল তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না।
এছাড়াও,
৬. ফায়ার লাইসেন্স
৭. কারখানার লেআউট
৮. প্রসেস ফ্লোরচার্ট
৯. পরিবেশের ছাড় পত্র
১০. আয়কর প্রত্যয়ন পত্র
১১. পরিবেশগত অনাপত্তি সনদপত্র
১২. কৃষি সম্প্রসারণের জন্য প্রদত্ত সনদপত্র যদি সরকার মনে করে যে,
আপনার কাছে আরও কাগজপত্র এবং লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে, তবে এগুলি সরকারের অনুমোদন পেতে আপনাকে জমা দিতে হবে।
এবার সরকারি অনমুমোদন পেলে আপনার
কারখানা শুরু করার জন্য প্রথমে আপনাকে মশার কয়েল তৈরির কাঁচামাল এবং কেমিক্যাল আমদানি করতে হবে ।
আপনি আমদানি করতে পারেন বিভিন্ন রকমের গাছের ছোলা, নারিকেলের ছোলা, বালু এবং অন্যান্য পদার্থসমূহ।
এছাড়াও, মশার কয়েল তৈরির জন্য আপনার অন্যান্য রকমের কেমিক্যালগুলোর প্রয়োজন হতে পারে, যেমন:
➢ পাইরেথ্রাম: এটি কসিনিয়াম নামক গাছের একটি উত্পাদন যা মশার কয়েল তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়।
এই গাছের ফুলগুলো খুবই সুন্দর হয়।
➢ এমজিকে ২৬৪ এন: এটি পাইথ্রেয়েড নামক উপাদানের একটি উন্নত রূপ। এটি মশার কয়েল তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়।
➢ ডাইমফ্লথ্রিম: এটি একটি কীটনাশক যা মশার কয়েল তৈরির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটি ছাড়াও মশার কয়েল তৈরি করা সম্ভব নয়।
এই কেমিক্যালগুলো আপনার মশার কয়েল তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়। আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে, মশার কয়েল তৈরির সময় আপনি ভালো দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শ্রমিকদের সঙ্গে কাজ করান। এতে মশার কয়েল তৈরির প্রক্রিয়ায় কেমিক্যালগুলোর ব্যবহার ঠিক পরিমাণে করতে হবে।
কেমিক্যালগুলো যদি বেশি বা কম পরিমাণে ব্যবহার হয়, তাহলে মানুষের জীবনে এবং আপনার ব্যবসায়ে ক্ষতি হতে পারে।
এছাড়াও, এই ব্যবসার জন্য আপনার কারখানায় কিছুদক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন হবে। তাদের মাধ্যমে মশার কয়েল তৈরি করার প্রক্রিয়ায় সঠিকভাবে কাজ করা যাবে।
পণ্য বিক্রি
ব্যবসায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো আপনার মশার কয়েলগুলো বিক্রি করা। মনে রাখবেন, আপনার প্রধান কাস্টমার হলেও গ্রামবাসীরা। কারণ, ঢাকার মতো বহৃত্তর কোম্পানিগুলো মশার কয়েল বিক্রি করে। এইখানে,
আপনি তাদের সাথে প্রতিযোগিতা করবেন না।
গ্রামে বিক্রি বদ্ধিৃর জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত কাজগুলো করতে হবে:
১. দোকানদারদের কমিশনের পরিমাণ বেশি দিতে হবে।
২. পণ্যেল সাপ্লাই বাড়াতে হবে।
৩. মার্কেটিং
যত্নশীলভাবে করতে হবে। আপনার ব্যবসার মার্কেটিং যেমন সম্ভব বেশি করতে পারেন। আমাদের বিজনেসমার্কেটিং সেকশনে আপনি বিভিন্ন মার্কেটিং কৌশল সম্পর্কে লেখা পড়ে জানতে পারেন।
পরিশেষে
আজকের লেখাটি মশার কয়েল তৈরির ব্যবসা সম্পর্কে ছিল। আপনার অবসর প্রাপ্তি ছাড়াও আপনাকে মনে
রাখতে হবে যে, কোনও ব্যক্তি একই লাফে উপরে উঠে যায় না। শুরুতে আপনি সম্ভবত লাভ অর্জন করতে পারেন
না, কিন্তু পরবর্তীতে মুনাফা অর্জনের সম্ভাবনা থাকবে।
ব্যবসায় এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে, কিন্তু ব্যবসা করতে সাহস এবং ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতা দরকার।
ব্যবসায়ে লাভ অর্জনের জন্য আপনার ঝুঁকি গ্রহণের ক্ষমতা থাকতে হবে। যতই বেশী ঝুঁকি নিতে পারেন, ততই
বেশী লাভ অর্জন করতে পারেন।

helpful post
উত্তরমুছুন