| একমালিকানা ব্যবসায় |
ভূমিকা
Introduction
আগের দিনে পণ্যসামগ্রীর উৎপাদন ছিল এলাকাভিত্তিক। এলাকার পরিবারের কর্তা ব্যক্তিই উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার যাবতীয় কার্য পরিচালনা করতো। পরবর্তীতে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড বাড়ার সাথে সাথে কর্তা ব্যক্তির একার পক্ষে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালানো অসুবিধার সম্মুখীন হলেও একাধিক মালিকের সমন্বয়ে ব্যবসা সংগঠন গড়ার চিন্তা মানুষের মাথায় আসেনি। তাই একমালিকানা ব্যবসায়কে প্রাচীনতম ব্যবসায় সংগঠন বলা হয়।
একমালিকানা ব্যবসায় অত্যন্ত সহজ ও সরল প্রকৃতির সংগঠন। মালিক একজন মাত্র ব্যক্তি। অত্যন্ত কম ঝুঁকি নিয়ে কোনো আইনগত আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই এরূপ সংগঠন গড়ে তোলা যায়। ঝুঁকির পরিমাণ অত্যন্ত সীমিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে ব্যবসায় সংগঠনের প্রায় ৮০% ভাগই হলো একমালিকানা ব্যবসায় আমাদের দেশেও এর জনপ্রিয়তা অত্যধিক।
একমালিকানা ব্যবসায়ের সংজ্ঞা
Definition of Soleproprietorship Business
সাধারণ অর্থে একমালিকানা ব্যবসায় বলতে এমন এক ব্যবসায়কে বুঝায় যার মালিক শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি। এই ব্যক্তিই সংগঠনের পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ উদ্যোক্তা, সংগঠক পরিচালক, বুঝুঁকি বহনকারী, হিসেবে বিভিন্ন ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এক কথায় ডিনি নিজেই এ সংগঠনের নিয়ন্ত্রক। এক মালিকানা ব্যবসায় সাধারণত অধী আকারের প্রতি ভূমিকায় ভাবেরীকান পানবিড়ির দোকান, মুদি দোকান, ঔষধের দোকান, মনিহরী প্রবোর দোকান, ঔষধের দোকান মনোহরী দ্রব্যের দোকান ইত্যাদি। মালিকের ইস্থায় এই ধরনের সংগঠনের উদ্ভব ঘুটে আবার মালিক ইচ্ছা করলেই যে কোনো সময় ব্যবসার পরিসমাপ্তি ঘটাতে পাবেন। নিয়ে একমালিকানা ব্যবসায়ের কয়েকটি জনপ্রিয় সংজ্ঞা উল্লেখ করা হলোঃ
James Stephenson এর মতে, "একক মালিক হলো এমন এ জন ব্যক্তি যে নিজের দ্বারা এবং নিজের জন্য ব্যবসায় পরিচালনা করে।" (A sole trader is a person who carries on business exPlusively by and for himself.)
M. C. Shukla বলেন, "একমালিকানা ব্যবসায় এমন এক ধরনের সংগঠন যেখানে একজন ব্যক্তি স্বাধীনভাবে তাঁর পুঁজি, দক্ষতা ও বুদ্ধি খাটিয়ে উৎপাদন করে ব্যবসায়ের সমগ্র ঝুঁকি গ্রহণ করে এবং সমুদয় মুনাফার অধিকারী হয়।"(A soleproprietorship is a form of organization in which an individual produces independently with his own capital, skill and intelligence and is entilted to receive all the profits and assumes all the risks of ownership)
Prof. B. O. Wheeler বলেছেন, "একমালিকানা এমন এক ধরনের ব্যবসায় সংগঠন যা একজন একক ব্যক্তির মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
(The soleproprietorship is the form of business ownership which is owned and controlled by al single individual.)
R. M. Hodgets এর মতে, " একমালিকানা ব্যবসায় এমন এক ধরনের ব্যবসায় যা একজন মাত্র ব্যক্তির মালিকানায় ও নিয়ন্ত্রণাধীনে পরিচালিত হয়।' (A sole proprietorshop is a business that is owned and controlled by a single individual.)
একমালিকানা ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য
Features of a Soleproprietorship Business
মালিকানা ব্যবসায় বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীনতম ব্যবসায় সংগঠন। কিছু আলাদা ও বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে নিজস্ব স্বকীয়তা বজা রেখে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে এ সংগঠন এখনো টিকে আছে।
এককমালিকানা (Single-Ownership): যে কোনো অবস্থাতেই এই সংগঠনের মালিক একজনই হয়ে থাকে। পুঁড়ি সল্লাহ থেকে শুরু করে সংগঠন পরিচালনা বাবস্থাপনা এবং অন্যান্য কাজ মালিক নিজেই করে থাকে। ২। সহজ গঠন (Easy Formation): এ ধরনের সংগঠন গঠনে তেমন কোনো জটিলতা নেই। আইনের কোনে উঠে। যেমন: মুদি দোকান, পানের দোকান ইত্যাদি।
বাধ্যবাধকতা না থাকায় অল্প পুঁজি দিয়ে যে কেউ এ ধরনের সংগঠন আরম্ভ কতে পারে।
অল্প মূলধন (Small Caital) এ ধরনের সংগঠনে মালিক নিজেই মূলধন সরবরাহ নিয়ে অল্প পুঁজি নিয়ে এ সংগঠন গড়ে ওঠে।
একক কর্তৃত্ব (Single authority): একমালিকানা ব্যবসায়ের মালিক সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। বাবসায় বিষয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে অন্য কারো পরামর্শের প্রয়োজন পড়ে না। মালিক যে কোনো মুহুর্তে যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাতে পারে আবার পরিবর্তনও করতে পারে।
একক ঝুঁকি (Individual Risk) এক্ষেত্রে মালিক নিজেই সমুদয় ঝুঁকি বহন করে ঝুঁকি বন্টনের কোনো সুয়োগ এখানে নেই। তাই যে কোনো কাজ মালিককে সতর্কতার সাথে সম্পাদন করতে হয়।
আয়তন (Size): স্বল্প মূলখনের কারণে একমালিকানা ব্যবসায়ের আয়তন ছোট হয়ে থাকে। তবে মালিকের পুঁজি সরবরাহের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে এ সংগঠনকে মাঝারি আকারের সংগঠনে সংগঠিত করা যায়।
স্থায়িত্ব (Stability) : একমালিকানা ব্যবসায়ের স্থায়িত্ব সবসময় অনিশ্চিত। মালিক ইচ্ছা করলে যে কোনো সময় এই ধরনের সংগঠন বন্ধ করে দিতে পারে। আবার অনেক সময় মালিকের মৃত্যুজনিত কারণে এরূপ ব্যবসায়ের অস্তিত্ব হুমকীর সম্মুখীন হয়।
প্রত্যেক্ষ তত্ত্বাবধান (Direct supervision): এধরনের সংগঠন মালিকের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে পরিচালতি হয়। ফলে ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হলে সাথে সাথে সমাধান করা সম্ভব হয়।
ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা (Administratoin and Mangement): মালিক নিজেই এ ধরনের সংগঠনে ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে থাকে। অবশ্য যদি প্রয়োজন হয় পরিবারের অন্যান্য সদস্য অথবা কর্মচারী নিয়োগ করে তাদের সাহায্য নিতে পারে।
অসীম দায় (Unlimited Hability): একমালিকানা ব্যবসায়ের দায় অসীম। ব্যবসায়ের যাবতীয় দেনার জন্য মালিক নিজেই দায়ী থাকে। প্রয়োজনে দেনা পরিশোধ করার জন্য মালিকের নিজস্ব সম্পত্তি বিক্রয় করতে হয়।
একক সিদ্ধান্ত গ্রহণ (Individual decision makeing): এরূপ ব্যবসায়ে মালিক একাই যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন। ফলে সময় ক্ষেপণ না করে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়।
পরিবর্তনশীলতা (Flexibility) : একমালিকানা ব্যবসায়ে মালিক সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, তাই পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে মালিক সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বিশ্বের যে কোনো ব্যবসায়িক জটিলতা ও পরিবর্তনশীলতার সাথে সামঞ্জস্য বিধান করতে পারে।
সত্তা (Entity): একমালিকানা ব্যবসায়ের কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। এখানে মালিকের সত্তার সাথে সংগঠনের সত্তা এক ও অভিন্ন। সাধারণত যে কোনো লেনদেন, চুক্তি, মামলা-মোকদ্দমা মালিকের নামে হয়ে থাকে।
সরকারি বিধি-নিষেধ মুক্ততা (Free form Govt. regulation) : এধরনের প্রতিষ্ঠান সরকরি বিধি-নিষেধ মুক্ত। আইনসৃষ্ট প্রতিষ্ঠান না হওয়ার কারণে সংগঠনটির গঠন, পরিচালনা ও বিলোপসাধরনের প্রতি কোনো আনুষ্ঠানিকিতা পালন করতে হয় না।
হিসাব নিকাশ ব্যবস্থা (Accounts system): আইন সৃষ্টি প্রতিষ্ঠান না হওয়ার কারণে এধরনের সংগঠনের হিসাব ব্যবস্থার কোনো সরকারি বিধি-বিধান পালন করতে হয় না।
প্রাচীনতম সংগঠন (Back-dated organization): বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীনতম সংগঠন হচ্ছে একমলিকানা সংগঠন। একমালিকানা সংগঠন হিসেবে এর ক্রমবিকাশ সাধিত হয়।
সর্বজনীনতা (Universality): একমালিকানা ব্যবসায় সর্বসাধারণের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত।
একমালিকানা ব্যবসায়ের গুরুত্ব
Importance of Soleproprietorship Business
বর্তমানে বৃহদায়তন উৎপাদনের সুযোগ ও একমালিকানা ব্যবসায়ে গুরুত্ব হ্রাস পায়নি। পৃথিবীর সর্বত্র তথা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটের কারণে এ সংগঠন এখনো সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবসা সংগঠন। নিম্নে একমালিকানা ব্যবসায়ে গরুত্ব।
সহজ গঠন (Easy Formation): একমালিকানা সংগঠন খুব সহজে গঠন করা যায়। আইনগত বিধি-নিষেধ না থাকার কারণে শিক্ষিত-অশিক্ষিত যে কোনো ব্যক্তি উচ্ছা করলেই অল্প মূলধন দিয়ে এরূপ সংগঠন আরম্ভ করতে পারে।
সঞ্চয় ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি (Increase of savings and Investments) : অল্প মূলধনে এই ব্যবসা আরম্ভ করা যায় বিধায় গ্রাম ও শহরের ব্যাপক জনগোষ্টি এরূপ ব্যবসা গড়ে তোলার জন্য ক্ষুদ্র সঞ্চয়কে মূলধন গঠন ও উৎপাদনে সহায়তা করে। 40
পণ্য ও সেবার বাজার সৃষ্টি (Creation of market of grods and services): একমালিকানা ব্যবসায় সাধারণত. ভোক্তাদের খুব কাছাকাছি জায়গায় অবস্থান করে। যার প্রেক্ষাপটে পণ্য ও সেবার চাহিদা এবং বাজার সৃষ্টিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। ভোক্তারা নতুন পণ্য ব্যবহারের সুযোগ পায়।
জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন (Raising standard of living): একমালিকানা ব্যবসায় জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে গুরুত্ব ভূমিকা পালন করে। এই ব্যবসায়ের মাধ্যমে মানুষের আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি হয় আধার স্বল্প মূলে। পণ্য ও সেবা মানুষের ভোগের আওতায় আসে, যা জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করতে সহায়তা করে। উন্নতমানের
সম্পদের সুষম বণ্টন (Proper distribution of wealth): একমালিকানা ব্যবসায় দেশের আনাচে কানাচে দেশেদ দরিদ্র জনগোষ্ঠির মধ্যেও গড়ে উঠে। বৃহদায়তন ব্যবসা যেভাবে কিছু মুষ্টিমেয় লোকের হাতে পুঞ্জিভূত থাকে এক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম ঘটে। যার ফলে সম্পদের সুষম বণ্টন সহজ হয়।
মূলধনের গতিশীলতা বৃদ্ধি (Increasing Capital Mobilisation)ঃঅল্প মূলধন দিয়ে একমালিকানা বাবসায় আছে। করা যায়। দেশের ভেতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মূলধন এ ব্যবসায়ের ব্যবহৃত হয়। এতে একদিকে সঞ্চয়ের সদ্ব্যবহার হয় এবং অন্যদিকে মূলধনের গতিশীতা বৃদ্ধি পায়।
সামাজিক সম্পর্কে সৃষ্টি (Buliding social relationship)ঃএকমালিকানা ব্যবসায়ে মালিকের সাথে ভোক্তার সরাসদি যোগাযোগ হয়। এতে ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে একটা সম্পর্কের সৃষ্টি হয় যা সামাজিক পরিবেশ উন্নয়নে সহায়তা করে।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ (Supply of essential goods): একমালিকানা ব্যবসায়ে ক্ষুদ্রয়াতন বিশিষ্ট এই প্রকার খুচরা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রায় সবধরনের নিত্য ব্যবহার্য পণ্য সামগ্রী পাওয়া যায়। মালিক ভোক্তার নিকট এসং
অধিক কর্মসংস্থান (More Employment)ঃ অল্প পুঁজিতে এ ব্যবসা আরম্ভ করা যায় বিধায় অধিক জনগোষ্ঠি এইধরনের ব্যবসায়ে জড়িত হয়। ফলশ্রুতিতে তা অধিক সংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে।
চাহিদাভিত্তিক উৎপাদন (Production according to demand)ঃ একমালিকানা ব্যবসায়ে মালিকের সাথে ভোক্তার প্রত্যক্ষ যোগাযোগ থাকে। ফলে দ্রব্যের চাহিদা ও গতি প্রকৃতি সম্পর্কে সহজে অবগত হওয়া যায়। উৎপাদনকারীদের তথ্য ভোক্তারা চাহিদাভিত্তিক পণ্য উৎপাদনের সহায়তা করে থাকে
বৃহদায়তন উৎপাদনে সহায়তা দান (Assistance in large-scale production): সচল রাখার জন্য প্রয়োজন হয় কাঁচামাল এবং উৎপাদিত পণ্য ভোক্তার কাছে পৌঁছানো। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অসমাপ্ত কাজ ক্ষুদ্রায়তন একমাঝিকানা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো করে থাকে। এর মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানগুলো বৃহদায়াতন উৎপাদনের চাকাকে গতিশীল রাখে। বৃহদায়তন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গঠনে সহায়তা করে থাকে।
উত্তম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Proper field of Training): যে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলার জন্য অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। কম মূলধন একমালিকানা ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করে খুব সহজেই অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়।
জীবিকা নির্বাহের উপায় (Way of livelihood) : একমালিকানা ব্যবসায় আরম্ভ করতে খুব বেশি পুঁজির প্রয়োজন হয় না। তাই সমাজের স্বল্প আয়ভুক্ত লোকও যে কোনো সময় এ ব্যবসা আরম্ভ করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে।
উদ্যোক্তার সহজপ্রাপ্যতা (Availability of entrepreneur): বৃহদায়তন ব্যবসায়ে ঝুঁকির পরিমাণ বেশি তাই উদ্যোক্তার অভাব। একমালিকানা ব্যবসায়ে স্বল্প পুঁজিতে ব্যবসা আরম্ভ করা যায় বিধায় উদ্যোক্তা পাওয়া সহজ। সেজন্য গ্রামে এবং শহরে সব জায়গায় এই ব্যবসা গড়ে ওঠে।
পণ্যের কৃত্রিম সংকট নিরসন (Removing artificial crisis of goods): একমালিকানা ব্যবসা গ্রামে এবং শহলে সব জায়গায় বিস্তৃত। এই ব্যবসায়ের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী দেশের সর্বত্র পৌঁছে দেয়া যায়। যার ফলে পণ্যের কৃত্রিম সংকট নিরসন হয়।
ব্যবসায় পরিবেশসৃষ্টি (Create business environment): এর ধরনের ব্যবসায় বৃহদায়তন কারবারের উৎপাদন চামাল সরবরাহ করে আবার উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেয়, যার মাধ্যমে উৎপাদন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে।
একমালিকানা ব্যবসায়ের সুবিধা
Advantages of Soleproprietorship Business.
সহজ গঠন (Easy formation) আইনের বাধ্যবাধকতা না থাকার কারণে একমালিকানা ব্যবসায়ের গঠন প্রক্রিয়া বেশ সহজ। যে কোনো ব্যক্তির ইচ্ছা ও সামর্থ্য থাকলেই এ ধরনের বাবসা আরম্ভ করতে পারে।
গোপনীয়তা রক্ষা (Maintenance of secrecy): একমালিকানা ব্যবসায়ে মালিক নিজেই ব্যবসায়ের যাবতীয় কাজ-কর্ম পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান করেন। ফলে ব্যবসায়ের গোপনীয়তা রক্ষা করা সহজ হয়। কারণ যে কোনো ব্যবসায়েল জনা গোপনীয়তা রক্ষা করা ব্যবসায়ের সাফল্যের জন্য অপরিহার্য।
স্বল্প পুঁজি (Small capital): অল্প পুঁজি থাকলেই এই ব্যবসায় গঠন করা যায়। তাই স্বল্প আয়ের লোকেরা অল্প পুঁজিতে এ ব্যবসায় আরম্ভ করতে পারে।
ব্যবসায়ের ক্ষেত্র পরিবর্তন (Change in Business area): একমালিকানা ব্যবসায়ের মালিক একজন হওয়ায় যে কোনো পরিস্থিতিতে ব্যবসা পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে সহজে সেটা করতে পারে। কারণ এখানে কারো অনুমতির প্রয়োজন হয় না।
হিসাব রক্ষণের সুবিধা (Advantage to proparetion of accounts): আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকার কারণে এ ধরনের সংগঠনে হিসাব সংরক্ষণ কার্য সম্পাদন করা সহজ হয়। মালিক তার ইচ্ছানুযায়ী এ সংক্রান্ত কাজ করে থাকে।
অবস্থানগত সুবিধা (Locational advantages এ ব্যবসায় স্বল্প পুঁজির ক্ষুদ্রায়তন প্রকৃতির হয়ে থাকে গ্রামে-গঞ্জে যে কোনো জায়গায় এটি স্থাপন করা যায়।
দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ (Taking prompt decision): একমালিকানা ব্যবসায়ে মালিক একজন হওয়ায় দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কারণ কোনো জরুরী বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় অন্য কারো সাথে আলাপ আলোচনার দরকার হয় না।
ব্যক্তিগত সম্পর্ক (Personal relationship): এক্ষেত্রে মালিক নিজেই ব্যবসা পরিচালনা করে বিধায়, পণ্য সরবরাহকারী, ক্রেতাসহ সকলের সাথে একটা ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে উঠে। সবার মন-মানসিকতা সম্পর্কে জানতে পারে এবং তদনুযায়ী ব্যবসা গ্রহণ করে ব্যবসায়ের উন্নয়ন সাধন করতে পারে।
করের সুবিধা (Tax benefit): একমালিকানা কারবার করের সুবিধা ভোগ করে থাকে। ব্যবসায় ও মালিকানা এক ও অভিন্ন হওয়ায় ব্যবসায়ের জন্য আলাদা কোনো কর দিতে হয় না। ফলে বাড়তি কর দেওয়া থেকে অব্যাহতি পায়।
মালিকের স্বাধীনতা (Independence of the owner): এরূপ কারবারের মালিক একজন হওয়ায় কাজের ক্ষে স্বাধীনতা ভোগ করে থাকে। কারোর কাছে কোনো জবাবদিহিতা নেই। নিজের পরিকল্পনা মতো সব কাজ সম্পাদন কর পারে।
১১। সুনাফার একক মালিকানা (Sols owner of profit): লিওনো ব্যবসায়ের মালিকই সর্বেলরা ব্যবসায়ের সলাদার সমুদয় অংশ মালিক একই ভোগ করে থাকে। ১২। পরিবর্তনশীলতার সুযোগ চোরlity of flexibility) এ ব্যবসায় নমনীয় প্রকৃতির। পরিবর্তন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রয়োজন মালিকানা ব্যবসায় অধিক উপযোগী। পরিবর্তন আনতে কোনোআনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন হয় নালিখায় বাবদায়ের নমনীয়তা সুনিশ্চিত যায়।
ঋণ গ্রহণের সুযোগ (Loan facilities)এ বরদের ব্যবসায়ে মালিকের নায়-দায়িত্ব অনেক। মালিকের ব্যক্তিগত সম্পত্তি ঋণের জন্য দায়বদ্ধ থাকে। তাই ব্যবসায়ের জন্য ঋণ পাওয়া সহজ হয়।
সরকারি নিয়ন্ত্রণ মুক্ততা (Free from Govt controll: একমালিকানা ব্যবসায়ে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। ফলে যে কেউ নিজের মতো করে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে
সুষ্ঠু পরিচালনা (Sonnd management): মালিক নিজেই ব্যবসায় পরিচালনা করে ব্যবসায়ের সকল ঝুঁকি মালিকের বিধায় যথেষ্ট সতর্কতার সাহো সমূদয় কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। তাই পরিচালনার কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদিত হয়।
অবচয় হ্রাস (Reduction of wastage)বক্তমালিকানা ব্যবসায়ে মালিক নিজেই যাবতীয় কাজ সম্পাদনা করে থাকে। মালিকের সার্বক্ষনিক তদারকির ফালে অপচয় অনেকাংশে হ্রাস পায়। যার ফলে প্রতিষ্ঠানের মুনাফা বৃদ্ধি পায়।
ব্যক্তিগত নৈপুণ্য (Personal efficiency): একমালিকানা ব্যবসায়ে মালিও নিজেই সমুদয় কাজ সম্পাদন করে থাকে। এতে দে নিজের যোগ্যতা এ দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ পায়। এর মাধ্যমে ব্যবসায়েয় উন্নতি করাও সহজ হয়।
সম্পাদনের সুষম বন্টন (Proper distribution of wealth) : যেকোনো ব্যক্তি অল্প পুঁজি দিয়ে একমালিকানা ব্যবসায় গড়ে তুলতে পারে। যার ফলে ব্যাপক জনগোষ্ঠির মধ্যে সম্পদের সুষম বন্টন সম্ভব হয়।
ব্যক্তিগত অনুপ্রেরণা (Individual motivation) এধরনের ব্যবসায়ে মুনাফার সমুদয় অংশের মালিক নিজে হওয়ায় ব্যবসায় পরিচালনায় অনুপ্রেরণার অভাব হয় না। ফলে বাবসা সফলতার দিকে এগিয়ে যায়।
সহজ বিলোপ সাধন (Easy dissolution): এ কমালিকানা ব্যবসায়ের বিলোপ সাধন খুবই সহজ। ব্যবসায়ের মালিক। ইচ্ছে করলে যেকোনো সময় এর বিলোপ সাধন করতে পারে। কারণ এধরনের ব্যবসায় বিলোপ সাধন করতে কোনো আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন হয় না।
ব্যবসায়ীদের আগ্রহও পরিলক্ষিত হচ্ছে।
একামালিকানা ব্যবসায়ের অসুবিধা
Disadvantages of Soleproprietorship Business
একমালিকানা ব্যবসায়ের অনেকগুলো সুবিধা থাকার পাশাপাশি বেশ কিছু অসুবিধাও রয়েছে। বর্তমান জটিল ও প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায় জগতে টিকে থাকার জন্য একক উদ্যোগের সীমাবদ্ধতা পরিলক্ষিত হয়। নিম্নে একমালিকানা ব্যবসায়ের অসুবিধাগুলো আলোচনা করা হলোঃ
সীমিত মূলধন (Limited capital): একমালিকানা ব্যবসায়ের সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো মূলধনের সীমাবদ্ধতা। মালিক একজন হওয়ায় অনেক সময় বেশি মূলধনের যোগান দেওয়া সম্ভব হয় না। ফলে ব্যবসা পরিচালনায় অসুবিধা হয় এবং অনেক সময় সম্ভাব্য সুযোগ কাজে লাগানো যায় না।
একক ঝুঁকি (Bole riaks) কোনো অংশীদার না থাকাও সারণে এরপ ব্যবসায়ে সমস্ত লোকসান ও ঝুঁকি মালিককে একাই বহন করতে হয়। এক্ষেত্রে ঝুঁকি বউদের কোনো সুযোগ নেই।
মালিকের বামখেয়ালীপনা (Watius of the owner)ও বেবনের ব্যবসায়ে মালিক নিয়েই সর্বমর জামাতার অধিকারী। মালিকের অধোগ্যতা ও বাম শেভালিপনার জন্য যে কোনো দয়ায় বোরসারে অবনতি হতে পাধে। এটা বাজিগাতআবে মালিকের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
বৃহদায়তন ব্যবসায়ের সুবিধার অভাব (Lack of Advantages of Large Scale Organization) একমালিকানা ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে মূলধনের স্বতস্ততা, বাক্তিগত অসামর্থ্যতা এবং আরো সুবিধার কারণে বৃহদায়তন ব্যবসা গড়ে তোলা সম্ভব হয় না।
স্থায়ীত্বের অনিশ্চয়তা (Uncertainty in stability) একমালিকানা ব্যবসায়ের স্থায়িত্ব অনেকটা অনিশ্চিত। মালিকের মৃত্যু, অক্ষমতা, দেউলিয়াত্ব ইত্যাদির কারণে ব্যবসায়ের নিলোপসাধন হতে পারে। অর্থাৎ মানিকের অস্তিত্বের উপর ব্যবসায়ের অস্তিত্ব নির্ভর করে
সম্প্রসারণে বাঁধা (Hindrances to expansion) : একমালিকানা ব্যবসায়ে মালিক নিজেই মূলধন বিনিয়োগ করে থাকে। ব্যবসা সম্প্রসারণে অনেক পুঁজির দরকার। ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে এক পুঁজি বিনিয়োগ করে ব্যবসা সম্প্রসারণ করা সম্ভব হয় না।
পৃথক সত্তার অভাব (Lack of separate entity): এধরনের ব্যবসায় পৃথক আইনগত সত্তা নেই। মালিক নিজেই সংগঠন পরিচালনা, মামলা মোকাবেলা পরিচালনাসহ অন্যান্য তাজে অংশগ্রহণ করে থাকে। প্রতিষ্ঠান নিজের নামে অন্যের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে না। এর ফলে ব্যবসায়িক দুর্বলতা দেখা দেয়।
ব্যক্তি সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতা (Limitation of personal capacity) : একমালিকানা ব্যবসায়ে মালিক নিজে ব্যবসায়ের মূলধন বিনিয়োগ পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ নীতি-কৌশল নির্ধারণসহ যাবতীয় কাজ সম্পাদন করে। প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিগত কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। এটার কারণে অনেক সময় কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে পারে না।
ব্যয় সংকোচনে অসুবিধা (Problem in minimising cost): এ ব্যবসায়ে পুঁজি সবসময় অল্প থাকে। স্বল্প পুঁজির কারণে বৃহদায়তন ব্যবসায়ের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। ফলে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে হয়।।
কর্মীদের সীমিত সুযোগ-সুবিধা (Limited opportunities for employees): কম পুঁজির ক্ষুদ্রায়তন প্রতিষ্ঠান বিধায় কর্মীদের সুযোগ সুবিধা কম থাকে। এতে কর্মচারীরা হতাশাগ্রস্ত হয়। প্রতিষ্ঠানে শ্রমঘূর্ণায়মানতা দেখা দেয়।
বিপর্যয়ের প্রতিক্রিয়া (Impact of danger): একমালিকানা ব্যবসায়ের মালিকের একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকতে পারে। কোনো কারণে একটা ব্যবসা সংকটে পড়লে এটার প্রভাব অন্যগুলোতেও পড়ে। একটির লোকসান অন্যটি কাটিয়ে উঠতে পারে না। তাছাড়া মালিকের মানসিক বিপর্যয়ও ব্যবসাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
সীমাবদ্ধ আয়তন (Limited Size) ক্ষুদ্র আয়তনের ব্যবসা হওয়ায় একমালিকানা ব্যবসায় কোনো প্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে কষ্টকর হয়ে যায়। কারণ এ ব্যবসায়ের পুঁজি স্বল্প-কার্যপরিধি, কর্ম দক্ষতা সবকিছু ছোট পরিসরে হয়ে থাকে।
সীমিত কার্যক্ষেত্র (Limited field): একমালিকানা ব্যবসায়ের কার্যক্ষেত্র সীমিত। স্বল্প পুঁজি দিয়ে বৃহদায়তন ব্যবসায় আরম্ভ করা যায় না। সীমিত কার্যক্ষেত্র, স্বল্প পুঁজির কারণে ব্যবসা সম্প্রসারণ করা যায় না।
গবেষণার সমস্যা (Problem of research): যে কোনো ব্যবসায়ে গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন কৌশল প্রয়োগ করতে পারে। স্বল্প পুঁজি হওয়ায় ক্ষুদ্রায়তন একমালিকানা ব্যবসায়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হয় না।
বৃহদায়তন ব্যবসায়ের পাশাপাশি একমালিকানা ব্যবসায়ের টিকে থাকার কারণ
Causes of survival of Soleproprietorship Business side by Side with Large Scale Business.
আধুনিক মুক্ত বাজার অর্থনীতির যুগে বৃহদায়তন ব্যাবসাও বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। ব্যবসা বাণিজ্যের এই বিশ্বায়নের যুগে স্বল্প পুজিত, সীমিত কার্যক্ষেত্র, সাম্প্রসারণের সীমাবদ্ধতা ইত্যাদি বিভিন্ন অসুবিধা নিয়ে একমালিকানা সংগঠন প্রসার লাভ করছে। কারণ অনেক অসুবিধার মধ্যে কতিপয় বিশেষ সুযোগ-সুবিধার কারণে বৃহদায়তন ব্যবসায়ের জননিতার সাথে
সাধদ্য্যজনকভাবেই টিকে আছে। নিম্নে সেগুলো বর্ণনা করা হলোঃ বৃহদায়তন ব্যবসায়ের পাশাপাশি একমালিকানা ব্যবসায়ের টিকে থাকার কারণ।
সহজ গঠন (Easy formation): অতি সহজে যেকোনো ব্যক্তি একমালিকানা ব্যবসায় আরম্ভ করতে পারে। এ ব্যবসায় আরজ করতে আইনগত কোনো আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয় না। ফলে বৃহদায়তন ব্যবসায়ের পাশাপাশি এই ব্যবসায় সহজে টিকে আছে।
অধিক মুনাফা অর্জন (Maximum profit): একমালিকানা ব্যবসায়ে অধিক মুনাফা অর্জন করা সম্ভব। ব্যবসায় পরিচালনার সাথে মালিক নিজেই জড়িত থাকে। তাই মিতব্যয়িতা অর্জন করে সার্বিক ব্যয় সংকোচন করা সহজ। ফলে অধিক মুনাফা অর্জন করা যায় যা অধিক সংখ্যক জনগণকে এই ব্যবসায় আসতে উজ্জীবিত করে।
ভোগ্য পণ্যের খুচরা দোকান (Retailling of consumer goods) বৃহদায়তন ব্যবসায়ের উৎপাদিত পণ্যের ভোক্তারা সমগ্র দেশে ছড়িয়ে থাকে। গ্রামের অঞ্চলের ভোক্তাদের চাহিদা মিটানোর জন্য একমালিকানা। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা করতে হয়। তাই বৃহদায়তন ব্যবসায়ের পাশাপাশি একমালিকানা ব্যবসায় সমহিমায় টিকে আছে।
পঁচনশীল পণ্যদ্রব্য (Perishable goods): পঁচনশীল পণ্যদব্যের ব্যবসা একমালিকানা। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বেশি প্রযোজ্য। যেমন- মাছ, মাংস, ফলমূল, তরকারি ইত্যাদির ব্যবসায় মাধ্যমে এ সংগঠন গড়ে উঠে। অবস্থানগত কারণ (Reason for location): বৃহদায়তন ব্যবসায় ইচ্ছা করলেই যেকোনো জায়গায় স্থাপন করা যায় না। একমালিকানা ব্যবসায় স্বল্প পুঁজির ক্ষুদ্রায়তন ব্যবসায় বিধায় যত্রতত্র স্থাপন করা যায়।
পরিবর্তনশীল চাহিদার ব্যবসায় (Business of Changing demand): ক্রেতাদের চাহিদা নিয়তই পরিবর্তনশীল। বৃহদায়তন পণ্য উৎপাদনে সক্ষম নয়। এক্ষেত্রে একমালিকানা ব্যবসায় কাপড় ও পোশাক তৈরি ও বিক্রয়র দোকান কুটির শিল্পের দোকান ইত্যাদি পরিবর্তনশীল চাহিদার ব্যবসায়ে একচ্ছত্র অধিপতি।
পরিচালনার সুবিধা (Advantages of management): বৃহদায়তন ব্যবসায়ের মালিক অনেক হওয়ার কারণে পরিচালনার ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। একমালিকানা ব্যবসায়ে মালিক একজন ব্যবসা ও ক্ষুদ্রায়তন হওয়ার কারণে পরিচালনার ক্ষেত্রে সুবিধাই হয়। তাই সাধারণ ব্যবসায়ীগণ এ ব্যবসায়ে পুঁজি বিনিয়োগে এগিয়ে আসে।
দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ (Speedy decisioon making): একমালিকানা ব্যবসায়ে মালিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কারো সাথে আলোচনার প্রয়োজন হয় না। তাই যে কোনো পরিস্থিতিতে অতি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই জরুরী।
গোপনীয়তা রক্ষা (Maintenance of secrecy): ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে গোপনীয়তা রক্ষা করা খুব প্রয়োজন হয়। বৃহদায়তন ব্যবসায়ে মালিকের আধিক্যের কারণে গোপনীয়তা রক্ষা করা যায় না। এক্ষেত্রে মালিক নিজেই সিদ্ধান্ত নেন। কারো সাথে আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন হয়। না। তাই গোপনীয়তা রক্ষা করা সহজ হয়।
বাক্তিগত সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা (Establish personal relationship) পরিচালনা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ের যাবতীয় al relationship একমালিকানা ব্যবসায়ের মালিক নিজেই সংগঠন উঠে। কিছু কিছু ব্যবসায়ে এধরনের সম্পর্কের প্রয়োজন হয়। সেসব ক্ষেত্রে বৃহদায়তন ব্যবসায়ের চাইতে একমালিকানা ব্যবসায়ই উত্তম। ও ভোক্তার সাথে একটি গাষ্ঠীর সম্পর্ক গড়ে
প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র (Training field): যে কোনো ব্যবসা আবদ্ধ করতে পূর্ব অভিজ্ঞতর প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে বৃহদায়াতন ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে একমালিকানা ব্যবসায় প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র হিসাবে ব্যবহৃত হয়। একমালিকানা ব্যবসা পরিচালনা করে যে অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জন হয় তা পরবর্তিতে বৃহদায়তন ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে কাজ করে। তাই অনেকেই একমালিকানা ব্যবসা প্রথমে স্থাপন করে ক্রমান্বয়ে ব্যবসা শুরু করতে চায়।
অসীম দায়ির পরোক্ষ সুবিধা (Indirect advantages of unlimited Hability): একমালিকানা ব্যবসায়ের লাভ বা ক্ষতির সমূদয় দায়িত্ব মালিকের উপর বর্তায়। তার দায়িত্ব অসীম। অসীম দায়িত্বের কারণে ব্যবসায়ের কাজ অতান্ত সতর্কতার সাথে সম্পাদন করে যা এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠা পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
পরিশ্রম ও পুরস্কারের সমাবেশ (Aasemble of Labour and Reward): একমালিকানা ব্যবসায়ে মালিক একাই শ্রম দিয়ে থাকে। অত্যন্ত সতর্কতার সাথে সে ব্যবসায়ে সমুদয় কাজ সুসম্পন্ন করে। যার প্রেক্ষাপটে পরিশ্রমের সুফলও সে একাই ভোগ করে। এভাবে পরিশ্রম ও পুরস্কারের সন্নিবেশ এখানে আছে বিধায় এখনো নির্বিঘ্নে এ ব্যবসা চলছে।
উপজাত দ্রব্য (By Product): একমালিকানা ব্যবসায় ক্ষুদ্র আয়তনের হয়ে থাকে। বৃহদায়তন ব্যবসায়ের উপজাত দ্রব্যগুলো পরবর্তীতে একমালিকানা ব্যবসায়ে ব্যবহৃত হয়। এভাবে একমালিকানা ব্যবসায় ক্ষুদ্রায়তনের সংগঠন হিসেবে এখনো টিকে আছে।
স্বল্প বিনিয়োগের সুযোগ (Facility of small investment): একমালিকানা ব্যবসায় খুব অল্প পুঁজি দিয়ে আরম্ভ করা যায়। যে কেউ ইচ্ছা করলেই এ ব্যবসায় আরম্ভ করে নিজের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে নিতে পারে। বৃহদায়তন ব্যবসা শুরু করতে অনেক পুঁজি দরকার হয়ে। তাই এই ব্যবসায় এখনো টিকে আছে।
একমালিকানা ব্যবসায়ের উপযুক্ত ক্ষেত্রসমূহ
Suitable fields for Soleproprietorship Business
একমালিকানা ব্যবসায় একটি ক্ষুদ্রায়তনের জনপ্রিয়তা ব্যবসায় সংগঠন। সব ধরনের ব্যবসায়ের জন্য এটা যথোপযুক্ত নয়। সাধারণত ক্ষুদ্র ও মাঝারী ধরনের ব্যবসায় এটা সফলতার সাথে সুচারুভাবে কার্য সম্পাদন করতে পারে। নিম্নে একমালিকানা ব্যবসায়ের উপযুক্ত ক্ষেত্রগুলো আলোচনা করা হলো।
পরিবর্তনশীল পণ্য (Flexible goods): যে সকল পণ্যের চাহিদা সর্বদা পরিবর্তনশীল সেগুলো উৎপাদনের ক্ষেত্রে একালিকানা বাবসায় সফলতা অর্জন করতে পারে। যেমন: আসবাবপত্রের দোকান, মৌসুম ভিত্তিতে বাবহৃাত পণ্য ইত্যাদি।
পচনশীল পণ্য (Perishable goods): যে সকল পণ্যের স্থায়িত্ব কম এক কথায় পঁচনশীল যেসকল পণ্যের ব্যবসায় একমালিকানার ভিত্তিতে হয়। কেননা এসকল পণ্য দ্রুত বাজারজাত করণ করতে হয়। যেমনঃ দুধ, মাছ, ফল-মূল, শাক- সবজি ইত্যাদি।
প্রজনন শিল্প (Genetic Industry): বিভিন্ন ধরনের প্রজনন শিল্প একমালিকানা ব্যবসায়ের মাধ্যমে গড়ে উঠে।
কৃষি পণ্য (Agricultural product): সবধরনের ভূষিজ পণ্যের ব্যবসায়ের জন্য একমালিকানা প্রতিষ্ঠানই উপযুক্ত। এ ধরনের পণ্যের ক্রেতা-বিক্রেতা অনেকসময় একই এলাকার হয়ে থাকে
মৎস্য চাষ, মৌমাছি চাষ, ডেইরী ফার্ম ইত্যাদি।
ভোগ্য পণ্যের দোকান (Consumer goods shop): আমরা প্রতিনিয়ত যে সমস্ত পণ্যসামগ্রী ব্যবহার করে থাকি। চেগলোর ব্যবসা সাধারণত একমালিকানার ভিত্তিতে হয়ে থাকে। যেমন- মুদি দোকান।
প্রকাশনা ব্যবসায় (Publication business): প্রকাশনোর সাথে জড়িত ব্যবসায় একমালিকানার ভিত্তিতে গঠিত ও পরিচালত হয়ে থাকে।
ভ্রাম্যমাণ খুচরা ব্যবসায় (Mobile retail business): কিছু কিছু পণ্য সামগ্রী আছে যেগুলো অতি সন্তায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে বিক্রয় করতে হয়। এসব ব্যবসায় একমালিকানার ভিত্তিতে হয়ে থাকে। যেমন:
ফেরিওয়ালা, হকার ইত্যাদি।
প্রত্যক্ষ সেবার ব্যবসায় (Business direct services): যে সকল ব্যবসায় মালিকের উপস্থিতি খুবই প্রয়োজন হয় সেখানে একমালিকানার ভিত্তিতে ব্যবসায় পরিচালনা উপযুক্ত বলে বিবেচিত। যেমন: সেলুন, লন্ড্রি, মেরামত কারখানা, ইত্যাদি।
স্থানীয় ও সীমাবদ্ধ চাহিদার পণ্য (Product of local limited demand): যেসমস্ত পণ্যে চাহিদা একটা নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ সে সমস্ত পণ্যের ব্যবসায় একমালিকানার ভিত্তিতে হওয়া উত্তম। যেমন: মাছ, মাংস, দুধ, শাক- সবজি ইত্যদি।
বিনোদন ব্যবসায় (Recreationally business): জনগণকে বিনোদন দেয় এমন ব্যবসায়সমূহ একমালিকানার ভিত্তিতে গড়ে উঠে। যেমন ভিডিও ক্লাব, সার্কাস, যাত্রা-থিয়েটার ইত্যাদি।
কম ঝুঁকির ব্যবসায় (Business of minimum Risk): যে সকল ব্যবসায় কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং ক্ষুদ্রায়তনের অথচ মুনাফার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে সেসব ব্যবসায় একমালিকানা ভিত্তিতে গড়ে উঠে। যেমন: ধান-চালের দোকন, ঔষধের দোকান ইত্যাদি।
পেশাদারী ব্যবসায় (Professional Business): পেশাদারী ব্যবসায় পরিচালনার জন্য সাধারণত একমালিকানা সংগঠনই উত্তম। যেমন আইন ব্যবসায়, চিকিৎসা ব্যবসায় ইত্যাদি। ১৪
সৃজনশীল শিল্পকর্মের ব্যবসায় (Business of creative art): যেসকল ব্যবসায় সৃজনশলতার ছাপ পরিলক্ষিত হয়, বিশেষ করে ব্যক্তি রূপচেষ্টাও দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে যে সমস্ত ব্যবসায় একমালিকানায় হওয়া উত্তম। যেমন: জুয়েলারী, চিত্র শিল্প, ফটো-স্টুডিও ইত্যাদি।
ব্যক্তিগত তত্ত্বাবধান (Personal supervision): কিছু কিছু ব্যবসায় মালিকের সরাসরি যোগাযোগ ও ব্যক্তিগত তত্ত্বাবধানের প্রয়েজন হয় সেখানে একমালিকানার ভিত্তিতে ব্যবসায় পরিচালিত হয়। যেমন: রেস্টুরেন্ট, চায়ের দোকান।
একমালিকানা ব্যবসায়ের জনপ্রিয়তার কারণ
Causes of Popularity of Soleproprietorship Business
প্রেমানে বিশ্বায়নের যুগে বৃহদায়তন ব্যবসায়ের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেলেও একমালিকানা ব্যবসায় নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট ও সুবিধার কারণে এখনো সারাবিশ্বে সর্বাধিক জনপ্রিয় সংগঠন হিসেবে সমাদত। এখন সারাবিশ্বের একমালিকানা সংগঠনের সংখ্যা প্রায় ৮০% এইনগত বাধ্যবাধকতা না থাকার কারণে যে কোনো ব্যক্তি স্বল্প পুঁজিতে এ ব্যবসায় আরয় করতে পারে। তাই এই ব্যবসায় প্রতিযোগিতামূলক সাংগঠনিক পরিবেশে ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে। নিম্নে এই সংগঠনের জনপ্রিয়তার কারণসমূহ ছকে উপস্থাপনের মাধ্যমে আলোচনা করা হলোঃ
সহজ গঠন (Easy formation): এই ব্যবসায় আরম্ভ করতে কোনো আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই। তাই সকলে এই ব্যবসায় আরম্ভ করতে উৎসাহ বোধ করে।
ঝুঁকি কম (Less risk): একমালিকানা ব্যবসায়ে পুঁজির পরিমাণ কম বলে ঝুঁকির পরিমাণও কম। মালিক নিজেই অত্যন্ত সতর্কতার সাথে এই ব্যবসা পরিচালনা করে তাই ক্ষতির পরিমান কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কম পুঁজি, কম ঝুঁকি, কিন্তু মুনাফা নিশ্চিত, এসবই এ ব্যবসায়ের অন্যতম আকর্ষণ।
হিসাবের সুবিধা (Advantages of accounts): মালিক এ ব্যবসায়ে যে কোনোভাবে হিসাব সংরক্ষণ করতে পারে। কারণ হিসাব সংরক্ষণে আইনগত কোনো বিধি-নিশেষ নেই। হিসেবে সংরক্ষণে কোনো অর্থ এখানে ব্যয় করতে হয় না। তাই মানুষ এই ব্যবসায়ে ঝুঁকে পড়ে।
গোপনীয়তা রক্ষা (Maintenance of secrecy) হওয়ায় ব্যবসায়ের ১৪ ব্যবসায়ে গোপনীয়তা রক্ষা করবো একমালিকানা ব্যবসয়ে তথ্য পাশ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না। মালিক একজন। তৌশল সম্পর্কে গোপনীয়তা রক্ষা করা সহল
দ্রুত সিদ্ধান্ত (Rapid Decision) হল হাতের ক্ষেত্রে অনেক সময় এত নিভান্তের প্রয়োতার ওই নির্ভার কে বালিক করে না। Detaবাসতোর নিতে পারে। কারণ এতে কারো মাতামতের উপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ নির্ভর
প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র (Training field): যে কোনো কাজ আাবদ্ধ করার পূর্বে পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হতে এক পুঁজিতে ক্ষুদ্রায়তনের ব্যবসা আরও করে মানুষ দেই সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। পরবর্তীতে বৃহদায়তনে বাবসায়ে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে।
অবচার হ্রাস (Minimisation of wastage) : একমালিকানা ব্যবসায়ে মালিক নিজেই ব্যবসায়ের সমুনায় কাজ তত্ত্বাবধান করে থাকে। ফলে সামগ্রিক কাজে অবচয় ব্লাদ করা সরব হয়।
অবস্থানগত সুবিধা (Locational advantage): অল্প পুঁজিতে একমালিকানা ব্যবসায় আরম্ভ করা যায়। ক্ষুদ্রায়তনের হওয়ায় এবং পুঁজি ও স্বল্প হওয়ায় শহরে কিবো গ্রামের আনাচে-কানাচে এ ব্যবসা গড়ে এর প্রসার বা জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যবসা তোলা যায়। যার ফে
স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ (Investment of small capital) : একমালিকানা বারাসায় জনপ্রিয় হওয়ার আরেকটি অন্যতম। কারণ হলো স্বল্প পুঁজি, গ্রামের দরিদ্র জনগোরি ও অল্প পুঁজিতে এ ব্যবসা আরম্ভকরতে পারে।
পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার সুবিধা (Advantages of direction and management): একমালিকানা ব্যবসায়ের পরিচালনা ও রাবস্থাপনা মালিক নিজেই করে থাকে। ছোট পরিসরের ব্যবসা হওয়ায় মালিক বিচক্ষণতার সাথে সমুদয় কার্য সম্পাদন করতে পারে। পরিচালনার সুবিধার কারণে এটা দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে।
মুনাফার একক মালিকানা (Sole owner of profit) : এরূপ ব্যবসায়ে মালিক নিজেই মুনাফার একক অংশীদার। অন্য কাউকে মুনাফার অংশ প্রদান করতে হয় না।
কর্মসংস্থানের সুযোগ (Employment oppo-tunity): সমগ্র দেশে এরূপ ব্যবসা গড়ে উঠায় কর্মসংস্থানে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। স্বল্প পুঁজি দিয়ে যেকোন স্থানে এ ব্যবসা আরম্ভ করা যায়। রোজগারের এটা নিশ্চিত উৎস হিসেবে এ বাবসা জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
পরিবর্তনশীলতা (Plexibility): পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে একজন ব্যবসায়ীকে সর্বদা খাপ-খাইয়ে চলতে হয়। একমালিকানা ব্যবসায় যেকোন জটিল পরিস্তিতিতে পরিবর্তনের সাথে সামঞ্জস্য বিধান করে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচলনা করতে পারে। তাই এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অনুপ্রেরণার ক্ষেত্র (Field of inspiration): স্বল্প পুঁজির মাধ্যমে একমালিকানা ব্যবসা আরম্ভ করা যায়। মালিক তার সকল প্রচেষ্টা ও ত্যাগের মাধ্যমে যে সাফল্য অর্জন করে তা নিজে একাই ভোগ করে। মুনাফার পুরা অংশ ভোগ করার কারণে এরূপ ব্যবসা গঠনে সবাই অনুপ্রাণিত হয়।
সহজ আয়ের উৎস (Easy source of income): দেশের আনাচে-কানাচে স্বল্প পুঁজি দিয়ে যে কেউ এ ব্যবসা আরম্ভ করতে পারে। অন্যান্য ব্যবসায়ের চাইতে এখানে সাফল্যের সম্ভাবনাও বেশি থাকে। তাই সহজ আয়ের উৎস হিসেবে এই ব্যবসা সবার কাছে সমাদৃত।
মালিকের স্বাধীনতা (Freedom of the owner): একমালিকানা ব্যবসায় মালিকই কর্মধার। নিজের ইচ্ছাতে যে ব্যবসায়ের সমুদয় কার্য সম্পাদন করে। স্বাধীনচেতা লোকদের জন্য এই ব্যবসা প্রযোজা।
ক্ষেত্রগত সুবিধা (Advantages of situation): বৃহদায়তন ব্যবসায়ের সবচেয়ে বড় অনুবিধা হলো যে কোনো জায়গায় ইচ্ছা করলেই আরঙ করা যায় না। একমালিকানা ক্ষুদ্রায়তনের ব্যবসা বিধায় এর কোনো বিকল্প নেই। যে কেউ ইচ্ছা করলেই এই ব্যবসায় আরম্ভ করতে পারে। এ কারণে এ ব্যবসায় জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
ঋণ প্রাপ্তির সুবিধা (Loan facilities): একমালিকানা ব্যবসায়ে মালিকের দায় অসীম। অসীম দায়ের কারণে তার ব্যক্তিগত সম্পত্তি থেকে ঋণদাতাগণ ঋণের অর্থ আদায় করতে পারে। এ কারণে ঋণ দিতে কেউ দ্বিধা করে না। এছাড়া ক্ষুদ্র শিল্পকে উৎসাহিত করতে সরকার ও অনেক সময় সহজ শর্তে বিভিন্ন ধরনের ঋণ দিয়ে থাকে।
কর মওকুফ সুবিধা (Tax exemption): এরূপ ব্যবসায়ে মালিকের মোট আয়ের উপর আয়কর প্রদান করতে হয়। আলাদাভাবে ব্যবসায়ের জন্য আয়কর প্রদান করতে হয় না। ফলে সবাই এরূপ ব্যবসা প্রতিষ্ঠায় উৎসাহিত হয়।
সরকারি নিয়ন্ত্রণ মুক্ত (Out of Govt. Control): কোনো আইন মেনে এ ব্যবসা গঠন করতে হয় না। তাই এখানে সরকারের আইনগত কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ফলে জনগণ সহজে এ ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে।