সেরা ১০টি ক্ষুদ্র ব্যবসার আইডিয়া


ব্যবসার আইডিয়া

 

সেরা ১০টি ক্ষুদ্র ব্যবসার আইডিয়া

আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন।বেশি টিপস ব্লগ সাইডে  আপনাকে স্বাগতম। এখন আমি আপনাদেরকে সেরা বাছাইকৃত কয়েকটি ক্ষুদ্র ব্যবসার সম্পর্কে ধারণা প্রধানের চেষ্টা করব। ক্ষুদ্র ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন কিভাবে সামনের দিকে কিনে দেবেন কোন ক্ষুদ্র ব্যবসা আপনার জন্য ভালো কোন ক্ষুদ্র ব্যবসা  আপনার সাফল্য বয়ে আনতে পারে ইত্যাদি। তো চলুন বাসায় শুরু করা যাক। 

৯ টি পার্টটাইম ব্যবসার আইডিয়া

সেরা ১০টি ক্ষুদ্র ব্যবসার আইডিয়া: শুরুর কথা

ক্ষুদ্র ব্যবসার আইডিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা সফলতার পথে কেউই একবারে প্রথমেই  বড় ইন্ডাস্ট্রিক ব্যবসা শুরু করে সফলতা  পায়  না।

বরং যারা বর্তমানে সফল তারা তাদের ক্ষুদ্র ব্যবসার আইডিয়া দিয়েই পদযাত্রা শুরু করেছিলন। তারা দেখয়েছেন  যে ক্ষুদ্র ব্যবসার মাধ্যমেই  সফলতার  চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানো যায়। আমরা এখানে কিছুসেরা ক্ষুদ্র ব্যবসা আইডিয়া উল্লেখ করছি।

এই সময়ের সেরা ১০টি ক্ষুদ্র ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। নিচে যে সকল ক্ষুদ্র ব্যবসার কথা উল্লেখ করা হবে, এগুলোর মধ্যে যদি আপনার কোনটি৷   ক্ষুদ্র ব্যবসা পছন্দ হয় সেই ব্যবসাটি আপনি চালাতে পারেন।


ক্ষুদ্র ব্যবসার আইডিয়া 

ব্লগিং এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যবসা

বর্তমান সময়ে ব্লগিং একটি জনপ্রিয় এবং স্মার্ট পেশা।  যদিও এটি  ক্ষুদ্র ব্যবসার আইডিয়া হওয়া উচিত নয়, তবে বর্তমানে অনেক বাংলাদেশী ব্লগাররা  লক্ষ লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করে থাকেন। মজার বিষয় হলো ব্লগিং শুরু করতে হলে  বেশি প্রয়োজনীয় ইনভেস্টমেন্ট করতে হয় না ।তাই আমি ক্ষুদ্র ব্যবসার বিষয়া ও এর মার্কেট বিশ্লেষণ করে  ব্লগিংকে ক্ষুদ্র ব্যবসার আইডিয়া হিসাবে বিবেচনা করেছি। 

তাই  আপনি যদি  ব্লগিং করার সঠিক নিয়ম জানেন, তাহলে ব্লগিং থেকে অনেক টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হতে পারেন। এর জন্য আপনাকে অবশ্যই ব্লগিং এর সঠিক নিয়ম জানতে হবে। 

আপনাকে ব্লগিং কি এবং কিভাবে করতে হয় তার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। অন্যথায় আপনি ব্লগিং করে সফলতার সুযোগ হারাতে পারেন। আপনি ইউটিউবে ব্লগিং সম্পর্কে কিছুজ্ঞান প্রাপ্ত করতে পারেন, কিন্তু ইউটিউবের বিষয়গুলো আপনার সম্পূর্ণ ধারণা নেওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট হবে না ।

তাই আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে সঠিকভাবে ব্লগিং করেন তাহলে  মাসে লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এর জন্য, আপনি বাংলাদেশের সেরা ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এবং ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং সেন্টার অর্ডিনারি আইটি থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করতে পারেন।

ধানের ব্যবসার আইডিয়া


 ই-কমার্স এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যবসা

বর্তমানে ই-কমার্স এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যবসা করা বর্তমানে  অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কেননা অনেকেই এখনো ঘরে বসে পণ্য কিনতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

তাই আপনি সহজেই একটি ই-কমার্স সাইট খুলতে পারেন বা এফ কমার্স (অর্থাৎ ফেসবকেু র মাধ্যমে) প্রোডাক্ট প্রমোট করতে অনলাইনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

এর জন্য আপনাকে সামান্য পুজিঁর প্রয়োজন হবে প্রোডাক্ট কেনার জন্য এবং মার্কেটিং করার জন্য। যদি আপনার কাছে প্রোডাক্ট কেনার জন্য প্রয়োজনীয় পুজিঁ থাকে এবং মার্কেটিং করার যেমন কার্যকলাপ সম্পন্ন করতে পারেন,তাহলে আপনি অনায়াসেই ই-কমার্স ব্যবসা মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যবসা  শুরু করতে পারেন।  বর্তমানে ক্ষুদ্র ব্যবসার একটি স্মার্ট পেশার উদাহরণ।

 

মেয়েদের জন্য অনলাইন ইনকাম


ফাস্ট ফুডের এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যবসা

আপনি ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য মিনিমাম লেভেলের  মলূধন নিয়ে ফাস্ট ফুডের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এরজন্য প্রথমে আপনাকে একটি জনবহুল এলাকা নির্বাচন করতে হবে যেখানে সব সময় অধিক জনপুষ্ট হয়ে থাকে। যদি আপনি একটি ছোট দোকান! সেই দোকান থেকে মাসিকভাবে ভাল আয় উপার্জন করতে পারবেন। এই ধরনের ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু  করতে আপনার  খরচ হতে পারে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা 

 

অল্প টাকায় লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া


কফি শপের এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যবসা 

ক্ষুদ্র ব্যবসার মধ্যে কফি শপের ব্যবসা বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় একটি ব্যবসা। আপনি চাইলে অল্প পুজিঁ ইনভেস্ট করে কফি শপ খুলতে পারেন। এটা থেকে আপনার লাভ হবার পসিবলীটি  অনেক বেশি হতে পারে। কারণ, কফি প্রস্তুত করতে খরচ হওয়া টাকার তিনগুণ মূল্যে কফি বিক্রি করা হয়। তাই কফি শপ ব্যবসায় আপনি মাসিক ভাবে ভাল আয় উপার্জন করতে পারবেন।এই ধরনের ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু  করতে আপনার  খরচ হতে পারে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা 


যে ব্যাবসা গুলো করলে আপনি নিশ্চিত লাভবান হবেন


মোবাইল এক্সেসরিস এর এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যবসা

 বর্তমানে মোবাইল ব্যবহার  অপরিহার্য্য হওয়ে যাওয়ার জন্য অনেক মানষেুর এক্সেসরিস দরকার হয়। যেমন মোবাইলের ব্যাটারি, চার্জার, এয়ারফোন,কেভল, প্রোটেক্টর ইত্যাদি। এই ধরনের আইটেমগুলো পাওয়া যায় মোবাইল এক্সেসরিস দোকানে।

তাই মোবাইল এক্সেসরিস দোকান খুলে আপনি প্রায়শই গ্রাহক পাবেন এবং গ্রাহক মানেই আপনার ইনকাম বাড়বে। আপনি অনায়াসেই মোবাইল এক্সেসরিস দোকান খুলে মাসে ভালো আয় উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। এই ধরনের ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু  করতে আপনার  খরচ হতে পারে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা 


 ফুলের এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যবসা

বর্তমান সময়ে ক্ষুদ্র ব্যবসার মধ্যে ফুলের ব্যবসা খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা। কারণ ফুলগুলো যেমন দামে কেনা হয় তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে বিক্রি হয়। তাই আপনি অনায়াসেই ফুলের ব্যবসা করতে পারেন এবং প্রায়শই বেশি প্রয়োজন নেই অল্প পুজিঁর ইনভেস্টমেন্টে ফুলের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।এই ধরনের ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু  করতে আপনার  খরচ হতে পারে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা 


ডিমের এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যবসা

আপনি যদি নগদ ব্যবসা করতে চান এবং আপনার পুজিঁ কম থাকে, তবে ডিমের ব্যবসা আপনার জন্য একটি আদর্শ ক্ষুদ্র ব্যবসা হতে পারে। কারণ আপনি অল্প পুজিঁ ইনভেস্ট করে ডিমের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।ডিমের ব্যবসা করতে আপনাকে একটি বাজারের এমন  জায়গা  নির্বাচন করতে হবে যেখানে সর্বদা জন সমাগম থাকে।

এছাড়াও, ডিমের ব্যবসা করার অন্যতম সুবিধা হলো যে আপনাকে নির্দিষ্ট দোকানের প্রয়োজন নেই, আপনি ফুটপাতে বসেই ডিমের ব্যবসা করতে পারবেন।এই ধরনের ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু  করতে আপনার  খরচ হতে পারে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। 

 

জসেুর এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যবসা

জসেুর ব্যবসা অল্প পুজিঁ ইনভেস্ট করেই বেশি লাভজনক হতে পারে। গরমের দিনে জসেু র ব্যবসা খুব রমরমা হয় কারণ এই সময়ে জসু বিক্রি করার দোকানগুলো সর্বদা ভীর সংখ্যক গ্রাহকের আকর্ষণে আসে। তাই আপনি অল্প পুজিঁ ইনভেস্ট করে সহজেই জসেুর ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

এই ধরনের ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু  করতে আপনার  খরচ হতে পারে ২৫থেকে ৩০ হাজার টাকা। 

 

ইউটিউব চ্যানেল

বর্তমানে ইউটিউব সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট। যখন আপনার কনটেন্টগুলো জনপ্রিয় হয়ে পড়বে তখন আপনার সাবস্ক্রাইবার এবং ওয়াচ টাইম বেড়ে যাবে এরপরে আপনি এডসেন্সের মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন।

ইউটিউব থেকে এ টাকা আয় করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে ভাল মানের কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং ভিডিও এডিটর হতে হবে। আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও এডিটিং শিখতে চান তাহলে এদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং সেন্টার "অর্ডিনারি আইটি"র এই কোর্সটি করতে পারেন। 


প্রাইভেট বা কোচিং

যদি আপনি পড়াশোনা পছন্দ করেন এবং আপনার ভালো বোঝানোর ক্ষমতা থাকে, তাহলে আপনি প্রাইভেট কোচিং সেবা দিয়ে টাকা আয় করতে পারেন। এটি আপনাকে মাসিকভাবে ভালো আয় উপার্জন করতে সাহায্য করবে।

প্রাইভেট কোচিং করার জন্য আপনাকে কোনও পুজিঁ র প্রয়োজন নেই। এতে করে, যারা ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় পুজিঁ না রাখেন, তারা প্রাইভেট কোচিং এর মাধ্যমে সহজেই টাকা উপার্জন করতে পারেন।


সেরা ১০টি ক্ষুদ্র ব্যবসার আইডিয়াঃ শেষ কথা

উপরে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি ১০টি ক্ষুদ্র ব্যবসার আইডিয়া। আপনি এই আইডিয়াগুলোর মধ্যে থেকে আপনার পছন্দমত ক্ষুদ্র ব্যবসার নির্বাচন করতে পারেন। তবে, একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে, আপনি যে ক্ষুদ্র ব্যবসা করতে চান সেই ব্যবসার পূর্বে ভালোভাবে জানতে হবেন। কারণ আপনার ব্যবসা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকলে আপনি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারেন।






একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন