ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা

 

ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা কি
ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা


 ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা  

ব্যবসায় সংগঠনের কি 

Definition of Business Organization


যে কোনো প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য হলো মুনাফা অর্জনের জন্য পণ্য উৎপাদন ও বণ্টন পঙ্গে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা, উৎপাদন কার্য স্বজনের জন্য ভূমি, শ্রাম, মূলধন ও প্রযুক্তিকে উপকরণ হিসেবে সংগ্রহ করে সেগুলের মাধ্য। সমন্বয় সাধন প্রক্রিয়াই হলো সংগঠন ব্যবসায়ের অভ্যন্তরে এমন একটি পরিবেশের সৃষ্টি করে যাতে প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত ব্যক্তিদের প্রচেষ্টার সমন্বয় খাতে এরঃ উৎপাদনের উপকরণগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার সুনিশ্চিত হয় সঙ্গে বাবসায় সংগঠন সম্পর্কিত কয়েকটি সংজ্ঞা উপস্থাপন করা হলো।


Koontz 4 O'Donnel এর মতে, 'সংগঠন হলো একটি সম্পর্কের কাঠামো যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক উপকরণাদি সমবেত করা হয় এবং উপকরণাদিকে ঘিরে ব্যক্তির প্রচেষ্টাবনি সমন্বিত হয়।" [Cheganisation sa structural relationsłup by which our enterprise is bonind together and the frame work in which individual effortis coontnmed. 


 C. Shukla বলেন, " ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান জনশক্তি, মেশিন, কাঁচামাল, অর্থ এবং ব্যবস্থাপনার সমন্বয়ে গঠিত হয় সংগঠনের মাধ্যমে এসব সম্পত্তিসমূহকে সর্বোচ্চ ফলপ্রসূতা ও উৎপাদনশীলতায় নিয়ে আসা হয়।" (A business enterprise consists of more power, machines, matctials, money and management. Organization brings these assets into the posttion of greatest effectiveness and productivity)


L. H. Harey এর মতে, "কোনো সাধারণ উদ্দেশ্য বা উদ্দেশ্যাবলি অর্জনের জন্য ব্যবসায়ের বিশেষ বিশেষ অংশ রা উপাদানসমূহকে সুষ্ঠুভাবে সমন্বয় সাধনের প্রক্রিয়াকে সংগঠন বলে।" (Organization is a harmormous adjustment of specialised parts for the accomplishment of some common purpose or purposes.


Prof Grifflin বলেন, "সাংগঠনিক কার্যক্রম ও সম্পাদনসমূহকে কিভাবে সর্বোত্তম উপায়ে শ্রেণীবদ্ধ করা যায় তার নিদ্ধান্ত গ্রহণকে ব্যবসায় সংগঠন বলে।" (Organising is deciding how best to group organizational activинея and resources.)

ব্যবসায় সংগঠনের গুরত্ন

Importance of Business Organization

ব্যবসায়ের সব কার্যাবলী সংগঠনের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য উপকরণাদির সুসামঞ্জস্য বিধানের লক্ষ্যে সংগঠন অপরিহার্য। সংগঠন ছাড়া প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলী সুসম্পন্ন করা সম্ভব নয়। সুতরাং উৎপাদন বণ্টন ও সেবাদান সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য ব্যবসায় সংগঠনের প্রয়োজন রয়েছে। ব্যবসায় সংগঠনের গুরুত্ব ছকে উপস্থাপন পূর্বক নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ


 ব্যবসায়ের ভিত্তিপ্রস্তর (Foundation of Business): সংগঠনের মাধ্যমে ব্যবসায়িকে কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়। প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য অর্জনও সংগঠনের মাধ্যমে হয়ে থাকে। তাই দেখা যাচ্ছে, সংগঠনের মাধ্যমে সুবিধা ও প্রয়োজন মাফিক বিভিন্ন বিষয়ে ধারণা লাভ করে দক্ষতা ও যথার্থতার সাথে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড সম্পাদন করা যায়।

আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার (Use of modern technology) বর্তমানে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে হলে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। ব্যবসায় সংগঠন এ সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে উদ্দেশ্য অর্জনকে সফলকাম করেছে।


সহযোগিতার মনোভাব উন্নয়ন (Development of Co-operation) : ব্যবসায় সংগঠনের মাধ্যমে কর্মচারীদের মধ্যে সদ্ভাব গড়ে উঠে। এতে করে প্রতিষ্ঠানের ভেতরে কর্মচারীদের মধ্যে ভাবের আদান-প্রদান হয়। ফলে উদ্দেশ্য অর্জন সহজ হয়।


 সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও নীতিমালা তৈরি (Preparing proper plans and policies) : সুষ্ঠু পরিকল্পনা ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানই উদ্দেশ্য অর্জনে সফলকাম হয় না। পরিকল্পনা ও নীতিমালা প্রণয়ন করতে পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় আনতে হয়। ব্যবসায় সংগঠন এগুলো তৈরিতে বিশেষ 


 মিতব্যয়িতাঅর্জন (Gainning Economy): বাবসায়ে মুনাফা বৃদ্ধি করতে হলে খরচ কমাতে হবে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে প্রয়োজনীয় সকল ক্ষেত্রে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সংগঠনের মাধ্যমে ব্যবসায়ে মিতব্যয়িতা অর্জন করে, মুনাফা বৃদ্ধি করা যায়।


দায়িত্ব সচেতনা বৃদ্ধি (Increasing sense of responsibility) : ব্যবসায় সংগঠনের মাধ্যমে কর্মীদের সংখ সহযোগিতা করে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হয় এবং সুশৃঙ্খলভাবে কার্য সম্পাদ ।


কর্মীদের দক্ষতা (Worker's efficiency): সংগঠনে কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। তারা যখন বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করে তখন ঐতরেয় (orkers গুণাগুণ বিচার করা হয়। প্রয়োজনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। এতে কর্মীদের দক্ষতার উন্নতি


বণ্টন (Distribution of assignment): ব্যবসায় সংগঠন্দে বিভিন্ন ধরনের কাজ চলতে থাকে। কর্মীদেরকে প্রা কিরে শুন (Distribution of assর্থায়নসহ অন্যান্য কাজ সম্পাদন করতে হয়। যোগ্যতা ও দক্ষতসোপন্ন কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে তাদেরকে সুচারুভাবে কার্য বণ্টন সংগঠন ছাড়া করা সম্ভব নয়।


সমবায় আনে (ordination): সংগঠনে বিভিন্ন ধরনের কাজ থাকলেও উদ্দেশ্য থাকে অভিন্ন। তাই সংগঠনের মাধ্যমে অভিন্ন উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কাজের সমন্বয় সাধন করা সহজ হয়।


 ব্যবসায় জটিলতা নিরসন (Solving Business complexities): বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রতিনিয়তই আমরা জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হই। এসব জটিল পরিস্থিতি সামাল দিয়ে উদ্দেশ্য অর্জন করতে হলে সংগঠনের প্রয়োজন জরুরী। 


কর্তব্য ও দায়িত্ব বণ্টন (Delegation of Authority of responsibility): বাবসায় সংগঠনে প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মচারীদের মধ্যে দায়িত্ব ও কর্তব্য বণ্টন করে দেয়া হয়। ফলে প্রত্যেকটি কর্মচারী তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকে এবং প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকাণ্ডে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয় না।


 রাজস্ব আয় বৃদ্ধি (Enhancement of Revenues) : প্রা টি প্রতিষ্ঠানকে মোট আয়ের উপরে বছরে একবার সরকারকে কর দিতে হয়। ব্যবসায় সংগঠনের এ ধরনের কর প্রদানেয় বাধামে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পায়।


 উপকরণাদির যথাযথ ব্যবহার (Proper use of factors of production) : সফলভাবে উদ্দেশ্য অর্জন করতে হলে সংগঠনের শ্রম, ভূমি, যন্ত্রপাতি, মূলধন, কাঁচামাল ইত্যাদি উপকরণ থাকলেই শুধু হবে না, বরং এগুলোর সমন্বয় সাধন সুনিশ্চিত করতে হবে। ব্যবসায় সংগঠনের এই কাজগুলো সুশৃঙ্খলভাবে করা সম্ভব হয়।


অসাধু প্রবণতা রোধ (Stop unfairmeans): দক্ষ সংগঠন কাঠামোর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের মধ্যে বিরাজমান অসাধুতা রোধ করা সম্ভব হয়।


পরিবর্তনশীল পরিবেশ মোকাবেলা (Facing changing environment): সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে পারিপার্শ্বিক অবস্থারও পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তনের সাথে মানুষের রুচি, চাহিদার পরিবর্তনও সম্পৃক্ত। ব্যবসায় সংগঠনের মাধ্যমে এ অবস্থাকে মোকাবেলা করে সফলকাম হওয়া যায়।


ব্যবসায় সংগঠনের ক্রমবিকাশ

Evolution of Business Organization


প্রাক্টর আদিকাল থেকে প্যাসামগ্রী উৎপাদন ও বিনিময় হত। সায়াতার ক্রমবিকাশের সাথে সাথে সংগঠনের ক্ষেত্রেও ক্রমবিকাশ ঘটে যা বর্তমানে আধুনিক বাবসায় সংগঠনের রূপ পরিগ্রহ করেছে। বর্তমান ব্যবলায় সংগঠানর যে রূপ দেখতে পায় তা শুরু হয়েছে এক মালিকানা ভিত্তিক ব্যবসায় সংগঠনের প্রচেষ্টা থেকে। পরবর্তীতে বাবসার সম্প্রসারণের ফলে নতুন নতুন ব্যবসা সংগঠনের উদ্ভব ঘটেছে। নিম্নে ব্যবসা সংগঠনের ক্রমবিকাশের ধারা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।


এক মালিকানা ব্যবসায় (Sole Proprietorship Business): সবচেয়ে প্রাচীনতম সংগঠন হলো এক মালিকানা ব্যবসায়। পরিবারের চাহিদা মেটানোর জন্য উৎপাদন এবং পরবর্তীতে উদ্ধৃত্ত অংশ বিনিময়ের মাধ্যমে এ ব্যবসায়ের গোড়াপত্তন হয়। পরিবাবের কর্তা ব্যক্তিই উৎপাদন কার্যের পরিচালনার দায়িত্ব পালন করতো। সেই থেকে এই ব্যবসায়ের উৎপত্তি হয়। উৎপাদন যখন আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে থাকে তখন শ্রমিক-কর্মচারী নিয়োগের প্রয়োজন দেখা দেয়। এভাবে বিবর্তনের ধারায় নতুন নতুন ব্যবসা সংগঠন গড়ে উঠে। কিন্তু বিশেষ কিছু সুবিধা থাকার কারণে এক মালিকানা ব্যবসায় দক্ষতার সাথে সর্বাধিক জনপ্রিয় ব্যবসায় সংগঠন হিসাবে টিকে আছে।


 অংশীদারী ব্যবসায় (Partnership Business): সময়ের বিবর্তনের সাথে সাথে উৎপাদন বৃদ্ধি, মানুষের চাহিদা বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে বাজারের সম্প্রসারণ হয়। ফলে একজন মালিকের পক্ষে সঠিকভাবে কাজ সম্পাদন করা সম্ভব হয়ে উঠে না। আর এভাবেই অংশীদারি ব্যবসায়ের আবির্ভাব ঘটে। মধ্য যুগের শুরুতে এ ব্যবসা ব‍্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। মাঝারী আকারের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো অংশীদারি ব্যবসা হিসেবে সংগঠিত হয়। 


যৌখমূলধনী কোম্পানি (Joint stock company): ব্যবসায়ের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে এক মালিকানা এবং অংশীদারি ব্যবসায়, বর্ধিত চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়। যার ফলে ষোড়শ শতকের শুরুতেই নতুন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের প্রায়োজন তীব্রভাবে অনুভূত হয়। ১৭৭০ সাল হতে ১৮২০ সালের মধ্যে কতগুলি যুগান্তকারী আবিষ্কারের ফলে কারখান্য ব্যবস্থার প্রবর্তন ও ব্যাপক উৎপাদনের পরিবেশ গড়ে উঠে। এ অবস্থায় ব্যবসায়ের উৎপাদনের জন্য অধিক পুঁজির প্রয়োজন দেখা দেয় এবং পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রেও ব্যাপক পরিবর্তনের প্রয়োজন দেখা দেয়। এই প্রেক্ষিতে বহুসংখ্যক ব্যক্তির মালিকানার ভিত্তিতে পর্যাপ্ত মূলধন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিয়ে এক নতুন ধরনের ব্যবসায় সংগঠনের জন্ম হয় যা যৌথমূলধনী কোম্পানি নামে পরিচিত লাভ করে। ১৮৪৪ সালে বৃটেনে সর্বপ্রথম কোম্পানি আইন পাস হয়। বৃহদায়তন সংগঠন হিসেবে যৌথমূলধনী। কোম্পানি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।


ব্যবসায়ী জোট (Business Combination): ব্যবসায়ী জোট মূলত যৌথ মূলধনী কোম্পানির বর্ধিত ও ব্যাপকতর সংস্করণ। উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে বিভিন্ন দেশে কোম্পানি মালিকগণ নিজেদের মধ্যকার প্রতিযোগিতা হ্রাস করে মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে একচেটিয়া ব্যবসা প্রর্বতনের সম্মিলিতভাবে যে জোট গঠন করে তাকে ব্যবসায়ী জোট বলে।  ব্যবসায়ীজোট হলো, পুল, ট্রাস্ট কার্টেল, হোল্ডিং কোম্পানি ইতাদি। । 


সমবায় সমিতি (Co-operative Society): শিল্প বিপ্লবের পর বৃহদায়তন ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবসায় জোট গড়ে উঠার কারণে ক্ষুদ্র আয়তনের প্রতিষ্ঠানগুলো কোনঠাসা হয়ে পড়ে। ফলে এক শ্রেণীর লোকের হাতে অর্থ পুঞ্জিভূত হয়ে যায়। ফলে সমাজে বিত্তবান এবং বিত্তহীন শ্রেণীর সৃষ্টি হয়। বিত্তহীনরা তখন নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য সম্মিলিতভাবে পারম্পরিক স্বার্থরক্ষা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে এক নতুন ধরনের সংগঠন গড়ে তোলে যাকে সমবায় সমিতি নামে অভিহিত করা হয়। এর মূল লক্ষ্য ছিল একচেটিয়া ব্যবসায়ের মাধ্যমে মুনাফা অর্জনের পরিবর্তে সদস্যদের আর্থিক কল্যাণ সাধন করা। এর প্রেক্ষিতে উনবিংশ শতকের প্রথমদিকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সমবায় সমিতি গড়ে উঠে। পরবর্তীতে সারা বিশ্বে এ সংগঠন বিস্তৃত লাভ করে।


রাষ্ট্রীয় ব্যবসা (State Enterprise): সমবায় সমিতি গঠনের মাধ্যমে বিত্তহীনদের স্বার্থরক্ষার জন্য যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বাস্তবে তা সফলকাম হয়নি। বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠানগুলোর একচেটিয়া প্রভাবে সাধারণ মানুষ ক্রমান্বয়ে বিত্তহীন হতে লাগল। মানুষের মধ্যে এই ব্যবসাকে কেন্দ্র করে একটা নেতিবাচক জনমত গড়ে উঠল। ফলশ্রুতিতে দেশে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে আনার পক্ষে মতামত জোরালো হয়। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীনে প্রতিষ্ঠান গঠিত হয়। বেসরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সমূহকে অনেক দেশেই জাতীয়করণের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। জনগণের কল্যাণ সাধন করাই এই জাতীয় রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের মূল লক্ষ্য।


মালিকানার ভিত্তিতে ব্যবসায় সংগঠনের প্রকারভেদ

Classification of Business Organization According to Ownership


এক মালিকানা ব্যবসায় (Sole proprietorship Business): এক নিয়োগ করে সবি সমুদয় মুলত ও নিয়তি এক ব্যবসায় (Sale মালিক নিজেই ঝুঁকি নিলিয়ো পাশের একপ ব্যবসায়ে মালিকের দায় উদাম একস ব্যবসায়ের উদাহরণঃ মুদি দোকান, পানের দোকান, ফেরিওয়ালা, সেই তোমলিকানা ব্যবসায়ের সুবিধা হল্যে স্বল্প পুঁজিতে এ ব্যবসা আরম্ভ করা যায়। কোনো ভাইসার আনুষ্ঠানিকতা পালন করায় এক মালিকানা ব্যবসায়ের সুবিধা হলো নয় গতি পায়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিবর্তনশীল চাহিদার সাথে খাপ খাওয়াতে পার হয় না বিধায় যে কেউ এই ব্যবসাকোয় ইচ্ছা করলেই এ ব্যবসায় সম্প্রসারণ করা যায় হতে মালিকের দায় সীমাগ্রীন যাই মালিকের খাম খেয়ালীপনার কারণে ব্যবসায়ের ক্ষতিসাধন হলে এ ব্যবসায়ের বিলোপ সাধন হবে। 


 অংশীদারী ব্যবসায় (Partnership Business): কতিপয় লোক যে খায় একত্রিত হয়ে চুক্তির মাধ্যমে নিজেদের মরো মুনাফা বণ্টনের জন্য যে ব্যবসায় গঠন করে তাকে অংশীদারী ব্যবসায় বলে। অংশীদারী আইন অনুযায়ী এ ব্যবসায়ে সর্বদা দুই থেকে সর্ব্যেক বিশয়ান পর্যন্ত অংশীদার থাকতে পারে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী তারা মূলধন সরবরাহ করে থাকে। ব্যাংকি দুই থেকে সর্বোচ্চ বিশয়ান পর্যংখ্যা দুই থেকে দশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। এ ব্যবসায়ে অংশীদারগণ বাক্তিগতও সমষ্টিগতভাবে বাবদায়ের দেনার জন্য দায়ী থাকে। আবার চুক্তি অনুযায়ী লাভ-লোকসান নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে দেয়। এ ব্যবসায়ের সুবিধা হলো, অতি সহজে এটা গঠন করা যায়। সকল অংশীদারদের মধ্যে ঝুঁকি বণ্টিত হয় এবং মূলধন সপ্তাহ সকল অংশীদার অংশগ্রহণ করে থাকে। তাই দক্ষতার সাথে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে নর উদ্দীপনার সংযোগ ঘটানো যায়। অসুবিধা হলো দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায় না এবং পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের অভাবে ব্যবসায়ের অকাল পতন ঘটে। 


যৌখমূলধনী ব্যবসায় (Joint Stock Company): দেশে প্রচলিত কোম্পানি আইন অনুযায়ী কতিপয় ব্যক্তি মুনাজা অর্জনের উদ্দেশ্যে স্বেচ্ছায় মিলিত হয়ে কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তা সম্পন্ন যে ব্যবসায় গঠন করে তাকে যৌথ মূলধনী কোম্পানি বলে। এ ব্যবসায় মূলধনকে কতগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করা হয়। এর এক একটি ভাগকে শেয়ার বলা হয়। তাই শেয়ার বিক্রয় করে যৌথমূলধনী কোম্পানি মূলধন সংগ্রহ করে।


যৌখমূলধনী কোম্পানিকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়।


  • পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি 

  • প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি


পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি সর্বনিম্ন সদস্য সংখ্যা সাত থেকে সর্বোচ্চ বিলিকৃত শেয়ার সংখ্যার সমান সদস্য নিয়ে গঠিত। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি সর্বনিম্ন ২ জন এবং সর্বোচ্চ পঞ্চাশজন সদস্য নিয়ে গঠিত হয়। এ ধরনের ব্যবসায়ের সুবিধা হলো শেয়ার বিক্রয় করে অধিক মূলধন সংগ্রহ করা যায় ফলে ব্যবসা সম্প্রসারণ করে বৃহদায়তন ব্যবসায়ের সুবিধা ভোগ করা যায়। আসুবিধা হলো এর গঠন প্রণালী খুবই জটিল। মালিক বেশি বিধায় দ্রুত সিদ্ধান্ত নেক্সা যায় না, আবার ব্যবসায়ের গোপনীয়তাও বিঘ্নিত হয়।


 সমবায় সমিতি (Co-operative Society): সমবায় সমিতি হলো সমাজের নিম্ন আয়ভুক্ত কামার- কুমার, জেলে, শ্রমিক শ্রেণীর লোকদের দ্বারা গঠিত ও পরিচালিত এক প্রকার সংগঠন। অর্থাৎ নিজেদের অর্থনৈতিক কল্যাণ অর্জনের লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, ঐক্য ও সমঝোতার ভিত্তিতে সমবায় আইনের আওতায় যে ব্যবসায় গঠন করা হয় তাকে সমবায় সমিতি বলে। সমবায় সমিতি একটি বাবসায় সংগঠন হলেও কেবলমাত্র মুনাফা অর্জনই এর একামাত্র উদ্দেশ্যে নয়। এর অন্যতম উদ্দেশ্য হলো জনগণের সদস্যদের আর্থিক কল্যাণ সাধন করা।


ব্যবসায় বড় ওঠার ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারকারী উপাদানসমূহ

Factors Influencing the Formation of of Business Organization


উদ্যোক্তা (Entrepreneur): ব্যবসায় সংগঠন গঠন করতে ১' উদ্যোজাই একটি সংগঠন গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পনা থেকে হলে প্রথমে যে উপাদানের প্রয়োজন সেটা হলো উদ্যোকন। আনভাদায় কেভীয়া ক্যাথমিক কাজ সম্পাদন করেন। অনেক সময় উদ্যোক্তাগণ সদস্য সঙ্গ্রহ করে যাবেন। সংগঠনের পঠনের প্রাথমিক পৰ্য্যয়ে ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার সামিত্ব ও পালন করে থাকেন।


মূলধন (Capital): ব্যবসা আরম্ভ করার জন্য মূলধন একটি প্রায়োজনীয় উপাদান মূলধন ছাড়া কোনো ব্যবসা আরম্ভ করা যায়  আরও করার পূর্বে কি পরিমাণ মূলধনের প্রয়োজন হবে তাসরিন আরোও কোকারা সিকান্ত গ্রহণ করেন। এই মূলধন তাঁরা বিভিন্ন উৎস থেকে সম্মাহ করে থাকেন।


প্রাকৃতিক সম্পদ (Natural Resources): প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত সম্পদগুলো মানুষের ব্যবহার উপযোগী করে তোলার জন্য সংগঠনের প্রয়োজন। এই প্রাকৃতিক সম্পদ শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অনেক শিল্পবাতিষ্ঠান এই সম্পদের সহজ প্রাপ্যতার উপর নির্ভর করে গড়ে উঠে। একেক ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য একেক ধরণের শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে হয়।


 জনসংখ্যা (Population): জনসংখ্যা ব্যবসা সংগঠন গড়ে উঠার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই জনসংখ্যার একটি অংশ পণ্য ও সেব্যসামগ্রী উৎপাদনে ব্যবসায়ের উন্নতিতে অবদান রাখে। ও বন্টনে নিয়োজিত এবং আরেকটি অংশ ভোক্তা হিসেবে পণ্য ক্রয় করে


ভৌগোলিক অবস্থা (Geographical Condition) : ভৌগোলিক অবস্থা দেশের ব্যবসা সংগঠন গড়ে তোলার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করে। ভৌগোলিক পরিবেশ অনুকূলে থাকলে সংগঠন গড়ে তুলতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। আবার এর ভিন্নতার কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন সংগঠন গড়ে উঠে।


 দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা (Economic System of the country) দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ব্যবসায় সংগঠন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। ধনতান্ত্রিক অর্থ ব্যবস্থায় দেশে দ্রুত সংগঠন গড়ে উঠতে পারে। আবার সমাজতান্ত্রিক অর্থ ব্যবস্থায় ব্যক্তি মালিকানায় সংগঠন গড়ে উঠার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ থাকে। সুতরাং দেশের অর্থবাবস্থা সংগঠন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রভাববিস্তার করে থাকে। 


 সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা (Govt. Patronage): সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা সংগঠন স্থাপন করা সহজ। সরকারের নীতিমালা, আইন কানুন সংগঠন গড়তে সাহায্য করলে সে দেশে শিল্পকারখানা প্রসার লাভ করে। আবার সরকারি আইন কানুন যদি প্রতিকূল হয় তাহলে শিল্পের প্রসার ব্যাহত হয়।


অবকাঠামো সুযোগ সুবিধা (Infrastructural facilities)দেশের অবকাঠামোগত সুযোগ থাকলে সংগঠন স্থাপনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। দেশে উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ ইত্যাদি নতুন নতুন ব্যবসায় সংগঠন গড়ে উঠার ক্ষেত্রে সহায়তা করে।


 আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি (Law & order situation): আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হয়। আবার দেশে যদি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে তাহলে নতুন নতুন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও দেশে সংগঠন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রভাববিস্তার করে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন