সূরা ইখলাস বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ

সূরা ইখলাস
কুরআন মাজীদ 



সূরা আল ইখলাস  কথার অর্থ  [আল্লাহর একত্ববাদ ] । একটি কোরআন শরীফের ১১২ তম সূরা নবী করীম সা: যখন মক্কায় অবস্থান করেছিলেন তখনই সূরা ইখলাস নাযিল হয়  এর জন্য একে  মাক্কী সূরা বলে । সূরা ইখলাস এর আয়াত সংখ্যা ৪ এবং অক্ষর সংখ্যা ৫৮ ।



সূরা আল ইখলাস


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

বাংলা উচ্চারণ : বিসমিল্লাহির রহমা-নির রহি-ম।

 বাংলা অনুবাদ :  আল্লাহর নামে শুরু করেছি  যিনি পরম করুণাময় এবং  অতি দয়ালু।


 قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ( ১)

কুল হুওয়াল্লা-হু আহা

হে মোহাম্মদ সাঃ আপনি বলুন আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়


اللَّهُ الصَّمَدُ  (২)

আল্লা-হুসসামাদ

যিনি অভাবহীন


لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ  (৩)

লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ

তিনি কাউকে জন্ম দেন না এবং কারো দ্বারা জন্ম নেয় নাই। 


وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ  (৪)

ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহূকুফুওয়ান আহাদ

তাহার কোন সমকক্ষ নাই


তাৎপর্য ও  ফজিলত


সূরা ইখলাস এর ভাব অর্থ মর্মার্থ বুঝে যে ব্যক্তি  পড়ে। সে ব্যক্তি শিরক মুক্ত ঈমানের অধিকারী হয়ে ওঠে। 

মোহাম্মদ সাঃ বলেন যে ব্যক্তি প্রতিদিন ২০০ বার সূরা ইখলাস পড়বে।তার ৫০ বছরে  গুণা মাফ করে দেওয়া হবে। কিন্তু ঋণগ্রস্তের গুনা তাকে মাফ করা হবে না।[ তিরমিজি ]

হযরত সাহল ইবনে সাদ সায়েদ রাদিয়াতালা আনহু থেকে বর্ণিত একবার এক ব্যক্তি রাসুল সাঃ এর কাছে তার দরিদ্রতা থেকে মুক্তির উপায় বলতে বললেন। তখন মোহাম্মদ সাঃ বললেন যখন তুমি  যখন ঘরে যাও তখন সালাম দেবে এবং একবার সূরা এখলাস পড়বে। আমল করার ফলে দেখা গেলো যে  তার দরিদ্রতা মুক্ত হয়ে গেল। 


রাসুল সাঃ বলেন - যে ব্যক্তি সকাল সন্ধ্যা সূরা ইখলাস ,সূরা ফালাক ও সূরা  নাস  পাঠ করে  তাকে যে কোন ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচে রাখার জন্য যথেষ্ট হয়ে যায়। [ইবনে কাসির] 

মোহাম্মদ সাঃ এক ব্যক্তিকে সূরা ইখলাস তেলাওয়াত করতে শুনে বললেন যে " এটা তার অধিকার।" তখন সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন " যে তার অধিকার কি? " উত্তরে রাসুল সাঃ বললেন তার অধিকার হলো জান্নাত। 

একবার এক সাহাব মুহাম্মদ সাল্লাম এসে বললেন যে আল্লাহর রাসূল আমি  "সূরা ইখলাসকে ভালবাসি?" প্রতি উত্তরে মুহাম্মদ সাল্লাম বলেন সূরা ইখলাস এর প্রতি ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। [বুখারী, তিরমিজি]

যে ব্যক্তি বেশি করে সূরা ইখলাসপাঠ করবে আল্লাহতালা মৃত্যুর সময় তার লাশ বহনের জন্য হযরত জিবরাঈল (আঃ) সাথে  ৭০ হাজার ফেরেশতা প্রেরণ করবে এবং সেই সাথে তারা সেই মূতো ব্যক্তির  জানাযাও শরিক হবে। 

একবার এক এলাকায় ইমামের নামে অভিযোগ এলো রাসুল সালাম এর কাছে যে তিনি প্রতি  নামাজে শুধু সূরা ইখলাস পরান। তখন নবী করীম (সাঃ ) সেই ইমামকে জিজ্ঞাসা করলেণ । প্রতিউত্তরে সেই ইমাম বললেন হে আল্লাহর রাসূল সূরা ইখলাসে আল্লাহর শ্রেষ্ঠ এমনভাবে রয়েছে যে এই সূরা ইখলাস  আমার অনেক ভালো লাগে। আর তার জন্য আমি সব নামাজে এই সূরা ইখলাস পাঠ করি ।  তখন নবী করীম (সাঃ ) কিছু বলার আগেই আল্লাহতালা বলেন যে সূরা ইখলাস  প্রতি ভালোবাসা তাকে জান্নাত নিশ্চিত করেছে। 

হাদিসে বর্ণিত আছে - একবার নবী করীম (সাঃ ) তার সাহাবীগনদেরকে বললে যে তোমরা সবাই  একসঙ্গে হয়ে যাও। আজ আমি তোমাদেরকে কুরআনের এক তূতীয়া অংশ সম্পর্কে বলবো। অতঃপর মোহাম্মদ (সাঃ) সূরা ইখলাস পাঠ করলেন [ মুসলিম ও তিরমিজি] 




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন